Corona Virus: করোনা আক্রান্ত একের পর এক মহিলা রোগ বিশেষজ্ঞ, কোথায় যাবেন প্রসূতিরা?
South 24 pargana: রোগীদের স্থানান্তরিত করা হচ্ছে অন্য হাসপাতালে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: লাগাম ছাড়া বেড়েছে সংক্রমণ। প্রায় প্রতিদিন সংক্রমণ গ্রাফ লাফিয়ে-লাফিয়ে বাড়ছে। কলকাতার পাশাপাশি বাদ পড়েনি জেলাও। পাল্লা দিয়ে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। তবে চিন্তার বিষয় অন্য জায়গায়। করোনা সংক্রমণে সাধারণ মানুষের আক্রান্তের পাশপাশি পাল্লা দিয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছিল যদি এত সংখ্যক চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হন তাহলে চিকিৎসা পরিষেবা বিঘ্ন ঘটবে না? কিন্তু সেই আশঙ্কাই হল সত্যি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার দুই হাসপাতালে চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় কাজ ব্যাহত হল প্রসূতি বিভাগের। চিকিৎসক না থাকার কারণে বন্ধ অস্ত্রোপচার।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল ও ক্যানিং সাব ডিভিশন হাসপাতাল। এই দুই হাসপাতালেই একে একে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গিয়েছেন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। যার প্রভাব পড়েছে রোগীদের উপর। জানা গিয়েছে এই দুই হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের কাজ ব্যাহত হয়েছে সেখানে মহিলা রোগ বিশেষজ্ঞ কোনও চিকিৎসক সুস্থ না থাকার কারণে। বর্তমানে কোনও অস্ত্রপচার করা হচ্ছে না ওই দুই হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে। রোগীদের স্থানান্তরিত করা হচ্ছে অন্য হাসপাতালে।
এদিকে করোনার কারণে কাঁপছে ক্যানিং মহকুমা ও বাসন্তী ব্লক গ্রামীণ হাসপাতাল। ইতিমধ্যেই দু’টি হাসপাতালে আক্রান্ত প্রায় ৫৩ চিকিৎসক,নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী। যার কারণে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
সুন্দরবন তথা দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার অন্যতম ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল ও বাসন্তী ব্লক গ্রামীণ হাসপাতাল। সোমবার পর্যন্ত সেখানে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে ৪১ জন করোনায় সংক্রমিত হয়ে পড়েছেন। সেই সঙ্গে বাসন্তী ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালেরও একই অবস্থা। সেখানেও চিকিৎসক,নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে ১২ জন সংক্রমিত হয়েছেন। ফলে সুন্দরবন এলাকার হাসপাতালগুলিতে রীতিমত শঙ্কার মেঘ ঘনীভূত হচ্ছে।
সুন্দরবন এলাকায় এমনিতেই কম সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মী থাকেন। এবার এর মধ্যে যদি এতজন আক্রান্ত হন তাহলে স্বাস্থ্যপরিষেবা চলবে কী করে? যদিও এই বিষয়ে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি তথা বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল জানিয়েছেন, “সোমবার পর্যন্ত ১৩ জন চিকিৎসক ও ১৩ জন নার্স আক্রান্ত হয়েছেন। মোট ৪১ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনার কবলে। অন্যদিকে বাসন্তী ব্লকে ৩ জন চিকিৎসক ৩ জন নার্স সহ মোট ১২ জন করোনায় আক্রান্ত। এরপরও চিকিৎসা পরিষেবা চলেছে। যে সমস্ত চিকিৎসক-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী এখনও পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হননি তাঁরা মনের জোরে রোগীদের স্বাস্থ্য পরিষেবা চালিয়ে যাচ্ছেন।”