Baruipur: মধ্যরাত পর্যন্ত ভূতের খেলায় মত্ত থাকত, সকালে ছেলেকে দেখে গায়ের লোম খাঁড়া হয়ে গেল আইনজীবীর পরিবারের

Baruipur: পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সাঘ্নিকের বাবা বিদ্যুৎ নস্কর বারুইপুর মহকুমা আদালতের আইনজীবী। মা মামনি নস্কর স্কুল শিক্ষিকা। সাঘ্নিকের বাবা-মা জানাচ্ছেন,  ছেলে সব সময় মোবাইল ও কম্পিউটারে ভূতের গেমে আসক্ত থাকত। সবসময়ই ভূতের গেম খেলত।

Baruipur: মধ্যরাত পর্যন্ত ভূতের খেলায় মত্ত থাকত, সকালে ছেলেকে দেখে গায়ের লোম খাঁড়া হয়ে গেল আইনজীবীর পরিবারের
আত্মঘাতী ছাত্রImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 17, 2024 | 5:23 PM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা:  কম্পিউটারে ভূতের গেমের আসক্তি। প্রতি রাতেই দীর্ঘক্ষণ গেম খেলতে নবম শ্রেণির ছাত্র। অনেক বলেও, বকাবকি করেও শুধরাতে পারেননি ছেলেকে।  সকালে ছেলের ভয়ঙ্কর পরিণতি দেখলেন পরিবারের সদস্যরা। বারুইপুরে ইংরেজি মাধ্যমের নবম শ্রেণীর ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার বাড়ি থেকে। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সাঘ্নিক নস্কর (১৫)। সোমবার সকালে ঘরের দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুরের শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দত্ত পাড়ায়।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সাঘ্নিকের বাবা বিদ্যুৎ নস্কর বারুইপুর মহকুমা আদালতের আইনজীবী। মা মামনি নস্কর স্কুল শিক্ষিকা। সাঘ্নিকের বাবা-মা জানাচ্ছেন,  ছেলে সব সময় মোবাইল ও কম্পিউটারে ভূতের গেমে আসক্ত থাকত। সবসময়ই ভূতের গেম খেলত।

বাবা বলছেন, “মোবাইল কেড়েও নিয়েছিলাম। তারপরেও খেলা দেখা বন্ধ করতে পারিনি।” রবিবার রাতেও এই নিয়ে এক দফা অশান্তি হয়। রাতে খাওয়া সেরে ঘরে ঢুকে যায় সাঘ্নিক। সোমবার বাজার থেকে বাড়ি ফিরে তাঁর বাবা দেখেন, ছেলের ঘরের দরজা  তখনও বন্ধ। ডাকাডাকি করেও না পাওয়ায় দরজা ভেঙে ছেলের ঝুলন্ত দেহ দেখ উদ্ধার করেন পরিবারের সদস্যরা।

পরিবারের দাবি, আত্মঘাতী হয়েছে সাঘ্নিক। ওই ছাত্রটির মৃতদেহ বারুইপুর থানার পুলিশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। সেই সঙ্গে মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।