Canning Attempt To Murder: ‘সব দিয়েও আটকাতে পারলাম না, বাচ্চাগুলোর কথাও ভাবল না’, মাথায় দগদগে ঘা নিয়েই একটানা বলে চলল মেয়েটা

Canning Attempt To Murder: মাঝেমধ্যে বাপেরবাড়ি এসে থাকতেন হালিমা। তখন আবার তাঁকে বুঝিয়ে শ্বশুরবাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতেন শাহাজামাল। এরই মধ্যে আরও এক সন্তানের জন্ম দেন হালিমা।

Canning Attempt To Murder: 'সব দিয়েও আটকাতে পারলাম না, বাচ্চাগুলোর কথাও ভাবল না', মাথায় দগদগে ঘা নিয়েই একটানা বলে চলল মেয়েটা
ক্যানিংয়ে আক্রান্ত গৃহবধূ (প্রতীকী ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 15, 2022 | 8:10 AM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: একে ছিল পণের জন্য চাপ। শারীরিক মানসিক নির্যাতন সহ্য করেও সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে চুপ ছিলেন বছর তিরিশের মেয়েটা। কিন্তু মুখ খুলেছিলেন, যখন স্বামীর মন পড়েছিল অন্য মেয়ের প্রতি। প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। ফলে অত্যাচারের মাত্রা বেড়েছিল দ্বিগুণ। তারই প্রতিদান দিতে হয়েছে তাঁকে। মাথায় পড়েছে ধারালো অস্ত্রের কোপ। স্বামীর হাতে ছিল সেই অস্ত্র। অভিযোগ তেমনই। স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় এক গৃহবধূকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল ক্যানিংয়ের গোপালপুর গ্রামে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই গৃহবধূ ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্ত স্বামী শাহাজামাল শেখ পলাতক।

জানা গিয়েছে, পাঁচ বছর আগে পেশায় অটোচালক শাহাজামালের সঙ্গে বিয়ে হয় হালিমা শেখ নামে ওই গৃহবধূর। অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য চাপ দিত শ্বশুর বাড়ির লোকজন। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই টাকা আনার দাবিতে শাহাজামাল তাঁর স্ত্রীকে মারধর করতেন। প্রতিবাদ করলে মারধর করতেন শাশুড়িও। বিয়ের এক বছরের মধ্যেই ছেলের জন্ম দেন হালিমা। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, সন্তান হওয়ার পর আরও অত্যাচার বাড়ে।

মাঝেমধ্যে বাপেরবাড়ি এসে থাকতেন হালিমা। তখন আবার তাঁকে বুঝিয়ে শ্বশুরবাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতেন শাহাজামাল। এরই মধ্যে আরও এক সন্তানের জন্ম দেন হালিমা। অত্যাচার বাড়ে দ্বিগুণ। পরিবারের অভিযোগ, ইদানীং প্রতিবাদ করাও বন্ধ করে দিয়েছিলেন হালিমা। তাঁকে বাপেরবাড়িতে আসাও বন্ধ করে দিয়েছিলেন শাহাজামাল। এরইমধ্যে শাহাজামাল অন্য এক যুবতীর প্রেমে পড়েন। তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তারই প্রতিবাদ করেছিলেন হালিমা। ফলে অত্যাচার বাড়ে।

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যে অশান্তি হত, তা জানতেন প্রতিবেশীরাও। বৃহস্পতিবারও হয়। অভিযোগ, অশান্তির সময়েই ঘর থেকে ধারালো দাঁ নিয়ে এসে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করেন শাহাজামাল। প্রতিবেশীরা হালিমার আর্তনাদ শুনতে পেয়ে ছুটে আসেন। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। কিন্তু পালিয়ে যান শাহাজামাল। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।

আশঙ্কাজনক অবস্থা হালিমা। তবুও হাসপাতালের বেডে শুয়ে বলেছে, “অনেক করেই আটকে রাখার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু পারলাম কই। কিন্তু এত ভালবাসার পরও এমন করল ও। শাস্তি চাই ওর। পুলিশ ওকে শাস্তি দিক।” শাহাজামালের বিরুদ্ধে ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: স্কুল থেকে বাকিদের সঙ্গেই বেরিয়েছিল, দুই কিশোরীকে এক সঙ্গে ওই অবস্থায় দেখে তাজ্জব স্যাররাও!