TMC: ভাঙড়ের পাল শওকত মোল্লার হাতে? সোশ্যাল মিডিয়ায় জল্পনা
ভাড়ড় তৃণমূলের অন্যতম দুই নেতা আরবুল ইসলাম ও কাইজাররা শওকত মোল্লাকে মেনে নেবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
ভাঙড়: ভাঙড় বিধানসভা এলাকায় পঞ্চায়েত ভোটের বৈতরণী পেরোতে ভরসা কি ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা! এবার সেই প্রশ্নই ভাঙড়ের রাজনীতির আনাচা-কানাচে। সোশ্যাল মিডিয়ায় শওকত মোল্লার জয়ধ্বনি দিয়ে তাঁর অনুগামীদের একাধিক পোস্ট। অপরদিকে ভাঙড় বিধানসভা এলাকায় দুই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা আরাবুল ইসলাম ও কাইজার আহমেদের অবস্থান নিয়ে স্পষ্ট ধারণা নেয় কারওরই। আরাবুল-কাইজার শওকত মোল্লাকে কি মেনে নেবে, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
সূত্র মারফত খবর, শনিবার ভাঙড়ের আরাবুল ইসলাম, কাইজার আহমেদ, বাহারুল ইসলাম সহ গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের ডেকেছেন তৃণমূল রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। যেখানে উপস্থিত থাকার কথা ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লারও। দুপুর ১টায় সেই বিশেষ আলোচনা। কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে সেই আলোচনা থেকে?
সূত্র মারফত খবর, ভাঙড় বিধানসভার অবর্জারভার করা হতে পারে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকাত মোল্লাকে। পাশাপাশি ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে ISF এর কাছে পরাজয়ের পর আগামী পঞ্চায়েত ভোটের বৈতরণী পেরোতে শওকতকে দায়িত্ব অর্পণ করা হবে। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে একাধিক লেখা, পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরপাক খাচ্ছে। দায়িত্ব পেলে এক সঙ্গে কাজ করতে অসুবিধা হবে না বলে জানিয়েছেন শওকত মোল্লা। যদিও এব্যাপারে তৃণমূলের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
অন্যদিকে, ভাঙড় বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের একাধিক গোষ্ঠী ও তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। সেই দ্বন্দ্ব মিটিয়ে রাজনৈতিক ময়দানে এককভাবে লড়াই করার ডাক দেবেন দলের রাজ্য সভাপতি। আইএসএফ-এর শক্তি যাতে সম্প্রসারিত না হয় সে দিকেও নজর দেওয়া হবে। এছাড়া সংখ্যালঘু ভোটকে তৃণমূলমুখী করার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হতে পারে। ভাঙড়ের মুসলিম ভোটের প্রভাব যাতে আশেপাশের মুসলিম এলাকা বলে পরিচিত হাড়োয়া, মিনাঁখা, বসিরহাট সহ একাধিক এলাকার না পরে, সেদিকেও লক্ষ রাখা হবে।
তবে ভাড়ড় তৃণমূলের অন্যতম দুই নেতা আরবুল ইসলাম ও কাইজাররা শওকত মোল্লাকে মেনে নেবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কেননা আরাবুল ইসলাম শওকত মোল্লার অনেক আগে থেকেই তৃণমূল নেতা। ২০০৬ সালে ভাঙড় বিধানসভার তৃণমূলের বিধায়ক ছিলেন তিনি। পাশাপাশি আরাবুল, কাইজাররা দলের খারাপ সময়ে দলের জন্য নানা ইতিবাচক কাজ করেছেন বলে শোনা যায়। যেমন, ভাঙড়ের পাশে কলকাতার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকার পুরভোট বা বিধানসভা ভোটে আরাবুল-কাইজার বাহিনী ভোটের কাজে সক্রিয় থাকতেন বলেও চর্চা আছে তৃণমূলের অন্দরে। সেই আরাবুল-কাইজার কি সহজে মেনে নেবেন শওকত মোল্লাকে, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।