Canning Murder: ক্যানিংয়ে তিন খুনের তদন্তে ফরেন্সিক টিম, এখনও অধরা অভিযুক্তরা
Canning Murder: প্রাথমিকভাবে এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে স্থানীয় রফিকুল সর্দার নামে এক ব্যক্তি ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। রফিকূল এলাকায় তৃণমূল করত বলে দাবি এলাকাবাসী ও পরিবারের।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ক্যানিংয়ে তৃণমূল নেতা-সহ তিন জনের খুনের ঘটনার তদন্তে এলাকায় যাচ্ছে ফরেন্সিক টিম। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন তাঁরা। সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করবেন তাঁরা। ঘটনার পর থেকে এলাকা থমথমে। বসেছে পুলিশ পিকেটিং। এখনও পর্যন্ত অধরা দুষ্কৃতীরা।
বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে দলীয় অফিসে আসার পথে ক্যানিংয়ের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধর্মতলা গ্রামের পঞ্চায়েত পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাঝি ও তাঁর দুই সঙ্গী ঝন্টু হালদার ও ভূতনাথ প্রামাণিককে রাস্তায় নৃশংসভাবে গুলি করে, ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে।
প্রাথমিকভাবে এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে স্থানীয় রফিকুল সর্দার নামে এক ব্যক্তি ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। রফিকূল এলাকায় তৃণমূল করত বলে দাবি এলাকাবাসী ও পরিবারের। যদিও সেই অভিযোগ মানতে নারাজ দলীয় নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, এই খুনের নেপথ্যে বিজেপির মদত রয়েছে। ক্যানিংয়ে তিন তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে তৃণমূল। সে প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “পঞ্চায়েত হল মধুভাণ্ড। নিজেদের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে খুন, সারা রাজ্যজুড়ে এই খুনোখুনি চলছে।”
ঘটনার পরই রাজ্য পুলিশের আইজি, ডিআইজি থেকে শুরু করে সিআইডির প্রতিনিধিদল সেখানে যান। তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রফিকূল সর্দার ও তাঁর সঙ্গীদের কাউকেই ধরতে পারেনি পুলিশ। এলাকায় তিন জন খুনের ঘটনায় রীতিমতো স্তব্ধ গ্রাম। শুক্রবার সকাল থেকেও রাস্তাঘাট ফাঁকা। গ্রামবাসীরা ভয়ে ঘরের বাইরে খুব বেশি বের হচ্ছেন না। অচেনা মানুষ দেখলেই নিজেদের লুকানোর আপ্রাণ প্রয়াস করছেন তাঁরা।
এলাকায় যাতে নতুন করে কোনও অশান্তি না ছড়ায়, সে কারণে কোনওরকমভাবে ঝুঁকি নিতে নারাজ পুলিশ। তাই এলাকার মোড়ে মোড়ে বসেছে পুলিশ পিকেটিং।