দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মাত্র চার মাস বিয়ে হয়েছে। একবার এই নিয়ে তুমুল ঝামেলাও করেছেন শ্বশুরের সঙ্গে, তিনি সেবারও মেয়েকে নিয়ে যেতে এসেছিলেন স্বামীর কাছ থেকে। নিয়েও গিয়েছেন জোর করে। শোকে মূহ্য়মান স্বামী নিলেন চরম সিদ্ধান্ত। স্ত্রী ঘর থেকে বের হতেই বাথরুমে গিয়ে ঢক ঢক করে ফিনাইল খেয়ে নিলেন তিনি। গলা বুক জ্বলে যাওয়ায় আর্তচিৎকার। মর্মান্তিক ঘটনা ক্যানিংয়ের তালদি এলাকায়। জয়দেব মাঝি নামে ওই যুবক আশঙ্কা জনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জানা যাচ্ছে, চার মাস আগে শাস্ত্রীয় মতে ক্যানিংয়ের তালদির জয়দেব মাঝির সঙ্গে ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বপ্না শিকারীর বিয়ে হয়। অভিযোগ, নানান অছিলায় স্বপ্না তাঁর বাপের বাড়িতে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করতেন। এমনটা ভালো চোখে নিতেন না পেশায় শ্রমিক জয়দেব। এক-এক বার বাপেরবাড়ি গিয়ে দিন পনেরো থেকে আসতেন। মাঝে জোর করে ফিরিয়ে আনলে, শ্বশুরবাড়িতে দু-তিন দিন থাকতেন। তারপর ফের বাপের বাড়ি চলে যেতেন।
সোমবার সকালেও জয়দেবের শ্বশুর গিয়েছিলেন তাঁর বাড়িতে। সেখানে গিয়ে মেয়েকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। বাধা দেন জয়দেব। সকল বাধা অগ্রাহ্য করে বাপের বাড়িতে চলে যান তাঁর বাবার সঙ্গে। হাসপাতালের বেডে শুয়েও জয়দেব বলতে থাকেন, স্ত্রীকে প্রচণ্ড ভালোবাসেন তিনি। তবুও স্ত্রী কেন তাঁর কাছে থাকতে চান না, সেটাই প্রশ্ন তাঁর। কোনও খামতি আছে বলেও স্ত্রী অভিযোগ করেননি। তবুও কেন এই সমস্যা?
উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না জয়দেব। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মানসিক অবসাদে ফিনাইল খেয়েছেন তিনি। প্রতিবেশীরাই তাঁকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসা চলছে তাঁর। প্রতিবেশীরাও এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ। তাঁদের বক্তব্য, যদি সংসারই না করতে দেন, তাহলে কেন মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন জয়দেবের শ্বশুর? চিকিৎসকরা জানিয়েছেন. ওয়াশ করে ফিনাইল বার করা হয়েছে। তবে শরীরের ভিতরের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত। তাঁকে বর্তমানে পর্যবেক্ষণেই রাখা হবে।
আরও পড়ুন: ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে গ্রেফতার ভাইপো দীপক কান্দু, পারিবারিক আক্রোশ থেকেই খুন?