Govt Hospitals Kolkata: সার্জারি হবে কি হবে না, বুঝেই উঠতে পারল না হাসপাতাল, ১২ ঘণ্টা পড়ে রইলেন হিমোফিলিয়া রোগী
Govt Hospitals Kolkata: হিমোফিলিয়া আক্রান্ত ওই রোগীকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে। এনআরএসে গিয়েও চিকিৎসা জোটেনি দীর্ঘক্ষণ।
কলকাতা : শহর কলকাতায় ফের রেফার রোগের নজির। শহরের তথাকথিত দুই বড় সরকারি হাসপাতালে ঘুরলেও চিকিৎসা পেতে লেগে গেল ১২ ঘণ্টা। দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর নদিয়া থেকে কলকাতায় আনা হয়েছিল এক যুবককে। ওই যুবক হিমোফিলিয়া আক্রান্ত হওয়ায় আভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণে ক্রমশ বাড়ছিল ভয়। যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা শুরু করার আশায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে যায় তার পরিবার। কিন্তু, চিকিৎসা পেতে কার্যত নাজেহাল হতে হয় পরিবারকে। প্রায় ১২ ঘণ্টা পর TV9 বাংলার তৎপরতায় শুরু হয় চিকিৎসা।
প্রথমে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নদিয়ার বাসিন্দা ওই যুবককে। সেখান থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় এনআরএস হাসপাতালে। সেখানে যাওয়ার পর হাসপাতালে দুই বিভাগের টানা-পোড়েনে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে ওঠে রোগী ও তাঁর পরিবারের।
নদিয়ার বাসিন্দা বছর ৩০-এর কৃপাসিন্ধু বিশ্বাস হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত। গত সোমবার সন্ধ্যায় স্কুটি নিয়ে যাওয়ার সময় পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন কৃপাসিন্ধু। তাঁর পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, প্রথমে আঘাত কতটা গুরুতর, তা বোঝা যায়নি। কিন্তু পরে দেখা যায় আভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন তিনি।
এরপর স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখান থেকেই কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়। মঙ্গলবার দুপুর প্রায় সাড়ে ১১ টা নাগাদ তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। পরিবারের অভিযোগ, এই রোগীর এখানে চিকিৎসা করা যাবে না বলে স্পষ্ট জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রেসক্রিপশনে লিখিতভাবে স্থানান্তরের কথা উল্লেখ না করা হলেও মৌখিকভাবে অন্য হাসপাতলে স্থানান্তর করার পরামর্শ দেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
তারপর সেখান থেকে রোগীকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। ‘দ্যা হিমোফিলিয়া সোসাইটি ক্যালকাটা চ্যাপ্টার’- এর তৎপরতায় বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় নদিয়ার ওই যুবককে। এরপর এনআরএস হাসপাতালে এমার্জেন্সি বিভাগের চিকিৎসকরা রোগীকে নিউরো সার্জারি করার পরামর্শ দেন। কিন্তু নিউরো সার্জারি বিভাগে গেলে চিকিৎসকদের তরফে জানানো হয়, নিউরো সার্জারির কোনও প্রয়োজন নেই। তারপর আবারও এমার্জেন্সিতে নিয়ে যাওয়া হয়। এই টানাপোড়েন চলতেই থাকে।
এর মাঝেই কেটে যায় প্রায় সাড়ে ৭ ঘন্টা। ততক্ষণে আরও অবনতি হতে থাকে রোগীর শারীরিক অবস্থা। এর জেরে নাজেহাল হয়ে পড়েন রোগীর পরিজন ও হিমোফিলিয়া সোসাইটির সদস্যরা। অবশেষে মঙ্গলবার রাত প্রায় ১২ টা নাগাদ TV9 বাংলার তৎপরতায় হিমোফিলিয়া আক্রান্ত ওই রোগীকে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।