Calcutta High Court: কোর্টে গেলে ‘চিকিৎসা’ হবে! বদলি চাওয়া শিক্ষিকাকে হুমকি দিয়ে বিপাকে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য
Teacher threatened for demanding Transfer: কসবার বাসিন্দা মৃদুলা বায়েন। তিনি কর্মরত রয়েছে সুন্দরবনের একটি স্কুলে। তাঁর দাবি, এখনকার বাসস্থান থেকে কর্মস্থলের দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার। তাই প্রায় পাঁচ বছর ধরে বদলি চেয়ে আসছিলেন তিনি। কিন্তু এতদিন ধরে বদলি চেয়ে আসার পরেও তাতে কোনও কাজ হয়নি।
কলকাতা : কোর্টে গেলে ‘চিকিৎসা’ হবে! বদলি (Transfer) চেয়ে হুমকির মুখে বাংলা শিক্ষিকা। হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্যের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শিক্ষিকা। মঙ্গলবার ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির ওই সদস্যকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। মঙ্গলবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই নির্দেশ দিয়েছেন। বিচারপতি জানিয়েছেন, আগামী ১০ বছর কোনও ম্যানেজিং কমিটিতে থাকতে পারবেন না ওই সদস্য। এমনকী ওই সময় পর্যন্ত যে কোনও সামাজিক বিষয়ক কমিটিতেও তিনি অংশ নিতে পারবেন না।
কসবার বাসিন্দা মৃদুলা বায়েন। তিনি কর্মরত রয়েছে সুন্দরবনের একটি স্কুলে। তাঁর দাবি, এখনকার বাসস্থান থেকে কর্মস্থলের দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার। তাই প্রায় পাঁচ বছর ধরে বদলি চেয়ে আসছিলেন তিনি। কিন্তু এতদিন ধরে বদলি চেয়ে আসার পরেও তাতে কোনও কাজ হয়নি। অবশেষে মৃদুলা এই বিষয়ে উচ্চ আদালতে আসার কথা জানান স্কুল কর্তৃপক্ষকে। মৃদুলার অভিযোগ, ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সামসুদ আখান তাঁকে হুমকি দেন। শিক্ষিকা জানিয়েছেন, “স্কুলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্ৰুপে হুমকি দিয়ে বলেন, যদি কোর্টে যাওয়া হয়, তবে ভাল করে আমার চিকিৎসা করবেন। অনেকের চিকিৎসা এ ভাবেই করা হয়!”
মামলাকারীর এমন বক্তব্যে সামসুদকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সামসুদ আদালতে হাজির হলে বিচারপতির প্রশ্ন, “আপনি তাঁকে চিকিৎসা করার কথা বলেছেন? কী ধরনের চিকিৎসা? আপনিই ওই মেসেজ পাঠিয়েছিলেন? স্কুলের ম্যানেজিং কমিটিতে কীভাবে এলেন ?”
উত্তরে সামসুদ স্বীকার করেন, ওই কথা তিনি বলেছিলেন। তাঁর ভুল হয়েছিল। ফের বিচারপতি প্রশ্ন, “আপনি কি করেন? ” জবাবে ওই সদস্য বলেন, “আমি স্নাতক পাশ। এখনও চাকরি পাইনি। চেষ্টা করছি।” কিছুটা নরম মনোভাব নিয়ে বিচারপতির মন্তব্য, “এখন আপনার চিকিৎসা হয়ে গিয়েছে। চলে যান। আর কোনও দিন অন্যের চিকিৎসা করার চেষ্টা করবেন না। তা হলে আদালত কঠোর পদক্ষেপ করবে!” পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে জেলা স্কুল পরিদর্শককে ওই সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন : CPIM State Conference: কমিটিতে আছেন, কিংবা দায়িত্বে আছেন, অথচ সক্রিয়তার অভাব! আত্মোপলব্ধি বামেদের
আরও পড়ুন : Hospital Negligence: জীবিত বাবাকে মৃত বানিয়ে দিল কলকাতা মেডিকেল কলেজ, অতঃপর…