দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ৮ মাস আগে সম্বন্ধ করে বিয়ে। বিয়ের পর জানতে পারেন, তাঁর স্বামী সমকামী। রাতে তাঁর শোওয়ার ঘরে বন্ধুকে ঢুকিয়ে দেন স্বামী নিজেই। খাটেই মাঝখানে স্ত্রীকে শুতে দেন, আর তাঁর পাশে বন্ধুকে। প্রাইমারি শিক্ষকের সামনেই তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন বন্ধু। বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন বছর তিরিশের এক মহিলা। অভিযোগ ঘিরে সরগরম দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবার। স্বামীর বন্ধুর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে অস্বীকার করায়, তাঁকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে বলেও অভিযোগ। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ রাতেই অভিযুক্ত বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টা, নির্যাতন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী পলাতক। তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
ফলতার বাসিন্দা ওই মহিলার সঙ্গে গত ৮ মাস আগে সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়েছিল ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দা ওই শিক্ষকের। নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, বিয়ের পর তিনি জানতে পারেন, স্বামী ও তাঁর বন্ধু সমকামী। স্বামীর বন্ধুর বাড়ি স্থানীয় এলাকাতে হলেও ওই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন তিনি। অভিযোগ, দিনের পর দিন স্বামী ও তাঁর বন্ধুর সঙ্গে এক বিছানায় রাত কাটাতে হয়েছে বধূকে। সেই সুযোগে বধূকে একাধিকবার ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন স্বামীর বন্ধু।
এমনকি বন্ধুর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য বধূর উপর নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হত বলেও অভিযোগ। সেই নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বধূ দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহিলা সমিতির। এদিন মহিলা সমিতির সহযোগিতা নিয়ে বধূ ডায়মন্ড হারবার থানায় এসে স্বামী ও তাঁর বন্ধুর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। ধৃতকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
নিগৃহীতা বলেন, “বিয়ের আগে তো কিছুই বুঝতে পারিনি। বিয়ের পর থেকে দেখতাম রোজ এক খাটে ওকে নিয়ে শুত আমার স্বামী। আমাকেও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য জোর করত। এরকম ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হব, কখনও ভাবিনি।”
এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “এরকম তো আগে বুঝিনি বাবা। দেখে তো আর বোঝাও যায় না। কী রকম গা ঘিনঘিন করছে।”