Arabul Islam: আরাবুলহীন ভাঙড়ে তৃণমূলের প্রথম সভা, লোকসভা ভোটের মুখে ‘অ্যাডমিশন টেস্টে’ শওকত?
Arabul Islam: ২০০৬ সালের বিধায়ক থেকে ২০২৪ সালের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি থাকা পর্যন্ত ৬ বার জেলে গিয়েছেন। নানা ঘাত-প্রতিঘাতে সময় অতিবাহিত হলেও নিজের জায়গা ধরে রেখেছিলেন আরাবুল।
ভাঙড়: সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আরাবুলহীন ভাঙড়ে প্রথম রাজনৈতিক সভার পথে তৃণমূল। রবিবার ভাঙড় বিজয়গঞ্জ বাজারে হচ্ছে তৃণমূলের এই সভা। আয়োজনে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকাত মোল্লা। উপস্থিত থাকার কথা রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, অভিনেত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী সায়ন্তীকা ভট্টাচার্য, লাভলি মৈত্রগের। সভাকে সফল করতে ইতিমধ্যেই ভাঙড় ১ ও ২ ব্লকজুড়ে রাতদিন প্রস্ততি সভা করেছেন শওকাত মোল্লা। নতুন প্রজন্মের কোন নেতাই মঞ্চে এখন আর আরাবুল ইসলামের নাম পর্যন্ত করছেন না। শওকাত মোল্লার জয়ধ্বনি উঠছে সভা থেকে।
তাহলে কি ভাঙড়ের রাজনৈতিক ময়দানে অতীত আরাবুল? এবার কি পাকাপাকিভাবে ভাঙড় তৃণমূল কংগ্রেসের রাশ থাকবে শওকাত মোল্লার হাতে? এখনও সেই প্রশ্ন গোটা ভাঙড়জুড়ে। এই প্রশ্নকে মাথায় রেখেই যেন আজ অ্য়াডমিশন টেস্টে শওকত মোল্লা।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৯ ইসলাম উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করে আরাবুলকে। পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তির মামলাতেই এই গ্রেফতারি। পঞ্চায়েত ভোটে বিজয়গঞ্জ বাজারে গন্ডগোলের ঘটনায় খুন, অস্ত্র আইন, খুনের চেষ্টা, সরকারি কর্মচারীদের কাজে বাধা-সহ একাধিক ধারায় মামলা হয়েছে তাঁর নামে।
২০০৬ সালে ভাঙড় বিধানসভা থেকে বিধায়ক হন আরাবুল ইসলাম। কিন্তু, বিগত কয়েক বছরে লাগাতার নানা বিতর্কে জড়িয়েছেন আরাবুল। ২০০৬ সালের বিধায়ক থেকে ২০২৪ সালের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি থাকা পর্যন্ত ৬ বার জেলে গিয়েছেন। নানা ঘাত-প্রতিঘাতে সময় অতিবাহিত হলেও নিজের জায়গা ধরে রেখেছিলেন এই বিতর্কিত নেতা। কিন্তু, আরাবুলের বন্দিদশায় কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি নিতে দেখা যায়নি তৃণমূলকে। তাহলে এখন কেন? শওকাত মোল্লার আগমনে কি তাহলে এবার রাজনৈতিক কেরিয়ার শেষ হতে চলেছে আরাবুলের! এখন সেই প্রশ্ন ভাঙড়জুড়ে।