ভাঙড়: করোনা আবহে দীর্ঘ দু’বছর পর খুলছে স্কুল। ধীরে-ধীরে বেড়েছে স্কুল পড়ুয়াদের আনাগোনা। যদিও, সরস্বতি পুজোর পর থেকে দু’দিন বন্ধ ছিল স্কুল। এদিকে, স্কুল খুলতেই শুরু রোড-সাইড রোমিওদের উৎপাত। কখনও ফুল হাতে, কখনও বাইক নিয়ে স্কুলের আশে-পাশে লাগাতার চক্কর কাটতে দেখা গেল তাদের। আর তারপর সেই খবর স্কুল শিক্ষকের কানে পৌঁছতেই হল কাল।
ঘটনাস্থান পোলেরহাট হাই স্কুল। সেখানে সোমবার স্কুল খোলার সঙ্গে-সঙ্গেই গেটের বাইরে হাজির হয়ে যায় রোমিওর দল। গ্রিটিংস কার্ড, বেলুন হাতে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেল স্কুল রোডে। সাইকেল, বাইক নিয়ে চক্কর কাটতে থাকে স্কুলের সামনে। এরপর ছাত্রীদের উত্তক্ত করার সেই খবর যায় প্রধান শিক্ষকের কাছে। তিনিও আর দেরী না করে সোজা ফোন করলেন থানায়। সেই অভিযোগ পেয়ে পোলেরহাট হাই স্কুলের বাইরে থেকে তিন ছাত্রকে আটক করে কাশীপুর থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম রোহিত মোল্লা, মাফুজ মোল্লা এবং রফিকুল আলি। তিনজনই মধ্যমগ্রাম দিয়াড়া এলাকার বাসিন্দা।
অভিযোগ, তিন যুবকই সকাল থেকে পোলেরহাট হাইস্কুলের বাইরে ঘোরাঘুরি করছিল। সঙ্গে মেয়েদের উত্তক্ত করছিল। রোমিওরা যাতে ছাত্রীদের উত্যক্ত করতে না পারে সেজন্য পোলেরহাট হাই স্কুলের সামনে সাদা পোশাকে পৌঁছে যায় কাশীপুর থানার পুলিশ।কয়েকজনকে চড়-থাপ্পড় মারে পুলিশ। কেউ কেউ আবার কান ধরে ওঠবোস করে। পুলিশের এই ভূমিকায় খুশি অভিভাবকরা।
পোলেরহাট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সন্দীপ সরকার সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, “আগেও পুলিশের সহযোগিতায় রোমিওদের দৌড় কিছুটা কমে গিয়েছিল। দীর্ঘদিন পর স্কুল চালু হওয়ায় আবার সমস্যা দেখা দিয়েছে। পুলিশ যদি মাঝে মধ্যেই এরকম সারপ্রাইজ ভিজিট করে তাহলে আমাদের স্কুল চালাতে সুবিধা হয়।”