দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ফের কুলতলিতে বাঘের আতঙ্ক। শুক্রবার রাতে কুলতলির ৫ নম্বর গরাণকাঠি এলাকার লোকালয়ে ঢুকে পড়া বাঘ ধরতে এবার পাতা হল ফাঁদ। ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচা পাতা হলেও এখনও বাঘের হদিশ মেলেনি। শনিবার সকালে নদীর তটে বাঘের পায়ের ছাপ দেখে বনকর্মীদের অনুমান পিয়ালি নদী পেরিয়ে ডোঙাজোড়া-কেল্লা এলাকায় বাঘটি ঢুকে পড়তে পারে। ফলে বনদফতরের পক্ষ থেকে ডোঙাজোড়া-কেল্লা এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করা হচ্ছে।
বাঘের আতঙ্ক কোনওভাবে পিছু ছাড়ছে না কুলতলিবাসীকেl বৃহস্পতিবার প্রথম কুলতলির গোপালগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের গায়েনের চক এলাকায় মাতলা নদীর চরে দেখা যায় বাঘের টাটকা পায়ের ছাপl এদিন মৎসজীবী দুই মহিলা নদীতে কাঁকড়া ধরতে গিয়েই বাঘ দেখতে পান বলে দাবি করেনl ওই দুই মহিলা ‘বাঘ বাঘ’ বলে চিৎকার শুরু করেন। আশেপাশ থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। চিৎকার শুনে চলে আসেন অন্য মৎস্যজীবীরাও। নৌকার বৈঠা, লাঠি নিয়ে তাঁরা তেড়ে যান।
তাঁদেরকে সুস্থভাবেই উদ্ধার করে গ্রামে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এরপরই খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। বন কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থলে পায়ের ছাপ দেখেছেন। এলাকায় রয়েছেন বনদফতরের বারুইপুর রেঞ্জের বনকর্মী-সহ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বনদফতরের এডিএফও অনুরাগ চৌধুরীl রাতভর সেখানে মশাল জ্বালিয়ে পাহারা দেন গ্রামবাসীরাl
শুক্রবার সকালে সেখানে আর বাঘের হদিশ মেলেনিl এরপর এদিন বেলা বাড়ার সময় জানা যায়, বাঘটি গায়েনেরচক থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে ৫ নম্বর গরানকাটি এলাকায় মাতলা নদীর চরে ঘোরাফেরা করছেl স্থানীয় শম্পা নস্কর নামের এক মহিলা ধীবর নদীর চরে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘটিকে দেখতে পান বলে দাবি করেন। তাঁর দাবি,বাঘটি নদীর চরে থাকা ম্যানগ্রোভের ঝোপের মধ্যে শুয়ে ছিলl
এই মুহূর্তে যেখানে বাঘটি রয়েছে সেই জায়গাটি জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। গরানকাটি এলাকা জুড়ে ব্যাপক বাঘের আতঙ্ক তৈরি হয়েছেl বন দফতর নৌকায় বাঘ ধরার লোহার খাঁচা, ঘুম পড়ানো বন্দুক নিয়ে তৈরি।
আরও পড়ুন: একবার একান্ত আলাপচারিতায় মুকুলের একটি কথায় বিস্মিত হয়েছিলেন অনুব্রতও! এবার সামনে এল সেই প্রসঙ্গ