AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sundarban: বর্ষার আগেই করুণ অবস্থা সুন্দরবনের, যত দিন এগোচ্ছে ‘ত্রাস’ হয়ে উঠছে মাতলা

Sundarban: গ্রামবাসীদের আশঙ্কা জোয়ারের সময় নদীর নোনা জল ঢুকে প্লাবিত হতে পারে গ্রামের পর গ্রাম। ক্ষতি হবে বাড়িঘর, গবাদিপশু সহ খরা চাষের ধান অন্যান্য সবজি চাষ।

Sundarban: বর্ষার আগেই করুণ অবস্থা সুন্দরবনের, যত দিন এগোচ্ছে 'ত্রাস' হয়ে উঠছে মাতলা
সুন্দরবনে নদী বাঁধে ফাটল (নিজস্ব ছবি)
| Edited By: | Updated on: Mar 20, 2022 | 10:28 AM
Share

সুন্দরবন: গতবছরের ঘটনা। অকাল বৃষ্টির পাশাপাশি বন্যায় ভেসেছিল গোটা রাজ্য। পুজোর সময়ও বাংলার আকাশে ছিল দুর্যোগের ঘনঘটা। লাগাতার বৃষ্টিতে ঘরছাড়া হয়েছিলেন প্রচুর মানুষ। বন্যা দুর্গতদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল ত্রাণ শিবিরে। ভেঙে ছিল নদীবাঁধ। ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছিল মাটির ঘরগুলি। যেগুলি অবশিষ্ট ছিল, সেই বাড়িগুলি না সারিয়ে বসবাসের যোগ্য ছিল না। এই রকমই বিভীষিকা দেখেছিল গতবছর সুন্দরবন। বছর ঘুরেছে। পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হয়েছে। আবারও ঘর বেঁধেছে সুন্দরবনের নদী তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষজন। কিন্তু ওই যে আবারও অশনি সংকেত! জানা গিয়েছে, বাসন্তী শ্লইস গেটের পাশে নদী বাঁধে ধরেছে ভাঙন। ফলে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে গোটা গ্রাম।

পূর্ণিমার ভরা কোটালে নদীবাঁধ ভাঙল সুন্দরবন এলাকায়। শনিবার সন্ধে নাগাদ প্রত্যন্ত সুন্দরবনের বাসন্তী ব্লকের উত্তর মোকামবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের  হাড়ভাঙ্গী এলাকায় স্থানীয়রা লক্ষ্য করেন নদী বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। যার জেরে গ্রামে নোনাজল ঢুকতে শুরু করেছে বলেও খবর।

গ্রামবাসীদের আশঙ্কা জোয়ারের সময় নদীর নোনা জল ঢুকে প্লাবিত হতে পারে গ্রামের পর গ্রাম। ক্ষতি হবে বাড়িঘর, গবাদিপশু সহ খরা চাষের ধান অন্যান্য সবজি চাষ। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, সুন্দরবনের মাতলা নদীর তীরবর্তী গ্রাম হাড়ভাঙ্গী গ্রামের জল নিকাশীর জন্য একটি সুইস গেট রয়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি সুইস গেটটি দীর্ঘদিন ধরে খারাপ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেই গেটের পাশ থেকে বিশালাকার ফাটল দেখা দিয়েছে নদী বাঁধে। নদীতে ভাঁটা থাকায় অল্প জল ঢুকতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই । জোয়ারের সময় নদীতে জলে চাপ বাড়বে। আর তখনই প্লাবিত হয়ে যেতে পারে গোটা গ্রাম। তাতেই ঘুম উড়েছে গোটা গ্রামের। এখন আশঙ্কায় প্রহর গুনছেন এলাকার প্রায় সতেরোশো পরিবার।

বাসন্তীর এমএলএ বলেন, “ওই এলাকায় যে নদীবাঁধ আছে সেই বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। নোনাজল ঢুকতে শুরু করেছে। আমরা জানা মাত্রই তৎক্ষনাত ইঞ্জিনিয়র ডেকেছি সারানোর জন্য।”

আরও পড়ুন: Farakka Crime: বন্ধুদের সঙ্গে যাচ্ছি বলে বেরিয়েছিল, পরে লিচু বাগানের ভিতর ভাইপোর অবস্থা দেখে স্তম্ভিত কাকা

আরও পড়ুন: Purba Bardhaman: ছাত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ, বিরোধীদের ‘ভয়ে’ লুকিয়ে শপথ তৃণমূল কাউন্সিলরের