Magrahat Civic Volunteer Murder: প্রথমে গুলি, পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলায় কোপ! দিনেদুপুরে হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ড মগরাহাটে
Magrahat Civic Volunteer Murder: শনিবার সকালে মাগুরপুকুরে একটি গরু কেনা-বেচা হাট চলছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সিভিক ভলেন্টিয়ার।
মগরাহাট: মগরাহাটের মাগুরপুকুরে জোড়া খুন। প্রথমে গুলি, তারপর গলা কেটে খুনের অভিযোগ দুই যুবককে। নিহত দু’জনের মধ্য়ে একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার অন্যজন তার বন্ধু বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার খবর জানাজানি হতেই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। সূত্রের খবর, শনিবার সকালে মাগুরপুকুরে বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারের নাম বরুণ চক্রবর্তী। তাঁর বন্ধু মলয় মাখাল। জানা গিয়েছে, বিগত ছয়মাস আগে বরুণ এবং মলয় ইমারতি দ্রব্য কেনার জন্য টাকা দেন জানেআলম মোল্লা নামে এক ব্যক্তিকে। কিন্তু ছয়মাস কেটে গেলেও সেই টাকা ফেরত দেয়নি জানেআলম। এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে দু’তরফের মধ্যে দীর্ঘদিন অশান্তি চলছিল। গতকাল রাতে সেই অশান্তি চরমে পৌঁছায়।
এরপর আজ সকালে জানেআলম টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য দুই বন্ধুকে ডেকে পাঠান মগরাহাটের মাগুরপুকুর এলাকায় একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে। অভিযোগ, সেখানে দুই বন্ধু পৌঁছতেই প্রথমে তাঁদের পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়। এরপর কুপিয়ে খুন করা হয় তাঁদের। ঘটনার খবর পাওয়ার পরই এলাকায় তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়। অভিযুক্তর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। এদিকে, স্থানীয়রা ওই এলাকা ঘিরে রাখেন। আশেপাশের দোকানগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার খবর পাওয়ার পরই এলাকায় পৌঁছেছে মগরাহাট থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ও ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও। পাশাপাশি মৃতদেহ দু’টি দেহ উদ্ধার করে তারা।
এদিকে, প্রকাশ্য দিবালোকে এই রকম ঘটনা ঘটায় এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এলাকাবাসীদের দাবি ওই এলাকায় এর আগেও দুষ্কৃতী তাণ্ডব হয়েছে। কিন্তু সেভাবে পুলিশ-প্রশাসন কোনও পদক্ষেপই করেনি। আর তার ফলে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গোটা ঘটনার বিষয়ে বিজেপি নেতা শমিক ভট্টাচার্য বলেন, “বিরোধী শূন্য রাজনীতি, আর প্রশাসনের রাজনীতিকরণ এক দলীয়, এক চেটিয়া, একাধিপত্য কায়েম করা। দল, প্রশাসন, সরকার, নেতা-নেত্রীকে একত্রে মিলিয়ে-মিশিয়ে একাকার করে দেওয়ার যে পরিণতি হয় তাই চোখে পড়ছে এখন। এটাই এই মুহুর্তের বাস্তব ছবি। আদালত বলছে এখানে আইনের শাসন নেই। রাজ্যপাল বলেছেন আইনের শাসন পশ্চিমবঙ্গে উধাও। কিন্তু তারপরও পশ্চিমবঙ্গে সরকার রয়েছে। এখানে এক দলীয় ব্যবস্থা শুরু হয়ে গিয়েছে। আর তার ফল স্বরূপ একে অন্যকে খুন করছে।”
সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ বলেন, “এই ধরনের ঘটনা রাজ্যে আকছাড় চলছে। আর তৃণমূল একে ঘরোয়া ঝামেলা, পারিবারিক বিবাদ, গ্রাম্য বিবাদ বলে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। আর এই সব বলে ওরা দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে।” অন্যদিকে, প্রাক্তন পুলিশ কর্তা সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নিন্দাযোগ্য অপরাধ। রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। দিনের আলোতেই যদি এইভাবে খুন হয় তাহলে তা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর ব্যাপার।”
আরও পড়ুন: Kankinara Blast: লেডিজ ব্যাগে বোমা, রেললাইনে ছুঁড়তেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ