South 24 Parganas: পরকীয়ার অভিযোগ, স্ত্রীর সঙ্গে তৃণমূল নেতার বিয়ে দিলেন ব্যক্তি
Man facilitated his wife's marriage: স্ত্রীর সঙ্গে তৃণমূল নেতার বিয়ে দেওয়া নিয়ে দীপঙ্কর দাস বলেন, "আমাদের বছর পনেরো বিয়ে হয়েছে। স্ত্রী অন্য সম্পর্কে জড়িয়েছেন। সহবাস করতেন। গতকাল গিয়ে দেখি, আমার ছেলেকে বাইরে বের করে দিয়ে ওরা ২ জন ঘরের ভেতর দরজা বন্ধ করে রয়েছে।"

বাসন্তী: তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছেন স্ত্রী। অনেকদিন ধরেই এই নিয়ে সন্দেহ করতেন স্বামী। অবশেষে স্ত্রীর সঙ্গে ওই তৃণমূল নেতার বিয়ে দিলেন তিনি। তবে তৃণমূল নেতার দাবি, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক নেই। মহিলাও স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর।
অভিযোগ, বাসন্তী পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য রিপন হালদারের সঙ্গে স্থানীয় ভরতগড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার একটি আইসিডিএস-র সহায়িকার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্ক জানতে পারেন ওই মহিলার স্বামী দীপঙ্কর দাস। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। তা নিয়ে পুলিশের অভিযোগ হয়। এমনকি, সালিশিসভা বসে।
মাস নয়েক আগে গোলাপি দাস মজুমদার নামে ওই আইসিডিএস সহায়িকা নিজের বিশেষ সক্ষম ছেলেকে নিয়ে একটি বাড়ি ভাড়া নেন ক্যানিং থানা এলাকায়। সেই ভাড়া বাড়িতেও রিপন যেতেন বলে অভিযোগ দীপঙ্কর দাসের। গত শুক্রবার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রিপন হালদার বাসন্তী থেকে ক্যানিংয়ে গোলাপি দাস মজুমদারের বাড়িতে এলে খবর পান দীপঙ্কর। এরপর তিনি পরিবারের লোকজন ও কিছু স্থানীয় মানুষজনকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে পৌঁছে যান। তারপরই সেখানে রিপন ও গোলাপির বিয়ে দেন তাঁরা। মালাবদল হয়। সিঁদুরদানও হয়। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়।
স্ত্রীর সঙ্গে তৃণমূল নেতার বিয়ে দেওয়া নিয়ে দীপঙ্কর দাস বলেন, “আমাদের বছর পনেরো বিয়ে হয়েছে। স্ত্রী অন্য সম্পর্কে জড়িয়েছেন। সহবাস করতেন। গতকাল গিয়ে দেখি, আমার ছেলেকে বাইরে বের করে দিয়ে ওরা ২ জন ঘরের ভেতর দরজা বন্ধ করে রয়েছে।” তিনি দাঁড়িয়ে থেকে স্ত্রীর বিয়ে দিয়েছেন জানিয়ে দীপঙ্কর বলেন, “আমি চাইছি, ওরা সুখে শান্তিতে থাকুক।”
তবে পরকীয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন বাসন্তী পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য রিপন হালদার। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁকে জোর করে ডেকে নিয়ে গিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি তাঁকে মারধর পর্যন্ত করা হয়েছে ও হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ।
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গোলাপি দাস মজুমদারও। বাসন্তী থানায় তিনি স্বামী, দেওর ও কয়েকজন প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। গোলাপির দাবি, তাঁর স্বামী তাঁকে মারধর করতেন। স্বামীর পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিশ।
