AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Suicide: গাড়ি চালানোর শখ! বাবা-মা বকাবকি করতেই…

South 24 Pargana : গতকাল সকালেও তার অন্যথা হয়নি। পাড়ার এক বাড়ির মোটর চালিত ইঞ্জিন ভ্যান নিয়ে চালিয়েছিল।

Suicide: গাড়ি চালানোর শখ! বাবা-মা বকাবকি করতেই...
আত্মহত্যা পরিবারের (প্রতীকী চিত্র)
| Edited By: | Updated on: Nov 09, 2021 | 7:03 AM
Share

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: গাড়ি চালাতে ভালবাসত খুব। মোটর চালিত ভ্যান হোক নবা বাইক গাড়ি দেখলে যেন ছটফট করে উঠত ছোটো ছেলেটির মন। কিছুতেই যেন আটকে রাখতে পারত না নিজেকে। আর এই গাড়ির প্রতি ভালোবাসার জন্যই বকা খেতে হয়েছিল বাবা-মায়ের। কিন্তু সেই বকা ভালোভাবে মেনে নিতে পারেনি কিশোর। অভিমান হয় তার। সেই অভিমান থেকেই চরম সিদ্ধন্ত। দীপাবলির দিন গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী করে সে।

দীপাবলির আলোতে নিভলো বংশের দীপশিখা। গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হল ওই স্কুল ছাত্র। ঘটনাটি ঘটেছে রাতে ক্যানিং থানার অন্তর্গত গোপালপুর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত ভদ্রী গ্রামে।

পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়। ঠিক এর পাশাপাশি অন্য কোনও কারণে ওই যুবক আত্মঘাতী হল কিনা সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে।

পরিবার সুত্রে জানা গিয়েছে, ভদ্রী গ্রামের এক দম্পতির দুই ছেলে। পরিপারের ছোট ছেলে ছিল ওই কিশোর। স্থানীয় আমতলা মোতিরাম হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র সে। ছোট থেকেই একটু দুরন্ত । অটো,ইঞ্জিন ভ্যান এমন কী পাড়ার দাদাদের কাছ থেকে বাইক নিয়েও চালাত সে। ছোট থেকেই গাড়ির প্রতি এক অদ্ভূত ভালোবাসা তৈরি হয় তার। জানা গিয়েছে,গাড়ি চালানো পুরোপুরি শিখেও ফেলেছিল সে । আর সেই কারণে যখন-তখন অন্যের গাড়ি নিয়ে রাস্তা বেরিয়ে পড়তো।

গতকাল সকালেও তার অন্যথা হয়নি। পাড়ার এক বাড়ির মোটর চালিত ইঞ্জিন ভ্যান নিয়ে চালিয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি কিশোরের মা-বাব ভালোভাবে মেনে নিতে পারেনি। বয়স কম যদি অন্য কিছু হয়ে যায়। সেই ভয় পেয়েছিল বাবা-মা। বাড়ি ফেরার পর এমন ঘটনায় ছেলেকে সামান্য বকাঝকা করে কাজে বেরিয়ে গিয়েছিলেন বাবা। কাজে বেরিয়েছিলেন ছেলেটির মা-ও।

আরও পড়ুন: Suvendu SAdhikari: ‘সরকারি টাকা নয়ছয় করছে শাসক দল’, ক্যাগ অডিটের দাবি তুললেন শুভেন্দু

সেই সুযোগে রাতেই রাগে অভিমানে নিজের ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই কিশোর। এরপর প্রতিবেশীরা জানতে পেরে তড়িঘড়ি নেপালকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আচমকা এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর ভদ্রী গ্রামে পৌঁছালে রাতে এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।

আরও পড়ুন: Hospital Fire: হঠাৎই হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক আইসিইউয়ে ভয়াবহ আগুন, মৃত্যু চার শিশুর

আরও পড়ুন: Jalpaiguri: মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশে হল কাজ, জেলায় ডেঙ্গি প্রতিরোধে উদ্যোগী প্রশাসন!