Garia Bus stand: রাতারাতি গড়িয়া থেকে ‘উধাও’ বাসস্ট্যান্ড! তবে কি…., চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা
West bengal: তবে সোনারপুর উত্তর বিধানসভার বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম বলেন,"আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখব। রাস্তার উন্নয়ন করা হলেও বাস রাখার বিকল্প জায়গা কোথাও করা যায় কি না, তাও দেখা হচ্ছে ।" বাসস্ট্যান্ডের জমি ব্যক্তি মালিকানাধীন কি না তাও তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

গড়িয়া: গড়িয়া স্টেশনের ঠিক পাশেই রয়েছে সি-৫ বাসস্ট্যান্ড। প্রায় চল্লিশ বছরের পুরনো এই স্ট্যান্ডটি। সেই বাসস্ট্যান্ডটি এখন ‘উধাও’। মেলার নাম করে দখল করা হয়েছে এই বাসস্ট্যান্ডটি বলে দাবি করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। চার দশকেরও বেশি পুরনো এই বাসস্ট্যান্ডকে মেলার নামে ঘিরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বর্ষীয়ান বামনেতা সুজন চক্রবর্তী সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন, শাসকদলের মদতে প্রমোটিং চক্র এই জায়গার দখল নিয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের অত্যন্ত পরিচিত এই ল্যান্ডমার্ক আজ কার্যত অচল।
বস্তুত, বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন এই সি–৫ বাসস্ট্যান্ড ঘিরে আন্দোলনে নেমেছিলেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একসময় এই এলাকার সাংসদও ছিলেন তিনি। অথচ এখন তাঁর দলেরই একাংশের মদতে বাসস্ট্যান্ডটিকেই ঘিরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ। অনেকের আশঙ্কা, এখানে বহুতল নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে। আর তাতে আঙুল উঠছে রাজপুর–সোনারপুর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পিন্টু মণ্ডলের।
তবে সোনারপুর উত্তর বিধানসভার বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম বলেন,”আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখব। রাস্তার উন্নয়ন করা হলেও বাস রাখার বিকল্প জায়গা কোথাও করা যায় কি না, তাও দেখা হচ্ছে ।” বাসস্ট্যান্ডের জমি ব্যক্তি মালিকানাধীন কি না তাও তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, রাতারাতি বাসস্ট্যান্ড বন্ধ হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন নিত্যযাত্রী ও বাসচালকরা। আগে যেখানে প্রতিদিন ২০০টিরও বেশি বাস এই স্ট্যান্ড থেকে ছাড়ত, এখন সেই সংখ্যা নেমে এসেছে মাত্র ৫০-এ। সরকারি বাস পরিষেবা থেকে হাওড়া, বিবাদীবাগ, পাইকপাড়া,কলকাতা স্টেশন—সব রুটেরই বাস পাওয়া যেত এই স্ট্যান্ড থেকে। কিন্তু এখন বদলেছে পরিস্থিতি।
বাসচালক অরূপ চন্দ্র বলেন,”বাসস্ট্যান্ড না থাকায় প্রতিদিন যাত্রীদের গালাগাল শুনতে হচ্ছে।” চালক গোপীনাথ সরদার আশঙ্কা করছেন, পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে, বাস কমে যাবে আরও। স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জয় শীলের বলেন,”ব্যস্ত সময়ে গড়িয়া এলাকায় যাতায়াত আজ দুঃসহ। বাস ধরতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। সব বাস স্ট্যান্ডে ঢুকছে না। রাস্তা থেকে বাস ধরতে হচ্ছে।”
