Sonarpur murder: জোরে-জোরে বক্স বাজাতে চাপ, অস্বীকার করায় যুবককে কুপিয়ে খুন প্রতিবেশীর
জানা গিয়েছে, সনাতনদের বাড়িতে কালীপুজো হয়। সেই কারণে তিনি বক্স বাজাচ্ছিলেন। তবে এক হার্টের অসুখের রোগী থাকেন তাঁরই বাড়ির পাশে। জোরে-জোরে বক্স চালানোয় অসুস্থ বোধ করছিলেন তিনি। সেই কারণে তাঁদের অনুরোধে রাতে সাউন্ড সিস্টেম খুলে নিয়ে বাড়ি চলে যান সনাতন।

সোনারপুর: ভয়াবহ ঘটনা সোনারপুরে। কালীপুজোর রাতে উচ্চস্বরে মাইক বাজাতে অস্বীকার করায় এক যুবককে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। মৃতের নাম সনাতন নস্কর। তিনি কুস্তিয়া এলাকার বাসিন্দা। ইতিমধ্যেই দু’জন অভিযুক্তকে আটক করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, সনাতনদের বাড়িতে কালীপুজো হয়। সেই কারণে তিনি বক্স বাজাচ্ছিলেন। তবে এক হার্টের অসুখের রোগী থাকেন তাঁরই বাড়ির পাশে। জোরে-জোরে বক্স চালানোয় অসুস্থ বোধ করছিলেন তিনি। সেই কারণে তাঁদের অনুরোধে রাতে সাউন্ড সিস্টেম খুলে নিয়ে বাড়ি চলে যান সনাতন। সেই সময় পিন্টু সাহা ও তাঁর স্ত্রী নামে অন্য প্রতিবেশী সনাতনদের বাড়ি যান। আর তারপর পুজো মণ্ডপে বক্স বাজাতে চাপ দেন। কিন্তু সনাতন রাজী হননি।
এরপরই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সানাতনের পরিবারের সঙ্গে পিন্টু তাঁর স্ত্রী বচসা বাধে। অভিযোগ, সনাতনের মা ও তাঁর ভাইকে প্রথম মারধোর করে বলে অভিযোগ। পরে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গেলে সনাতনকে ছুরি দিয়ে শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত করে পিন্টু বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর পিন্টু ও তাঁর স্ত্রী ঘটনাস্থল ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের সোনারপুর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এই ঘটনার সঙ্গে পিন্টুর আরও দুই আত্মীয় জড়িত আছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। গভীর রাতে সোনারপুর থানার পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে পুলিশ। দুজনকে আটক করে এই ঘটনার সঙ্গে আরও যাঁরা যুক্ত রয়েছে তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
