Pathar Pratima: বিজেপি করেন, দম্পতিকে বেধড়ক মারধরের পর বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ
Pathar Pratima: মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব নায়েক বলেন, "মথুরাপুরে ভোট পরবর্তী হিংসা চলছেই। যে কয়েকটা জায়গাকে এপিসেন্টার তৈরি করেছে, তার মধ্যে হচ্ছে গোবর্ধনপুর থানা এলাকা। পাথরপ্রতিমায় বিজেপি কর্মীদের মারধর, বাড়িঘর ভাঙচুর করা হচ্ছে। "
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। মথুরাপুর লোকসভার পাথরপ্রতিমার গোবর্ধনপুর উপকূল থানার শ্রীধরনগরে বিজেপি কর্মী দম্পতিকে বেধড়ক মারধর, বাড়ি ভাঙচুর ও লুঠপাটের অভিযোগ উঠল শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর পর এফআইআর তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়ার পাশাপাশি দম্পতিকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এরপর পুলিশের উপস্থিতিতে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন দম্পতি।
ঘটনার পর থেকে আতঙ্কিত ওই পরিবার গ্রাম ছেড়েছেন। বর্তমানে জয়নগর এলাকায় বাড়ি ভাড়া করে আছেন ওই দম্পতি। ওই বিজেপি কর্মী ডিআইজি, সুন্দরবনের পুলিশ সুপার, কাকদ্বীপের এসডিপিওকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ অভিযোগের তালিকায় গোবর্ধনপুর কোস্টাল থানার ওসি চন্দন পণ্ডিত ও সিভিক ভলান্টিয়ার তাপস মাইতির নাম রয়েছে। সুন্দরবন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। তবে পাথরপ্রতিমার তৃণমূল বিধায়ক সমীর জানা, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা গোলমালের অভিযোগ তুলেছেন। অন্যদিকে দলীয় কর্মীদের ঘরছাড়ার ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছে মথুরাপুর বিজেপি নেতৃত্ব।
মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব নায়েক বলেন, “মথুরাপুরে ভোট পরবর্তী হিংসা চলছেই। যে কয়েকটা জায়গাকে এপিসেন্টার তৈরি করেছে, তার মধ্যে হচ্ছে গোবর্ধনপুর থানা এলাকা। পাথরপ্রতিমায় বিজেপি কর্মীদের মারধর, বাড়িঘর ভাঙচুর করা হচ্ছে। ”
পাথরপ্রতিমার তৃণমূল বিধায়ক সমীর জানা বলেন, “আমার কাছে এই ধরনের কোনও খবর নেই। পাথরপ্রতিমা এ নজির নেই, যে তৃণমূল জিতে যাওয়ার পর বিজেপিকে অত্যাচার করে। ভোটের সময়ে বিজেপি কর্মীরা যে অসভ্যতা করেছেন, তা সহ্য করেছি। এরকম ঘটেছে কিনা খোঁজ নিয়ে দেখব। এসব নাটক এখানে চলে না।”