পাথরপ্রতিমা: ইতিউতি খবরটা শোনা যাচ্ছিল অনেকক্ষণ ধরেই। কেউ বলেছেন, ‘বোধহয় খুন’ কেউ বা বলছেন, ‘আত্মহত্যা’। এইসবের মধ্যেই যখন চিৎকার জুড়ে দিলেন যুবকের মা তখন সন্দেহ আরও গাঢ় হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। তবে বিপদ যে কিছু একটা হয়েছে তার আঁচ করতে পারছিলেন তাঁরা। পরে দোকানের সামনে যেতেই সত্যিটা সামনে এল।
বন্ধ দোকানের ভিতর থেকে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছাড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমায়। রবিবার দুপুরের ঘটনা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধারে গেলে বাধা পেতে হয় তাদের। এমনকী পুলিশকে ঘিরে ধরে দফায়-দফায় চলে বিক্ষোভও। পরে পাথরপ্রতিমা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে সন্ধে নাগাদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মৃত যুবকের নাম শুভময় মাইতি (১৯)। স্থানীয় সূত্রে খবর, গোটা ঘটনায় অভিযোগের তির মৃত শুভময়ের বাবারই বিরুদ্ধে। প্রথমে শুভময়ের বাবা গৌরহরি মাইতিকে আটক করে পুলিশ। রাতে গৌরহরিকে গ্রেফতার করা হয়। মৃত যুবকের দেহ ময়নাতদন্ত হবে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় পুলিশ। একটি খুনের মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। টাকা-পয়সা নিয়ে বচসার জেরে এই খুন বলে পুলিশের অনুমান।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রের খবর, শুভময় পেশায় অটোচালক। এদিন সকালে বন্ধ দোকানের সামনে গিয়ে হঠাৎ করে ছেলের মৃত্যু হয়েছে বলে চিৎকার জুড়ে দেন শুভময়ের মা কাজল মাইতি। সন্দেহ হয় এলাকাবাসীর। চেপে ধরেন মহিলাকে। এরপর বাড়ি থেকে মৃত যুবকের বাবা গৌরহরি মাইতিকে তুলে আনেন এলাকার মানুষ। গণ্ডগোলের খবর পেয়ে পুলিশ আসে। কিন্তু এলাকাবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে পিছু হটে পুলিশ। পরে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।