Sundarbans Tiger Panic: ঘাড় মটকে পড়ে রয়েছে, গভীর ক্ষত দিয়ে বের হচ্ছে টাটকা রক্ত! ভোরে পোষ্যের অবস্থাই আতঙ্কের জানান দিল

Sundarbans Tiger Panic: গোসাবার লোকালয়ে আবারও বাঘের আতঙ্ক। মঙ্গলবার সকালে গোসাবার বালি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মথুরাখণ্ড বাঘের পায়ের ছাপ লক্ষ্য করা যায়।

Sundarbans Tiger Panic: ঘাড় মটকে পড়ে রয়েছে, গভীর ক্ষত দিয়ে বের হচ্ছে টাটকা রক্ত! ভোরে পোষ্যের অবস্থাই আতঙ্কের জানান দিল
সুন্দরবনে ফের বাঘের আতঙ্ক (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 11, 2022 | 9:14 AM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ঘাড়ের কাছে গভীর ক্ষত। মাংস খুবলে বেরিয়ে এসেছে। প্রায় ঘাড় মটকে পড়ে রয়েছে। ভোরে পোষ্যের এমন অবস্থা দেখেই বুকটা কেঁপে ওঠেছিল ওঁদের। মনে মনে সন্দেহ দানা বেঁধেছিল। তবে কি আবার….? পরে নদীর চরে ভেজা মাটিতে পায়ের ছাপ দেখেই আশঙ্কা সত্যি হয় ওঁদের। ফের সুন্দরবনের বাঘ ঢুকল লোকালয়ে। ইতিমধ্যেই তার শিকার হয়েছে এক ছাগল।

গোসাবার লোকালয়ে আবারও বাঘের আতঙ্ক। মঙ্গলবার সকালে গোসাবার বালি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মথুরাখণ্ড বাঘের পায়ের ছাপ লক্ষ্য করা যায়। গ্রামের নদীর পাড় সংলগ্ন এলাকায় মঙ্গলবার সকাল থেকেই গ্রামবাসীদের নজরে আসে বাঘের একাধিক পায়ের ছাপl এমনকি লোকালয়ের একটি বাড়িতে এক ছাগলের দেহও উদ্ধার হয়। উল্কাগতিতে ছড়িয়ে পড়ে খবর। ইতিমধ্যেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশ ও বনকর্মীরা।

বাঘের পায়ের ছাপ দেখে গ্রামবাসীরা মনে করছেন, পিরখালি জঙ্গল থেকে বাঘ বিদ্যা নদী সাঁতরে ঢুকে পড়েছে মথুরাখণ্ড গ্রামেl আতঙ্কের প্রহর গুনছেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের বিদ্যা রেঞ্জের বন কর্মীরাl গিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক সুব্রত মন্ডলওl

প্রসঙ্গত, লোকালয়ে বাঘের হানা এখন নিত্য দিনের বিষয় হয়ে উঠেছে গোসাবায়। ঠিক দশ দিন আগেই গোসাবার গ্লাসখালি ও এমলিবাড়ি গ্রাম লাগোয়া নদীর চরে বাঘের পায়ের ছাপ দেখে আতঙ্ক ছড়ায়। আশঙ্কা সত্যিও হয় গ্রামবাসীদের। চরঘেরি এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছিল বাঘটি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন বনকর্মীরা। গোসাবার গ্লাসখালি ও এমলিবাড়ি গ্রাম লাগোয়া নদীর চরে বাঘের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন বনকর্মীরা। ঠিক সে সময় বাঘের হামলার শিকার হন এক বিট অফিসার।

ঝোপের ভিতর থেকে বাঘটি এসে থাবা মারে তাঁর গালে। গভীর ক্ষত তৈরি হয় গালে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। ঠিক তার আগের সপ্তাহের পরিস্থিতি হয় আরও জটিল। ৬ দিন ধরে বাঘবন্দির খেলার সাক্ষী ছিলেন সুন্দরবনবাসী। ডিসেম্বরের মাঝমাঝি সময়ের ঘটনা। বাঘকে ধরতে গিয়ে গত ছ’দিনে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি বনকর্মীদের।

ট্রাঙ্কুলাইজার নিয়ে বনকর্মীদের অভিযান, পিয়ালি নদী থেকে দমকলকর্মীদের জল স্প্রে, জঙ্গলে লঙ্কা বোমা নিক্ষেপ- কী না করা হয় সেবার! তার গর্জন শোনা যাচ্ছিল, দেখা যাচ্ছিল পায়ের ছাপও। কিন্তু নাগালে আসছিল না সে। শেষমেশ বাঘটির দেখা মিলতেই পরপর দুটি ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়া হয়। গুলি করার কিছুসময় পরেই নিস্তেজ হয়ে পড়ে বাঘটি। পুরোপুরি নিস্তেজ হয়ে গেলে ডোরাকাটাকে পরীক্ষা করতে যান পশু চিকিৎসক ও অন্যান্য উচ্চ পদস্থ কর্মীরা।

বনদফতরের তরফে রামগঙ্গা রেঞ্জের অন্তর্গত ঢুলিভাসানি ৪ নম্বর জঙ্গলেরামগঙ্গা রেঞ্জের জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল সেই বাঘটিকে। নতুন করে বাঘের ঢোকায়, আবার প্রহর গুনতে শুরু করেছেন গ্রামবাসীরা।

আরও পড়ুন: মাথার ছাদ খসে পড়তেই ছুটে বিচারকের শরণাপন্ন আইনজীবীরা