AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

TMC: কথাকাটাকাটি থেকে শুরু, শেষে দলের যুব নেতাকেই বেধড়ক মার! জ্বলল বাড়ির পর বাড়ি

Basanti: শাসক শিবিরের এমন হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। ক্যানিংয়ের এসডিপিও গোবিন্দ শিকদারের নেতৃত্বে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। তল্লাশি চালিয়ে ৬ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেন তাঁরা

TMC: কথাকাটাকাটি থেকে শুরু, শেষে দলের যুব নেতাকেই বেধড়ক মার! জ্বলল বাড়ির পর বাড়ি
বাসন্তীতে পুলিশি প্রহরা, নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Nov 08, 2021 | 10:03 PM
Share

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন এলাকার তৃণমূল যুব নেতা। সেইসময় আচমকা, তাঁকে দেখে কটূক্তি শুরু করেন তৃণমূলের (TMC) কয়েকজন নেতা বলে অভিযোগ। সেখান থেকেই শুরু কথাকাটাকাটি, বচসা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বাসন্তী। চলে লুঠপাঠ। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ঘরের পর ঘর অভিযোগ এমনটাই। হামলার ঘটনায় মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ঠিক কী হয়েছিল এদিন? বাসন্তীর ৪ নম্বর পেটুয়া খালি গ্রামের যুব তৃণমূল নেতা নুরু ইসলাম বাজার করে ফিরছিলেন। সেইসময়ে স্থানীয় মাদ্রাসা মোড় এলাকায় তাঁর সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের বচসা বেঁধে যায়। অভিযোগ, সেই বচসার জেরে নুরু ইসলামকে বেধড়ক মারধর করা হয়।  তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী  আব্দুল রহিম গাজি ও তাঁর সঙ্গীরা মারধর করেন বলে অভিযোগ।

এদিকে তাঁদের নেতাকে মারধরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন যুব তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। তাঁরা  তৃণমূল কর্মীদের উপর লাঠি-রড নিয়ে পাল্টা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এরপরই, যুব তৃণমূল নেতারা তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে লুঠপাঠ করে বলে অভিযোগ। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ঘরের পর ঘর। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

শাসক শিবিরের এমন হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। ক্যানিংয়ের এসডিপিও গোবিন্দ শিকদারের নেতৃত্বে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। তল্লাশি চালিয়ে ৬ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেন তাঁরা। এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। তৃণমূল বিধায়ক শ্যামল মণ্ডলের দাবি, এই ঘটনায় তৃণমূলের কেউ যুক্ত নয়। বরং, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই কাজ করেছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পদ্ম শিবির।

তবে বাসন্তীতে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল নতুন কোনও ঘটনা নয়। ভোট-আবহে, ফুলমালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। পঞ্চায়েত দখলকে কেন্দ্র করে চলে গোলাগুলিও। গুলিবিদ্ধ হন নুরুল হাসান নামে এক তৃণমূল কর্মী। অন্যদিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় মনোয়ারা নামে অপর তৃণমূল নেতার। চলে ব্যাপক মারধর ভাঙচুর।

গতকালই আইএসএফ ও পুলিশের খণ্ডযুদ্ধে কার্যত উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বাসন্তী হাইওয়ে। রাতভর চলেছে নাকা চেকিং। পুলিশি নিরাপত্তায় ২৪ ঘণ্টা পেরলেও থমথমে ভাঙড়। ইতিমধ্যেই ২৪ জনকে ওই ঘটনায় আটক করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: Dengue: বিধাননগরে ‘আতুঁড়ঘর’ ডেঙ্গুর! এলাকায় আবর্জনার স্তুপ, পাশেই আবার কাঁচা নর্দমা