SIR in West Bengal: ফের তৃণমূল যোগ! বারুইপুরে শোকজ দুই বিএলও-সহ ERO-AERO
SIR: এখানেই শেষ নয়, অভিযোগ এই এলাকায় শুধুমাত্র তৃণমূলেরই বিএলএ ২ কাজ করতে পেরেছেন। বিরোধী শিবিরের কেউ কাজ করতে পারেনি। গোটা বিষয়টি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের নজরে আসতেই নেওয়া হয় কড়া পদক্ষেপ। চাপানউতোর এলাকার রাজনৈতিক থেকে নাগরিক মহলে।

বারুইপুর: আবার শোকজ। এবার বারুইপুর পূর্বের দুই বিএলও-কে শোকজের ঘটনা নিয়ে চাপানউতোর। বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার মধ্যেই রয়েছে হাড়দহ গ্রাম পঞ্চায়েত। ওই পঞ্চায়েতের মধ্যেই থাকা ৯৪ নম্বর বুথে ঘটেছে এই ঘটনা। সূত্রের খবর, আগে এই বুথে বিএলও হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সোমা সেন নামে এক অঙ্গনওয়ারি কর্মীকে। এদিকে তিনি আবার এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। এমনকী স্থানীয় রামনগর দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য। কিন্তু তাঁর কাঁধে কীভাবে বিএলও-র দায়িত্ব এল সেই প্রশ্ন ওঠে। অভিযোগ জমা পড়তেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
সূত্রের খবর, আগের বিএলও-র রাজনৈতিক যোগ নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই তড়িঘড়ি দেবী হালদার নামে আরও এক অঙ্গনওয়ারি কর্মীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু দেখা যায় দেবী হালদার শারীরিকভাবে অসুস্থ। ফলে তিনি দায়িত্ব পেলেও কোনও কাজ করে উঠতে পারেননি। তাঁর পরিবর্তে তাঁরই পরিবারের এক সদস্য তাঁর কাজ করতে থাকেন। তিনি আবার ৯৬ নম্বর বুথের বিএলও-ও। ফলে তা নিয়েও বাড়তে থাকে চাপানউতোর। এখন শোকজ করা হয়েছে সোমা সেন ও দেবী হালদারকে।
এখানেই শেষ নয়, অভিযোগ এই এলাকায় শুধুমাত্র তৃণমূলেরই বিএলএ ২ কাজ করতে পেরেছেন। বিরোধী শিবিরের কেউ কাজ করতে পারেনি। গোটা বিষয়টি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের নজরে আসতেই নেওয়া হয় কড়া পদক্ষেপ। এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোর চলছে। হতবাক এলাকার লোকজনও। সুর চড়াচ্ছে বিরোধীরাও। এখন শোকজে ওই বিএলও-রা কী উত্তর দেন সেটাই দেখার। উত্তর দিতে হবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে। শোকজ লেটার গিয়েছে এলাকার ইআরও ও এইআরও-দের কাছেও। এই সময়সীমার মধ্যে উত্তর দিতে হবে তাঁদেরও।
