TMC: ‘তোলা তুলে, চাকরি বিক্রি করে খাই না’, বিশ্বজিৎ দাসকে নিশানা তৃণমূল নেতার
TMC inner conflict: ২০১৯ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর ফের তৃণমূলে ফিরে আসেন। এই নিয়ে দলের জেলা সভাপতিকে খোঁচা দিয়ে সৌমেন দত্ত বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেসের নাম ভাঙিয়ে খাচ্ছে। ২০১৯ সালে দলকে ভাসিয়ে অন্য দলে গিয়েছিল। তারা জ্ঞান দেবে আর আমাদের শুনতে হবে? আমি ব্যবসা করে খাই। তোলা তুলে খাই না। চাকরি বিক্রি করে খাই না। সভাপতির বাড়ি যারা পাহারা দেবে, তারা পদ পাবে। ওরকম নেতা হতে আমরা চাই না।"

বনগাঁ: আর কয়েকমাস পর বিধানসভা নির্বাচন। আর আগে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সামনে আসছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এবার তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসকে আক্রমণ করলেন বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি সৌমেন দত্ত। বিশ্বজিৎ দাসকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “আমি দালালি করে খাই না। তোলা তুলে খাই না। চাকরি বিক্রি করে খাই না।” নাম না করে দলের জেলা সভাপতিকে নিশানা করলেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান মমতাবালা ঠাকুরও। দলের নেতাদের আক্রমণের জবাব দিলেন বিশ্বজিৎ দাসও।
সম্প্রতি বিশ্বজিৎ দাস ও মমতাবালা ঠাকুরের মতবিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে। কয়েকদিন আগে গোপালনগরে দুটি বিজয়া সম্মিলনী দলের একাংশকে তোপ দেগে বিশ্বজিৎ দাস বলেছিলেন, “দলের মধ্যে উপদল করা যাবে না। প্রধানের কাজ চালাচ্ছে পরিবারের লোক, এটা করা যাবে না।” শুক্রবার গোপালনগরেরই বৈরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজয়া সম্মিলনী থেকে বিশ্বজিৎ দাসের নাম করে পাল্টা আক্রমণ শানালেন বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সৌমেন দত্ত। তিনি বলেন, “আমি সাত বার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য হয়েছি। একবার হেরে গিয়েছিলাম। দলের একাংশ হারিয়ে দিয়েছিল। সেই সময় ভূমিকা ছিল এই বিশ্বজিৎ দাসের।”
২০১৯ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর ফের তৃণমূলে ফিরে আসেন। এই নিয়ে দলের জেলা সভাপতিকে খোঁচা দিয়ে সৌমেন দত্ত বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের নাম ভাঙিয়ে খাচ্ছে। ২০১৯ সালে দলকে ভাসিয়ে অন্য দলে গিয়েছিল। তারা জ্ঞান দেবে আর আমাদের শুনতে হবে? আমি ব্যবসা করে খাই। তোলা তুলে খাই না। চাকরি বিক্রি করে খাই না। সভাপতির বাড়ি যারা পাহারা দেবে, তারা পদ পাবে। ওরকম নেতা হতে আমরা চাই না।”
সৌমেন দত্তর মতো বিশ্বজিৎ দাসের নাম নেননি মমতাবালা ঠাকুর। নাম না করেই তিনি বলেন, “যিনি হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, তিনি ২০২১ সালে কী করেছেন। আবার দলে ফিরে এসেছেন।” তিনি অবশ্য দলে কোনও গোষ্ঠীকোন্দল নেই বলে দাবি করেন।
দলের দুই নেতা-নেত্রীর আক্রমণ নিয়ে বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ওই মিটিং বৈধ নয়। দলের কাছ থেকে কোনও অনুমোদন নেওয়া হয়নি। এরপরই তাঁর বক্তব্য, “যাঁরা পদে থেকেও দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছেন না। দল বারবার হারছে। আমি তাঁদের কথা বলেছি। তাঁদের প্রতি কর্মীদের অসন্তোষ রয়েছে। যাঁদের আঁতে ঘা লাগছে, তাহলে বুঝতে হবে ডালমে কুচ কালা হে।”
