ভাঙড়: ৪১ দিন পর জামিনে ছাড়া পেয়েছেন নওশাদ সিদ্দিকি (Naushad Siddiqui)। শনিবার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে বেরিয়ে হুগলির ফুরফুরায় নিজের বাড়ির পথে রওনা দেন তিনি। তাঁর জামিনের পর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম বলেন, “ভাঙড়ে তাণ্ডব করতে আসলে নওশাদকে ছেড়ে কথা বলবো না।”
শনিবারে বিকেলে ভাঙড় বিজয়গঞ্জ বাজারে চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি সভা করেন আরাবুল ইসলাম। যেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা অদুদ মোল্লা, মমিনুল ইসলাম, মোদাসসের হোসেনরা। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনই হুশিয়ারি দেয় আরাবুল ইসলাম। তিনি বলেন, “নওশাদ সিদ্দিকি যদি মনে করেন হাতিশালা-কলকাতায় যে তাণ্ডব চালিয়েছেন ভাঙড়েও সেই তাণ্ডব চালাবেনতাহলে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে কথা বলবে না। এখন সিপিএম-এর কিছু নেতা ওদের সঙ্গে জোট বাধার চেষ্টা করছে। আমাদের তাদের চিহ্নিত করতে তারা কারা। আজকে সিপিএমন বেরিয়ে গেলে আইএসএফ থাকবে। তাই আপনাদের লড়াই করতে হবে।”
একা আরাবুল নয়, পাশাপাশি এ দিনের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভোগালি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মোদাসসের হোসেন বলেন, “২০০৮ সালে সিপিএম-কে লেটকে আমরা পঞ্চায়েতে এসেছি। আজকে রাজ্যের ক্ষমতা, পঞ্চায়েতের ক্ষমতা, আর আজ নওসাদ সিদ্দিকি ধর্মতলায় গিয়েছিলেন হিরো হতে। ফিরেছেন খলনায়ক হয়ে। আজ জামিন পেয়েছে। আজ যারা মিষ্টি খাচ্ছে তাঁরা আমাদের কাছ থেকে ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়েছে।”
উল্লেখ্য, ২১ জানুয়ারি গ্রেফতার হয়েছিলেন নওশাদ সিদ্দিকি। একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছিল। এরপর লালবাজারের লকআপ, আদালত, পুলিশ হেফাজত, জেল হেফাজত শেষে ৪১ দিন পর জেলের বাইরে। দু’দিন আগেই জামিন পান নওশাদ সিদ্দিকি। তবে কাগজপত্র তৈরি হতে সময় লাগায় সংশোধনাগারেই থাকতে আইএসএফ বিধায়ককে। এরপর আজ মুক্তি পান তিনি।