Badhaka Bhata: বার্ধক্যভাতা দেওয়ার নামে বাড়ি থেকে বৃদ্ধাকে তুলে নিয়েগেলেন তৃণমূল নেতা! কেন?
South 24 pargana: স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বামনঘাটা গ্রামের উর্মিলা নস্করের বিয়ে হয়েছিল ভাঙড় থানার মাধবপুর এলাকায়।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রাজ্য সরকারের প্রকল্প দুয়ারে পৌঁছে দিতে সহায় স্থানীয় প্রশাসন। পঞ্চায়েত সদস্য, কাউন্সিলর বা বিধায়কদের হাতে ন্যস্ত দ্বায়িত্ব। আর সেখানেই যেন মাছ পাহারায় খোদ বিড়াল! বার্ধক্যভাতা দেওয়ার নামে এক অসহায় বৃদ্ধার জমি নিজের নামে লিখিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করল তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। অভিযুক্তের নাম নিত্যগোপাল মণ্ডল। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় বামনঘাটায়। যদিও অভিযুক্ত উপপ্রধান অস্বীকার করেছে বৃদ্ধার দাবি। বরং তার কাছে ওই বৃদ্ধাই নাকি জমি বিক্রির জন্য এসেছিলেন। উল্টে বৃদ্ধার ভাইপোদের বিরুদ্ধে তাকে অকারণে মারধর করার অভিযোগ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হবেন বলে তার দাবি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বামনঘাটা গ্রামের উর্মিলা নস্করের বিয়ে হয়েছিল ভাঙড় থানার মাধবপুর এলাকায়। কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর পর অতি কষ্টে নিজের পৈত্রিক ভিটেতে দিন গুজরান করছেন তিনি। একমাত্র ছেলে রোজগেরে হলেও সংসারে অভাব কখনওই পিছু ছাড়েনি। ঠিক এই সুযোগটাই নাকি কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন অভিযুক্ত নিত্যগোপাল। বার্ধক্যভাতা দেওয়ার নামে অসহায় ওই বৃদ্ধাকে কার্যত বাড়ি থেকে ‘তুলে’ নিয়ে যান তিনি। এরপর সটান চলে আসে ভাঙড় বিএলআরও অফিস। অভিযোগ, টাকা পাওয়ার জন্য সই করতে হবে এই অছিলায় সম্পত্তি হস্তান্তরের কাগজে উপপ্রধান ওই বৃদ্ধাকে দিয়ে সই করাতে চেয়েছিলেন। যদি বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাওয়ায় পরিকল্পনায় ইতি টানেন তিনি। যদিও বৃদ্ধার তরফে তোলা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নিত্যগোপাল।
তাঁর দাবি, বৃদ্ধি তার কাছে জমি বিক্রির চেষ্টা করেছিল। কারণ তাঁর সম্পর্কে দিদি হন উর্মিলাদেবী। তাই আইন অনুযায়ী তাকে বিএলআর ও অফিসের আনা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে হঠাৎ তাঁর উপর চড়াও হয় বৃদ্ধার ভাইপোরা। এরপর ব্যাপক মারধর করে তাকে। সেই অভিযোগ তিনি পুলিশের কাছে জানিয়েছেন বলে দাবি করেন। তবে এর পিছনে সত্যি ঘটনা কী তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।