BJP TMC Clash: ক্যানিংয়ে বিজেপির মণ্ডল সম্পাদককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ, ‘সব বহিরাগত’, পাল্টা বলছে তৃণমূল
BJP TMC Clash: অভিযোগ, যে সময় এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছিলেন বিজেপি কর্মীরা তখনই আচমকা জিয়ারুল মণ্ডলের উপর চড়াও হয় বেশ কয়েকজন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। লাঠি, লোহার রড, কোদালের বাঁট দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। এলাকায় বিজেপি করা যাবে না বলে হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
ক্যানিং: ফের রাজনৈতিক সংঘর্ষে তপ্ত ক্যানিং। বিজেপির (BJP) এক মণ্ডল সম্পাদককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল (Trinamool Congress) আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ক্যানিং থানার অন্তর্গত নিকারীঘাটা পঞ্চায়েতের নারিকেলতলা এলাকায়। গুরুতর জখম ক্যানিং পশ্চিমের ২ নম্বর মণ্ডলের সম্পাদক জিয়ারুল মণ্ডল। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক ছিল ক্যানিংয়ের নারিকেলতলা এলাকায়। সেখানেই যাচ্ছিলেন নিকারিঘাটা, গোপালপুর ও ইটখোলা গ্রামের দলীয় কর্মীরা।
অভিযোগ, যে সময় এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছিলেন বিজেপি কর্মীরা তখনই আচমকা জিয়ারুল মণ্ডলের উপর চড়াও হয় বেশ কয়েকজন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। লাঠি, লোহার রড, কোদালের বাঁট দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। এলাকায় বিজেপি করা যাবে না বলে হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তাতেই লুঠিয়ে পড়েন ওই বিজেপি নেতা। দলের কর্মীরাই তাঁকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। যদিও তৃণমূলের দাবি ওখানে কোনও বিজেপি কর্মী নয়। সব বহিরাগতরা জড়ো হয়েছিল।
ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ রাম দাস বলছেন, “বিজেপি বলে ক্যানিংয়ে কিছু আছে কিনা আমার জানা নেই। ওখানে বেশ কিছু বহিরাগত ভুলভাল কোনও কাজ করার জন্য জড়ো হয়েছিল। বিজেপি যদি কোনও কর্মসূচি নিত তাহলে তো প্রশাসনের কাছে পরামর্শ নিতে হত। পুলিশ থানা সবাই জানত। গ্রামে লোকেরা ওখানে জড়ো হয়ে ওদের সঙ্গে কথা বলছিল। তখনই হাতাহাতি, তর্কাতর্কি হয়।”
আক্রান্ত জিয়ারুল মণ্ডল বলেন, “আমাদের দলের একটা বৈঠক ছিল ওখানে। সেখানে আমি গিয়েছিলাম। এলাকায় যেতেই হঠাৎ ৫০ জনের একটা দল এসে আমাকে মারতে শুরু করে। বলতে থাকে এখানে বিজেপি করা যাবে না। ওদের অনেকেরই মুখ চিনি। নাম জানি না। ওরা সব তৃণমূল করে।”