AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Namkhana: প্রেমিকরা বিয়ে করতে না চাওয়ায় দুই বান্ধবীই নিল বড় সিদ্ধান্ত, তাদের কাণ্ড থেকে স্তম্ভিত পুলিশও

Namkhana: পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত পড়ুয়াদের নাম সুমিতা দাস ও সোমা জানা। দু'জনেরই বয়স সতেরোর আশপাশে। সুমিতা এবং সোমা দু'জনেই ঘনিষ্ঠ বান্ধবী।  শনিবার বিকেল চারটে নাগাদ কাকদ্বীপের বাসন্তী ময়দান এলাকায় টিউশন পড়তে যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিল তারা।

Namkhana: প্রেমিকরা বিয়ে করতে না চাওয়ায় দুই বান্ধবীই নিল বড় সিদ্ধান্ত, তাদের কাণ্ড থেকে স্তম্ভিত পুলিশও
নামখানায় কী হয়েছে?Image Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 24, 2024 | 5:10 PM
Share

নামখানা: টিউশন যাওয়ার নামে বেরিয়েছিলেন দুই বন্ধু। ব্যাস তারপর থেকে আর পাত্তা নেই। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও মিলল না তাদের সন্ধান। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার। পরে রেললাইন থেকে উদ্ধার হল দেহ। এই ঘটনায় মেয়ে দু’টির তিন বন্ধুকে আটক করেছে পরিবার।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত পড়ুয়াদের নাম সুমিতা দাস ও সোমা জানা। দু’জনেরই বয়স সতেরোর আশপাশে। সুমিতা এবং সোমা দু’জনেই ঘনিষ্ঠ বান্ধবী।  শনিবার বিকেল চারটে নাগাদ কাকদ্বীপের বাসন্তী ময়দান এলাকায় টিউশন পড়তে যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিল তারা। তারপর থেকে তাদের কোনও খোঁজ মিলছিল না। এরপর আজ সকালে পুলিশের পক্ষ থেকে দেহ উদ্ধারের খবর জানানো হয় ছাত্রীদের পরিবারকে। এই ঘটনার পুলিশ মৃত পড়ুয়াদের তিন বন্ধুকে আটক করেছে।

ওই তিন বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, গত কয়েক মাস আগে সুমিতা তার প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল। দুই পরিবার মেনে না নেওয়ায় পালিয়ে গিয়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয় তারা। যদিও বিয়ে হয়নি।  সোমা নতুন করে সুমিতার প্রেমিকের বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। সোমার পরিবারও মেনে নেয়নি তাদের। এবার দুই বান্ধবীই ভুগতে থাকে মানসিক অবসাদে। ধৃতদের দাবি, সোমা এবং সমিতা দুজনই তাদের প্রেমিককে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। তবে নাবালকরা বিয়েতে রাজি হয়নি। অভিযোগ, বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকিও দেওয়া হয় বলে দাবি ধৃত নাবালকদের। এরপর আজ উদ্ধার হয় দুই বান্ধবীর দেহ।

গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কিন্তু দুই ছাত্রী টিউশন পড়তে না গিয়ে কেন প্রায় ১০ কিলোমিটার অতিক্রম করে নিশ্চিন্দপুর স্টেশনের কাছে পৌঁছল? সেইটাই ভাবাচ্ছে তাদের। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, আটক ছাত্রদের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ছিল কাকদ্বীপ। তাদের কথোপকথনের চ্যাট   খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তাহলে দুই ছাত্রী কি অন্য কারও সঙ্গে নিশ্চিন্তপুর গিয়েছিল, নাকি দুজনে শুধুমাত্র আত্মহত্যার জন্য গিয়েছিল? ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।