Bhangar: অন্তঃসত্ত্বা মিটিংয়ে যেতে অস্বীকার করায় স্বামীকে মারের অভিযোগ, পারিবারিক বিবাদের জের, পাল্টা দাবি শাসকদলের
South 24 Parganas: ওই গৃহবধূর অভিযোগ, তাঁকে তৃণমূলের মিটিংয়ে যেতে বলা হয়। পরে তাঁর স্বামীর সঙ্গে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার কথাও হয়। সে সময় বিষয়টা মিটে গেলেও এরপর বাড়ির সামনে রাতভর গাড়ি যাওয়া শুরু হয়।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে মিটিংয়ে যেতে বলেছিল। স্বামী তার প্রতিবাদ করায় মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের ঘটনা। অভিযোগ, রবিবার বিকেলে ভাঙড়ের ডিঙ্গাভাঙা এলাকার আদিত্য বাছারের স্ত্রীকে তৃণমূলের লোকেরা মিটিংয়ে যেতে বলে। কিন্তু তাঁর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় রাজি হননি। আদিত্য স্থানীয় এক তৃণমূল নেতাকে তা জানান। তারপর গোলমাল শুরু হয় বলে অভিযোগ। যদিও তৃণমূলের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তাদের দাবি, পারিবারিক ঝামেলাকে রাজনীতির রং দিচ্ছে ওই দম্পতি। ভাঙড় থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে।
ওই গৃহবধূর অভিযোগ, তাঁকে তৃণমূলের মিটিংয়ে যেতে বলা হয়। পরে তাঁর স্বামীর সঙ্গে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার কথাও হয়। সে সময় বিষয়টা মিটে গেলেও এরপর বাড়ির সামনে রাতভর গাড়ি যাওয়া শুরু হয়। তা নিয়ে ফের তাঁর স্বামী বলতে যাওয়ায় মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ওই গৃহবধূ বলেন, “আমাকে মারধর করতে এসেছিল। আমার বর আটকায়। তারপরও হাতে, পেটে লেগেছে আমার।” তাঁর স্বামী জানান, পরে স্ত্রীকে নিয়ে নলমুড়িতে নার্সিংহোমে যান। সেখানে স্ত্রীর শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষা করান। তারপর সোজা ভাঙড় থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান।
আদিত্য বাছার বলেন, “আমার বউকে বলেছিল মিটিংয়ে যাওয়ার কথা। পরে আমি তৃণমূলেরই একজনকে বলি এটা কি ঠিক? ওর শরীরটা ভাল না। তখন ওই দাদা বলল ঠিক আছে। এরপর গাড়ি নিয়ে বাড়ির সামনে যাতায়াত শুরু হল। এত আওয়াজ বউ ঘুমোতে পারছিল না। আমি তার প্রতিবাদ করি। এরপর আমাকে মারধরও করা হয়। লক্ষ্মণ মণ্ডল নামে এক তৃণমূল কর্মী ইচ্ছা করে আমার সঙ্গে ঝামেলা করার চেষ্টা করে। বউ প্রতিবাদ করায় ওর দিকেও লাঠি নিয়ে তেড়ে যায়। আমি সামনে ছিলাম। লাঠিটা ধরে নিই। এরপরই বউকে ঠেলে আমাকে মারধর শুরু করে। হাত পা কেটে গেছে।”
যদিও রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, “এই ধরনের কাজ তৃণমূল কংগ্রেস করতে পারে না। আমি খবর নিয়েছি। ওখানে একটা পারিবারিক সমস্যা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন দেখছে। এখানে রাজনীতির কোনও বিষয়ই নেই। পুরোটাই ব্যক্তিগত বিবাদের জের। অকারণে রাজনীতির রং দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এসব রাজ্যজুড়েই চলছে। তৃণমূলকে চক্রান্ত করে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।”