Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bhangar Violence: ভাঙড়ের ঘটনায় সিট চান শওকত, নওশাদ বললেন সিবিআই

Poll Violence: শওকত বলেন, আমরা পুলিশের ভূমিকায় সন্তুষ্ট নই। স্বাধীনতার পর এই ধরনের তাণ্ডব, সন্ত্রাস হল। ভাঙড়ের মানুষ এরকম হিংসা দেখেনি।"

Bhangar Violence: ভাঙড়ের ঘটনায় সিট চান শওকত, নওশাদ বললেন সিবিআই
শওকত ও নওশাদImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 12, 2023 | 8:05 PM

ভাঙড়: ভাঙড়ের অশান্তির ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের একাংশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন শওকত মোল্লা। গণনাকেন্দ্রে মঙ্গলবার রাতে যে সন্ত্রাসের ছবি দেখা গিয়েছে, তা আগে কখনও ভাঙড়বাসী দেখেননি বলেও এদিন মন্তব্য করেন ভাঙড়ের এই তৃণমূল নেতা। শওকত মোল্লার বক্তব্য, দুপুর থেকে বোমাবাজি হচ্ছে। তবুও পুলিশের তরফে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি এই ঘটনার নেপথ্যে কারা তা জানতে সিআইডি তদন্ত হোক। সিট গঠন করে দোষীদের চিহ্নিত করার দাবি তোলেন তিনি। শওকতের পুরো অভিযোগ আইএসএফের দিকে। শওকত বলেন, আমরা পুলিশের ভূমিকায় সন্তুষ্ট নই। স্বাধীনতার পর এই ধরনের তাণ্ডব, সন্ত্রাস হল। ভাঙড়ের মানুষ এরকম হিংসা দেখেনি।” যদিও পাল্টা এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তাঁর দাবি, তদন্ত হলে সবটাই সামনে আসবে। নমুনা সংগ্রহ করতে এদিন ভাঙড়ে পৌঁছয় ফরেন্সিক টিম।

এদিন শওকত মোল্লা বলেন, “জেলা পরিষদের গণনা শুরু হতেই আইএসএফ আশ্রিত সমাজবিরোধীরা বোমাবাজি শুরু করে। বিভিন্ন গ্রামে হামলার পাশাপাশি ডিসিআরসির চারপাশ ঘিরে নেয়। সেখানেও বোমাবাজি করে। বারবার পুলিশকে বলেছি বহিরাগত ঢুকছে, লুঠের চেষ্টা চলছে। ৮৩ নম্বর জেলা পরিষদে ৩৬০ ভোটে খাদিজা বিবি সর্দার জিততেই ওরা স্কুলে ঢুকতে শুরু করে। বারবার পুলিশকে বলেছি আরাবুলরা ওখানে মাত্র ৫-৬ জন আছে। দুষ্কৃতীরা ৬০-৭০ জন। আরও ঢুকছে বাইরে থেকে। কিন্তু পুলিশের খুব সক্রিয় ভূমিকা দেখিনি। যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী আছে, সেখানে এভাবে বোমাবাজি। পুলিশের সক্রিয়তা আরও বেশি দরকার ছিল।”

যদিও নওশাদ সিদ্দিকি এদিন ভাঙড়ের হিংসা প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা কাল রাত ৮টায় জানতে পারি ২ জেলা পরিষদ প্রার্থীকে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ রাত ১২টা বেজে গেলেও শংসাপত্র দেওয়া হয়নি। পরে একজনকে শংসাপত্র দিলেও আরেক প্রার্থী জাহানারা বিবিকে দেওয়া হয়নি। উনি আরাবুল-ঘনিষ্ঠের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন। আরাবুল দুষ্কৃতী নিয়ে গণনাকেন্দ্রে গিয়ে হামলা করেন, মারধরও করেন। আরাবুল গণনাকেন্দ্র দখল নিলেন, সরকারি আধিকারিকরা কী করছিলেন? আমরা এই ঘটনার তদন্তে সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। আমরা আদালতে যাব।”