Sonarpur: ‘দেরি হয়নি’, সোনারপুরে শুল্ক আধিকারিকের ফ্ল্যাটে হামলায় অভিযুক্তদের হেফাজতে না চাওয়া নিয়েও যুক্তি দিল পুলিশ
Sonarpur Customs officer beaten: গত বুধবার রাতে শুল্ক বিভাগের অফিসার প্রদীপ কুমারের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন সোনারপুরের এক অটোচালক। পরে সঙ্গীদের নিয়ে ওই আধিকারিকের ফ্ল্যাটে চড়াও হন ওই অটো চালক। শুল্ক আধিকারিককে মারধর করা হয়। ঘরে ভাঙচুর করা হয়। এরপর প্রদীপ কুমার সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

সোনারপুর: ফ্ল্যাটে ঢুকে শুল্ক আধিকারিক ও তাঁর পরিবারের লোকজনকে মারধরের অভিযোগ। ৪ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাঁরা জামিন পেয়ে গিয়েছেন। সোনারপুরের এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই নিয়ে এবার মুখ খুলল পুলিশ। সাংবাদিক বৈঠক করে পুলিশের ‘তৎপরতা’-র কথা তুলে ধরলেন বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তিনি খারিজ করলেন।
ফ্ল্যাটে ঢুকে হামলার ঘটনায় শুল্ক আধিকারিক প্রদীপ কুমার যেমন অভিযোগ দায়ের করেছেন, তেমনই তাঁর বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে। শুল্ক আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিযুক্ত অটোচালকের মা। সেখানে অভিযোগ করা হয়, প্রদীপ কুমার অটো চালককে গালিগালাজ করেন। অটো চালকের মায়ের শ্লীলতাহানি করেন। দুই পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।
গত বুধবার রাতে শুল্ক বিভাগের অফিসার প্রদীপ কুমারের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন সোনারপুরের এক অটোচালক। পরে সঙ্গীদের নিয়ে ওই আধিকারিকের ফ্ল্যাটে চড়াও হন ওই অটো চালক। শুল্ক আধিকারিককে মারধর করা হয়। ঘরে ভাঙচুর করা হয়। এরপর প্রদীপ কুমার সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হতেই আরও তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে সকলেই জামিন পেয়ে যান। এই ধরনের হামলার পর কীভাবে পুলিশ তদন্ত করল আর লঘু ধারায় মামলা করল, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
এই নিয়ে এদিন সাংবাদিক বৈঠক করেন বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, অভিযোগপত্র অনুযায়ী মামলার ধারা যোগ হয়েছে। তদন্তে আরও কিছু পাওয়া গেলে পুনরায় সেই ধারা মামলার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, ওই শুল্ক আধিকারিকের বিরুদ্ধেও এফআইআর হয়েছে। মূল অভিযুক্ত অটো চালকের মা অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শুল্ক আধিকারিক অভিযোগ করেন, বারবার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ অনেক পরে এসেছে। সেই অভিযোগ খারিজ করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “আমাদের কাছে সাড়ে এগারোটায় ফোন আসে। ১৫ মিনিটের মধ্যে পুলিশ পৌঁছে যায়। কোনও দেরি হয়নি।” পুলিশ কেন অভিযুক্তদের হেফাজতে চাইল না, সেই প্রশ্নের উত্তরে সৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। তাই পুলিশ হেফাজতে চাওয়া হয়নি।” শুল্ক আধিকারিকের ফ্ল্যাটে হামলার সময় কারও হাতে অস্ত্র থাকার প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি বলে তিনি জানান।
