কর্মচারীদের ঠিকানা তৃণমূল, সহযোদ্ধা হতে চাইলে বিজেপিতে আসুন: শুভেন্দু

নিজেকে রাম ও দিলীপকে লক্ষ্মণ আখ্যা দিয়ে শুভেন্দু বলেন, "আমরা তৃণমূলকে সাফ করে দেব। তৃণমূলকে বাঁচানোর কোনও ওষুধ পৃথিবীতে বেরোয়নি।"

কর্মচারীদের ঠিকানা তৃণমূল, সহযোদ্ধা হতে চাইলে বিজেপিতে আসুন: শুভেন্দু
চন্দননগরের সভায় শুভেন্দু-নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jan 20, 2021 | 10:31 PM

হুগলি: ‘কর্মচারী’ হয়ে থাকতে চাননি বলেই তৃণমূল ছেড়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)! কেউ যদি ‘প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি’র কর্মচারী হয়ে থাকতে চায় তাঁদের ঠিকানা তৃণমূল (TMC), ‘সহযোদ্ধা’ হতে চাইলে বিজেপির (BJP) দরজা খোলা। বুধবার চন্দননগরের সভা থেকে ঠিক এই ভাষাতেই তিনি আহ্বান জানিয়েছেন নিজের পুরনো দলের প্রাক্তন সহকর্মীদের। তাঁর সাফ কথা, “কর্মচারী হয়ে থাকতে চাইলে থাকুন ওখানে। সহযোদ্ধা হয়ে থাকতে চাইলে বিজেপিতে আসুন।”

ভোটের কয়েক মাস আগে লড়াইটা যে তৃণমূল বনাম বিজেপি নেই, সেটা শুভেন্দু নিজেই সাফ করে দিয়েছেন। তৃণমূল সুপ্রিমোকে সরাসরি তিনিই চ্যালেঞ্জ করতে চান। মমতা যতই দুটি আসনে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিন না কেন, তাঁকে একটি আসনেই দাঁড়াতে হবে। “দুটো আসনে আমি দাঁড়াতে দেব না”, রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে বলতে শোনা যায় শুভেন্দুকে। একদা দলনেত্রীকে ‘মিথ্যেবাদী’ বলেও তিনি আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, “উনি শুধু মিথ্যে কথা বলেন।”

এদিনও স্বভাবসিদ্ধ আগ্রাসী শরীরীভাষা নিয়ে আক্রমণ চালিয়েছেন প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী। তাঁর কটাক্ষ, “তৃণমূল একটা প্রাইভেট কোম্পানি। যার চেয়ারম্যান মমতা। আর এমডি তোলাবাজ ভাইপো। আমি কর্মচারী হিসাবে থাকতে চাই না। আমি সহকর্মী হিসাবে থাকতে চাই।” শাসকদলকে নিশানায় তিনি আরও বলেছেন, “তৃণমূলকে বাঁচানোর কোনও ওষুধ পৃথিবীতে বেরোয়নি।” নিজেকে রাম ও দিলীপকে লক্ষ্মণ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “আমরা তৃণমূলকে সাফ করে দেব।”

আরও পড়ুন: আমফান মামলায় রাজ্যের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করল হাইকোর্ট

লোকসভা নির্বাচনে বামপন্থী তথা তৃণমূল বিরোধীদের ভোটেই বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক অনেকটা ফুলেফেঁপে উঠেছিল। ভোট বণ্টনের পরিসংখ্যান দেখে তেমনটাই মনে করছিলেন পর্যবেক্ষকেরা। এবার শুভেন্দু নিজেই পরিষ্কার করলেন, বামেদের প্রতি সে কারণে কতটা নমনীয় রয়েছে বিজেপি। শুভেন্দুর কথায়, “আমরা বামপন্থীদের সমালোচনা করি কিন্তু তাঁদের সময় কর্মসংস্থানটা ছিল। আমি বিশ্বাস করি বুদ্ধবাবু ভাল লোক। তাঁকে ডুবিয়েছে লক্ষ্মণ শেঠ। বামপন্থীরা পদ্মফুলে ভোটটা দেবেন। না হলে এরপরেও পঞ্চায়েতে ভোট দিতে পারবেন না।”

লোকসভার ভোটের ফলাফলের প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দুর খোঁচা, “ঠ্যালায় না পড়তে বেড়াল গাছে ওঠে না। লোকসভায় আপনারা এমন গুঁতিয়েছেন যে এখন বাইরে থেকে লোক ভাড়া করে আনতে হচ্ছে।”

আরও পড়ুন: স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সারিতে সাভারকর! জোর বিতর্ক