Nishith Pramanik: নিশীথের কনভয়ে হামলায় তপ্ত রাজনীতি, দোষারোপ-পাল্টা দোষারোপ শাসক-বিরোধীর
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার ঘটনায় রাজ্যের পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে বলে টুইটারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
দিনহাটা: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়ে হামলার ঘটনায় শাসকদলের পাশাপাশি সরাসরি পুলিশ ও পুলিশমন্ত্রীর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। একইভাবে কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গে ‘নিরাপদ নন’ বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। আবার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কনভয়ে হামলার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। তিনি গোটা ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ের উপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা করে টুইট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশ ও রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে টুইটারে তিনি লিখেছেন, “কোচবিহারের সাংসদ ও কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের উপর দিনহাটায় কাপুরুষোচিত হামলার তীব্র নিন্দা করছি। রাজ্যের পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী নিরাপদ নন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে গুণ্ডারা ঘুরে বেড়াচ্ছে।”
নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে কেবল হামলা চালানো নয়, পাথর-বোমা ছোড়া হয়েছে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগে সরব হয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই ঘটনায় সরাসরি পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন তিনি। সুকান্ত মজুমদার বলেন, “অপদার্থ পুলিশ ও পুলিশমন্ত্রী। ভারতের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রীর কনভয়ে হামলা চালানো হয়েছে। শুধু হামলা নয়, পাথর, বোমা ছোড়া হয়েছে। পুলিশমন্ত্রীর ইস্তফা দেওয়া উচিত।” এই হামলার ঘটনায় তৃণমূল জড়িত অভিযোগ তুলে রাজ্য বিজেপি সভাপতি আরও বলেন, “এই ঘটনায় আমরা গণতান্ত্রিকভাবে জবাব দেব। তৃণমূলের হার্মাদবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করব।” আবার আরও একধাপ এগিয়ে ‘রাজ্যে ৩৫৬ জারির পরিস্থিতি রয়েছে’ বলে দাবি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের।
যদিও রাজ্য বিজেপি সভাপতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর পাল্টা দাবি, “তৃণমূল নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ের উপর হামলায় জড়িত নয়। তৃণমূলের কাজ নেই যে, তাঁর কনভয়ের বিঘ্ন ঘটিয়ে তাঁকে প্রচারে এনে দেওয়া হবে।” এটা জাতিবিদ্বেষ এবং বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের ফল বলেই দাবি তৃণমূল মুখপাত্রের। তাঁর কথায়, “লোকের ক্ষোভ ছিল। আর জাতি-ধর্মের ভাগ নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে।” এপ্রসঙ্গে রাজবংশী হত্যার ঘটনা তুলে ধরে কুণাল ঘোষের পাল্টা দাবি, “নিশীথ প্রামাণিকের স্থানীয় ক্যাডার আর কেন্দ্রীয় বাহিনী হামলা করছে সাধারণ মানুষের উপর। আর সবসময় একটা রাজনৈতিক কারণ নাও থাকতে পারে। একটা ছেলেকে যদি ১৮০টা গুলি করে মারা হয়। স্থানীয়রা ক্ষোভ দেখিয়েছেন।”
শুধু কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়ে হামলা নয়, বারবার কোচবিহারে গন্ডগোল হচ্ছে। এপ্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, “বিজেপি কিছু মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ভোট পেয়েছিল। বিজেপির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে। সেটা সামলাতে পারছে না বলেই গোলমাল। এটা ওদের নিজেদের ব্যর্থতা।”
তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়ে হামলার ঘটনার পরই ঘটনাস্থলে যান উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী তথা দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ। নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার ঘটনায় বহিরাগত গুণ্ডারা জড়িত বলেই দাবি তাঁর। এর জন্য পুলিশের উপরই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি এবং অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। তবে নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে বোমা, গুলি মারার অভিযোগ অস্বীকার করেছে দিনহাটা পুলিশ। গুলি-বোমার যে শব্দ হয়েছে, সেটি আদতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানোর শব্দ বলেও দাবি পুলিশের।
এদিন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ের উপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা করে টুইট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশ ও রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে টুইটারে তিনি লিখেছেন, “কোচবিহারের সাংসদ ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের উপর দিনহাটায় কাপুরুষোচিত হামলার তীব্র নিন্দা করছি। রাজ্যের পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিরাপদ নন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে গুণ্ডারা ঘুরে বেড়াচ্ছে।”
নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে কেবল হামলা চালানো নয়, পাথর, বোমা ছোড়া হয়েছে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগে সরব হয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই ঘটনায় সরাসরি পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন তিনি। সুকান্ত মজুমদার বলেন, “অপদার্থ পুলিশ ও পুলিশমন্ত্রী। ভারতের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কনভয়ে হামলা চালানো হয়েছে। শুধু হামলা নয়, পাথর, বোমা ছোড়া হয়েছে। পুলিশমন্ত্রীর ইস্তফা দেওয়া উচিত।” এই হামলার ঘটনায় তৃণমূল জড়িত অভিযোগ তুলে রাজ্য বিজেপি সভাপতি আরও বলেন, “এই ঘটনায় আমরা গণতান্ত্রিকভাবে জবাব দেব। তৃণমূলের হার্মাদবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করব।” আবার আরও একধাপ এগিয়ে ‘রাজ্যে ৩৫৬ জারির পরিস্থিতি রয়েছে’ বলে দাবি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের।
যদিও রাজ্য বিজেপি সভাপতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর পাল্টা দাবি, “তৃণমূল নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ের উপর হামলায় জড়িত নয়। তৃণমূলের কাজ নেই যে, তাঁর কনভয়ের বিঘ্ন ঘটিয়ে তাকে প্রচারে এনে দেওয়া হবে।” এটা জাতিবিদ্বেষ এবং বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের ফল বলেই দাবি তৃণমূল মুখপাত্রের। তাঁর কথায়, “লোকের ক্ষোভ ছিল। আর জাতি-ধর্মের ভাগ নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে।” এপ্রসঙ্গে রাজবংশী হত্যার ঘটনা তুলে ধরে কুণাল ঘোষের পাল্টা দাবি, “নিশীথ প্রামাণিকের স্থানীয় ক্যাডার আর কেন্দ্রীয় বাহিনী হামলা করছে সাধারণ মানুষের উপর। আর সবসময় একটা রাজনৈতিক কারণ নাও থাকতে পারে। একটা ছেলেকে যদি ১৮০টা গুলি করে মারা হয়। স্থানীয়রা ক্ষোভ দেখিয়েছেন।”
শুধু কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর কনভয়ে হামলা নয়, বারবার কোচবিহারে গণ্ডগোল হচ্ছে। এপ্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, “বিজেপি কিছু মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ভোট পেয়েছিল। বিজেপির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে। সেটা সামলাতে পারছে না বলেই গোলমাল। এটা ওদের নিজেদের ব্যর্থতা।”
তবে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর কনভয়ে হামলার ঘটনার পরই ঘটনাস্থলে যান উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী তথা দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ। নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার ঘটনায় বহিরাগত গুণ্ডারা জড়িত এবং স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীই তাদের নিয়ে এসেছে বলেই দাবি তাঁর। উদয়ন গুহ বলেন, “এটা নিশীথ প্রামাণিকের চক্রান্ত। তিনি ৩৬টি গাড়ি নিয়ে এলাকায় ঢুকেছেন। প্রত্যেকটি গাড়িতে বিভিন্ন জেলার সমাজবিরোধীরা রয়েছে। তারা পার্টি অফিস ভাঙচুর করেছে, বাইক ভাঙচুর করেছে, সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালিয়েছে।” এর জন্য পুলিশের উপরই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি এবং অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। তবে নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে বোমা, গুলি মারার অভিযোগ অস্বীকার করেছে দিনহাটা পুলিশ।