রাজীব বললেন, “যত মত তত পথ”, ফের উসকে দিলেন জল্পনা

সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্টের জেলা সাংগঠনিক কমিটির সভায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বেচারাম মান্না, বিধায়ক মানস মজুমদার সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। সেই সভা থেকেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ব্রাহ্মণদের উদ্দেশ্যে বলেন, "আমি আপনাদের জন্য আছি। মুখ্যমন্ত্রীকে আমি নিজে বলেছি সকলের জন্য ভাবার কথা।"

রাজীব বললেন, যত মত তত পথ, ফের উসকে দিলেন জল্পনা
সভায় বক্তব্য রাখছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Dec 11, 2020 | 9:13 PM

আরামবাগ: ফের একবার দল বিবাগী হওয়ার জল্পনা উসকে দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। হুগলির কামারপুকুরে একটি অরাজনৈতিক সভায় যোগ দিয়ে বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তিনি মানুষের পাশে থেকে, মানুষের জন্য কাজ করতে চান। একইসঙ্গে তিনি বলেন, যদি কোথাও মনে হয় যে মানুষের জন্য কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে, তবে অনেক পথ খোলা রয়েছে। তার এই বক্তব্য ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা।

সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্টের জেলা সাংগঠনিক কমিটির সভায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বেচারাম মান্না, বিধায়ক মানস মজুমদার সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। সেই সভা থেকেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ব্রাহ্মণদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আমি আপনাদের জন্য আছি। মুখ্যমন্ত্রীকে আমি নিজে বলেছি সকলের জন্য ভাবার কথা।” পরে তিনি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে সাংবাদিকদের বলেন, “যত মত থাকবে তত ভিন্ন ভিন্ন পথ থাকবে। তাই এই পথে না হলে, অন্য পথ দেখতে হবে। তবে এটা আমি কোনও রাজনৈতিক কারণে বলিনি। পুরোটাই ঠাকুরকে স্মরণ করেই বলেছি।”

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ” যাতে মানুষের জন্য কাজ করা যায়, মানুষের পাশে থাকা যায় সেই পথেই চলব। ঠাকুর বলে গিয়েছেন, যত মত তত পথ। যদি কোথাও মনে হয় মানুষের কাজ করার জন্য এই মতে কাজ অসুবিধা হচ্ছে, তাহলে অনেক পথ খোলা আছে। সেই পথ থেকে কেউ কাউকে সরাতে পারবে বলে আমার মনে হয় না। যদি কেউ জিজ্ঞাসা করেন যে, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতি কি, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কি করতে চায়, আমি একটাই কথা বলব- আমি এক থেকে একশো, যতদিন বাঁচবো, ততদিন মানুষের পাশে থাকব। মানুষের জন্য কাজ করব। যেন ঠাকুর সেই সুবুদ্ধি আমাদের দেন, সেই আশীর্বাদ আমাদের করেন। আপনারাও শপথ নিন, বলুন, যে পথে আপনাদের মঙ্গল হবে, যে পথে সনাতন ধর্মের মঙ্গল হবে, যে পথে সমস্ত মানুষের মঙ্গল হবে, সেই পথে আমরা যেতে কোনওদিন পিছপা হবো না।”

আরও পড়ুন: রাতে অভিষেকের বাড়ির দেওয়ালে কালি, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিয়ো

বক্তব্য চলাকালীনই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় আচমকা বলতে শুরু করেন, “সবাই আমার সঙ্গে থাকবেন তো? মানুষের মঙ্গল কামনায়, মানুষের পাশে থাকার জন্য আপনারা আছেন তো? আপনাদের সমস্ত দাবি-দাওয়া নিয়ে আমি আপনাদের এই আন্দোলন শুধু কলকাতাতেই নয়, সারা বাংলা জুড়ে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের জায়গায় নিয়ে যেতে চাই। আমি চাই, আপনারা সবাই হাতে হাত মিলিয়ে, পায়ে পা মিলিয়ে সেখানে হাজির হবেন। আমি আছি আপনাদের সঙ্গে।”

রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ” আমি অরাজনৈতিক সভায় এসেছি, সুতরাং এখান থেকে কোনও রাজনৈতিক কথা বললে নিশ্চিতভাবে সমস্যার সৃষ্টি হবে।” গতকাল বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার কনভয়ের উপর হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “আমি কোনও মন্তব্য করব না। আমি এখনও তৃণমূলেই আছি। তৃণমূলের কর্মী। মন্ত্রী সভার সদস্য। সুতরাং এর বাইরে প্রশ্ন করাটাই অবান্তর। আমার কি মনের কথা আছে, সেটা তো আমি সংবাদমাধ্যমে বলব না।” সবশেষে তিনি বলেন, “আপনারা সকলে আমার সঙ্গে আছেন তো, দেখুন কলকাতা স্তব্ধ করে দেব।”

আরও পড়ুন: দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হবে না উলেন রায়ের, জানাল জেলা আদালত

দিল্লি-লাহোরের দূষণের দায় কার? ক্রিকেট মাঠের বাইরে লড়াইয়ে ভারত-পাক
দিল্লি-লাহোরের দূষণের দায় কার? ক্রিকেট মাঠের বাইরে লড়াইয়ে ভারত-পাক
ইচ্ছেমতো বাসের ভাড়াবৃদ্ধি! কী বলছেন পরিবহন মন্ত্রী?
ইচ্ছেমতো বাসের ভাড়াবৃদ্ধি! কী বলছেন পরিবহন মন্ত্রী?
Arijit Singh: "আমি খারাপ...", কেন এমন হাহাকার অরিজিতের কণ্ঠে?
Arijit Singh:
দেদার বালি পাচার দক্ষিণ দিনাজপুরে, তৎপর প্রশাসন
দেদার বালি পাচার দক্ষিণ দিনাজপুরে, তৎপর প্রশাসন
'কাছেই বাড়ি', এই অজুহাতে হেলমেট পরেন না অনেকেই...বিপদ ঘটলে সেই দায় কা
'কাছেই বাড়ি', এই অজুহাতে হেলমেট পরেন না অনেকেই...বিপদ ঘটলে সেই দায় কা
'তৃণমূলের প্রচারক, ভোটার সবই তো বাংলাদেশ থেকে আসে', বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ
'তৃণমূলের প্রচারক, ভোটার সবই তো বাংলাদেশ থেকে আসে', বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ
'রাশিয়ান বিষ' দিয়ে প্রাণহানির আশঙ্কা, সরকারের দিকে একের পর এক নিশানা অ
'রাশিয়ান বিষ' দিয়ে প্রাণহানির আশঙ্কা, সরকারের দিকে একের পর এক নিশানা অ
শিশুদিবসে কাতর আর্জি কাঞ্চনের! অভিনেতা বললেন,"আমার ছেলে-মেয়েকে..."
শিশুদিবসে কাতর আর্জি কাঞ্চনের! অভিনেতা বললেন,
ড্রাইভারের ভাগ ১২ শতাংশ, কনডাক্টরের ৬! সেই প্রথাই ডেকে আনছে সর্বনাশ
ড্রাইভারের ভাগ ১২ শতাংশ, কনডাক্টরের ৬! সেই প্রথাই ডেকে আনছে সর্বনাশ
গুলি-বোমা-খুনোখুনি, ৫ বছরেও বদলাল না ভাটপাড়ার ছবি
গুলি-বোমা-খুনোখুনি, ৫ বছরেও বদলাল না ভাটপাড়ার ছবি