TMC Clash : চোপড়ায় পঞ্চায়েত বৈঠকে গুলিতে মৃত ২, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা ‘স্বীকার’ করে অঞ্চল সভাপতিকে তোপ জেলা সভাপতির

TMC Clash : ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান। তবে শাসকদলের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি।

TMC Clash : চোপড়ায় পঞ্চায়েত বৈঠকে গুলিতে মৃত ২, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা ‘স্বীকার’ করে অঞ্চল সভাপতিকে তোপ জেলা সভাপতির
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 30, 2023 | 10:09 PM

চোপড়া : পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) টিকিট কে পাবে? এই বিষয়কে কেন্দ্র করে উত্তেজনা, চলল গুলি। চোপড়ার (Chopra TMC Clash) চুটিয়াখোর গ্রাম পঞ্চায়েতের দিঘাবানা এলাকার ঘটনা। ব্যাপক চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়। গুলিবিদ্ধ এক যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফইজুল রহমান নামে ওই যুবককে চোপড়া দলুয়া হাসপাতালে নিয়ে আসার পর তাঁকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। হাসপাতালেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। অন্যদিকে হাসু মহম্মদ নামে আরও এক যুবককে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনা নিয়ে জোর চর্চা জেলার রাজনৈতিক মহলে। “আসলে কোন বিধানসভায় কতজন তৃণমূল কর্মীগুলি খেয়ে মারা যাবে তার প্রতিযোগিতা চলছে। কাটমানির জন্য এই সব হচ্ছে।” তোপ বিজেপির। 

ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান। তিনি বলেন, “খুবই দুঃখজনক ঘটনা। প্রার্থী বাছাই করতে গিয়ে চারজনের নাম এসেছিল। তা নিয়ে মিটিং চলছিল। তখনই ঝামেলা শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে। গুলি চলে। দুজন মারা যায়। খুব খারাপ লাগছে। যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের মধ্যে একজন রিকশা চালক রয়েছেন। সত্যিই খুব খারাপ লাগছে।” বিধায়ক যখন দুঃখপ্রকাশ করছেন সেখানে অন্য সুর তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের গলায়। যদিও এ ঘটনাকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে মানতে নারাজ তিনি। 

কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটের জন্য এদিন ওখানে একটা বৈঠক হচ্ছিল। দল থেকে এবারে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে প্রার্থী দল থেকে ঠিক করে দেওয়া হবে, স্থানীয় স্তরে কিছুই হবে না। তবে তারপরেও আমি যতদূর শুনেছি অঞ্চল সভাপতি একটা বৈঠক ডাকে। বৈঠকে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে আলোচনা চলছিল। তখনই দুপক্ষের লোকজন একে অপরের দিকে ছুটে আসে। গুলি চলে। দুজন মারা যায়। আমি পুলিশকে বলেছি দোষীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক। এ ভাবে প্রার্থী পদ নিয়ে আলোচনা নিজেরা করবে, গোলাগুলি চলবে এটা মেনে নেওয়া যায় না।”

তোপ দেগেছে বিজেপি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দেগে বিজেপি জেলা সহ-সভাপতি সুরজিৎ সেন বলেন, “উত্তর দিনাজপুরে তৃণমূলের নিজেদের সদস্যদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে। সব জায়গাতেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। চোপড়াতে আগেও গুলি চলেছে। গোয়ালপুকুর, ইসলামপুর বিধানসভাতেও গুলি চলেছে প্রাণ গিয়েছে। আসলে কোন বিধানসভায় কতজন তৃণমূল কর্মীগুলি খেয়ে মারা যাবে তার প্রতিযোগিতা চলছে। কাটমানির জন্য এই সব হচ্ছে।” 

সূত্রের খবর, চোপড়া থানার চুটিয়াগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের দীঘাবানা বুথে তৃণমূলের টিকিট কে পাবে। তা ঠিক করতেই বিগত কয়েকদিন ধরে দলীয় স্তরে আলোচনা চলছিল। এদিন সেই বিষয়কে কেন্দ্র করে একটি বুথ মিটিংয়ের আয়োজন করা হয়েছিল দীঘাবানা এমএসকে স্কুলে। সেখানে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে বেশ কিছু নামও প্রস্তাব করা হয়। অভিযোগ, মিটিং শেষে বাড়ি ফেরার পথে বেশ কিছু তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালায় আরও কিছু যুবক। চলে গুলিও।