Sayantan Basu: ‘সীমান্তে চোরাচালানের কাজে রয়েছে তৃণমূল ও পুলিশ, বিএসএফ ব্যবস্থা নিক’, সায়ন্তনের মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক

TV9 Bangla Digital | Edited By: সৈকত দাস

Nov 01, 2021 | 6:18 PM

BJP State Secretary Sayantan Basu on BSF: "তৃণমূল এখানে চোরা চালান করে, তৃণমূলের গুন্ডারা এখানে অসামাজিক কাজ করে। তৃণমূল পুলিশের সঙ্গে মিশে গিয়েছে। তাই তৃণমূলকে শিক্ষা দেওয়ার জন্যেই বিএসএফ আছে, থাকবে।"

Sayantan Basu: সীমান্তে চোরাচালানের কাজে রয়েছে তৃণমূল ও পুলিশ, বিএসএফ ব্যবস্থা নিক, সায়ন্তনের মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক
সায়ন্তন বসুর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জল্পনা (ফাইল ছবি)

Follow Us

উত্তর দিনাজপুর: দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে সীমান্তরক্ষী বাহিনী অথবা বিএসএফ (BSF) কে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। এ নিয়ে চলছে রাজনৈতিক তরজা। এবার সেই কেন্দ্রের সেই সিদ্ধান্তে সমর্থন জানিয়ে বিএসএফ প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলকে (TMC) নিশানা করে মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu)। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদকের সেই মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূল (TMC)। ঠিক কী বলেছেন সায়ন্তন?

সোমবার উত্তর দিনাজপুর ইটাহার থেকে সায়ন্তনের দাবি, “এখানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব শুধু পুলিশের নয়, বিএসএফের। বিএসএফ- এর আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব আছে। জেলা সভাপতিকে (পড়ুন বিজেপি) বলব, বিএসএফের সঙ্গে দেখা করুন, আমরাও কথা বলব। সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের পেট্রোলিং বাড়াতে হবে। তৃণমূলের (নেতাকর্মী) নামের তালিকা তৈরি করে বিএসএফকে দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।”

এখানেই থামেননি তিনি। বিজেপি নেতার আরও সংযুক্তি, “তৃণমূল এখানে চোরা চালান করে, তৃণমূলের গুন্ডারা এখানে অসামাজিক কাজ করে। তৃণমূল পুলিশের সঙ্গে মিশে গিয়েছে। তাই তৃণমূলকে শিক্ষা দেওয়ার জন্যেই বিএসএফ আছে, থাকবে।”

ইটাহারে অবস্থান বিক্ষোভের মঞ্চ থেকে দাঁড়িয়ে রাজ্যের শাসক দল ও পুলিশকে একই পংক্তিতে ফেলে এভাবেই আক্রমণ শানান বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। এদিন উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত মিঠুন ঘোষের খুনে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে ইটাহার বাস স্ট্যান্ডের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হন সায়ন্তন। সেখান থেকেই তৃণমূলকে নিশানা করে এই মন্তব্য করেন তিনি। যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল নেতা অরিন্দম সরকারের বক্তব্য, “বিজেপি চাইছে বিএসএফকে দিয়ে তৃণমূলের মোকাবিলা করতে। কিন্তু তৃণমূলের এতে কিছু যায় আসে না। সংবিধান লঙ্ঘন করে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী কাজ করছে বিজেপি।”

প্রসঙ্গত, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে সীমান্তরক্ষী বাহিনী অথবা বিএসএফ (BSF) কে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকার তিনটি রাজ্যে সীমানার ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত গ্রেফতার, তল্লাশি এবং বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতা পাচ্ছে বিএসএফ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী, পঞ্জাব (Punjab), অসম (Assam) এবং পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় বিএসএফ গ্রেফতার, তল্লাশি এবং বাজেয়াপ্ত করার কাজ করতে পারবে।

আরও পড়ুন: Dharna: কেন করলে এরকম? শিক্ষক প্রেমিকের বাড়িতে ধরনা মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারের 

এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীরা একে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

আরও পড়ুন: Asansole: কবি নজরুলের আসানসোল আজ বিহারের মুঙ্গের! অস্ত্র কারখানার সন্ধানে তৃণমূলকে নিশানা জিতেনের

Next Article