Krishna Kalyani: বিধায়কের বক্তব্যে ‘দলের সম্মানে আঘাত’, শোকজ নোটিস কৃষ্ণ কল্যাণীকে
Uttar Dinajpur: বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যেপাধ্যায়ের একটি চিঠি তাঁর কাছে গিয়েছে। যেখানে বিধায়ককে সতর্ক করার পাশাপাশি কেন তিনি বার বার বিতর্কিত মন্তব্য করছেন তা তিন দিনের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।
উত্তর দিনাজপুর: রায়গঞ্জের বিধায়ক (BJP MLA) কৃষ্ণ কল্যাণীকে (Krishna Kalyani) শোকজ করল বিজেপি। দলবিরোধী কাজের জেরেই এই কারণ দর্শানোর নোটিস ধরানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা ভোটের পর থেকেই রায়গঞ্জের এই বিধায়ককে ঘিরে নানা জল্পনা শোনা গিয়েছে। বিভিন্ন সময় দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধেও সরব হতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। একই সঙ্গে বিজেপির এই বিধায়কের তৃণমূলে যোগদানের সম্ভাবনা নিয়েও নানা কথা হাওয়ায় ভাসছে। এরই মধ্যে বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যেপাধ্যায়ের একটি চিঠি তাঁর কাছে গিয়েছে। যেখানে বিধায়ককে সতর্ক করার পাশাপাশি কেন তিনি বার বার বিতর্কিত মন্তব্য করছেন তা তিন দিনের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।
বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীকে পাঠানো ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘আপনার কিছু বিতর্কিত মন্তব্য মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে এবং ভারতীয় জনতা পার্টির সম্মানে আঘাত করেছে। পার্টির সংবিধানে দলের জন প্রতিনিধি এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কার্যকর্তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রুপ দলবিরোধী কাজ। আপনি রায়গঞ্জের মাননীয়া সাংসদ এবং মাননীয় রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে বার বার প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছেন। আপনাকে সতর্ক করা হচ্ছে, এই ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকুন। এমন কেন করলেন তিন দিনের মধ্যে জানান।’
সম্প্রতি বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকারের সঙ্গে রায়গঞ্জের দলীয় বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর কোন্দল প্রকাশ্যে আসে। রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, জেলা কমিটির কোনও দলীয় কর্মসূচিতে আর তিনি থাকবেন না।
কৃষ্ণ অভিযোগ তোলেন, জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার ষড়যন্ত্র করছে তাঁর বিরুদ্ধে। বার বার দলীয় রাজ্য নেতৃত্বকে এই বিষয়ে জানানোর পরও কোনও লাভ হয়নি তাঁর। উল্টে বাসুদেব সরকার এখনও তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলে চলেছেন বলে দাবি করেন কৃষ্ণ। একই সঙ্গে রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধেও সরব হন তিনি। তাঁর দাবি, রায়গঞ্জের মানুষ তাঁদের সাংসদকে এলাকাতেই পান না।
রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী তাঁকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন বলেও অভিযোগ করেন কৃষ্ণ কল্যাণী। কৃষ্ণ বলেন, “উনি তো রায়গঞ্জ থেকে বিধানসভায় নির্বাচনে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। উনি নাকি মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়েও ছিলেন। এখন শুনছি উনি নাকি রাজ্য সভাপতি হবেন। উনি রাজ্য সভাপতি হলে ১০ জন বিধায়ক-ও বিজেপিতে থাকবেন না।” এই নিয়ে তুমুল শোরগোল শুরু হয় জেলা বিজেপির অন্দরে।
পাল্টা দেবশ্রী চৌধুরীও বলেন, “কৃষ্ণের মানসিক সমস্যা হয়েছে। আমি ওর ব্যাপারে কিছু বলব না। আমি সংগঠন থেকে উঠে এসেছি।” তবে বিষয়টি যে দল মোটে হালকা ভাবে নিচ্ছে না তা দিলীপ ঘোষ আগেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। বিজেপি নির্ধারিত নিয়ম-অনুশাসনে চলা দল। নতুনরা এসে তা অনেক ক্ষেত্রেই বুঝে উঠতে না পারায় এ ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয় বলে মন্তব্য করেছিলেন দিলীপ। এবার কাগজে কলমে জবাব তলব করল দল।
আরও পড়ুন: Bhawanipore By-Election: ভবানীপুরে শাসকদলের ‘মার্জিনের’ দৌড়ে এই চার ওয়ার্ডই হতে পারে ফ্যাক্টর