AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bhawanipore By-Election: ভবানীপুরে শাসকদলের ‘মার্জিনের’ দৌড়ে এই চার ওয়ার্ডই হতে পারে ফ্যাক্টর

Trinamool Congress: ৭১, ৭৩, ৭৭ ও ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটের হার নিয়ে কি চিন্তিত শাসকদল?

Bhawanipore By-Election: ভবানীপুরে শাসকদলের 'মার্জিনের' দৌড়ে এই চার ওয়ার্ডই হতে পারে ফ্যাক্টর
যে চার ওয়ার্ড নজরে তৃণমূলের। ছবি-PTI
| Edited By: | Updated on: Oct 01, 2021 | 7:36 AM
Share

কলকাতা: ভবানীপুরের (Bhabanipur By-Election) হাইভোল্টেজ উপনির্বাচন শেষ। এবার নজর ৩ অক্টোবরে। কে জিতবে, তা জানা যাবে এদিনই। তবে তার আগে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে ভোটের হার কি চিন্তায় রাখছে তৃণমূলকে?

গত বিধানসভা নির্বাচনে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় প্রায় ২৮ হাজার ভোটে জেতেন ভবানীপুরে। এর মধ্যে শুধুমাত্র ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডেই তৃণমূল প্রার্থী এগিয়ে ছিলেন ২১ হাজার ৩৭৯ ভোটে। এই ওয়ার্ডে তৃণমূল পেয়েছিল ৮৭ শতাংশ ভোট। বিজেপির ঝুলিতে পড়েছিল মাত্র ৯ শতাংশ। কিন্তু সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই ওয়ার্ডে বৃহস্পতিবার ভোটই পড়ল কম।

৭৭ নম্বর ওয়ার্ডে গতবার ভোট পড়েছিল ৭৪ শতাংশ। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত হিসাবে দেখা গেল ভোটদানের হার ৬২ শতাংশ। যে ওয়ার্ড ২১ হাজারের বেশি লিড দিয়েছিল, সেখানে ভোট কম পড়ার অর্থ সম্ভাব্য লিড কমে যেতে পারে। ভোটের দিন সকাল থেকে এই ওয়ার্ডের বিভিন্ন বুথে ভোটারদের লাইন তুলনামূলক কম নজরে আসে।

শুধু ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডই নয়, ৭১, ৭৩ ও ৮২ নম্বর ওয়ার্ডেও ভোটদানের হার খুব একটা সন্তোষজনক নয়। গত বিধানসভা নির্বাচনে ৭১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল পেয়েছিল ৫৩ শতাংশ ভোট। বিজেপি পেয়েছিল ৪০ শতাংশ ভোট। এই ওয়ার্ডে বাঙালি হিন্দু ভোটার ৫৫ শতাংশ। অবাঙালি হিন্দু রয়েছেন ৪২ শতাংশ। ৩ শতাংশ ভোটার সংখ্যালঘু। এখানেও সকাল থেকে ভোটারদের মধ্যে ভোটদানে তেমন আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়নি।

গত মে মাসে একুশের বিধানসভার ফলে ৭৩ নম্বর বুথে ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে তৃণমূল। ৩৯ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এই ওয়ার্ডের বাসিন্দা। পরিসংখ্যান বলছে, প্রায় ৬৫ শতাংশ বাঙালি এবং ৩৫ শতাংশ অবাঙালি মানুষের বসবাস এই ওয়ার্ডে। অন্যান্য ওয়ার্ডের তুলনায় ৭৩ নম্বরের ভোটারদের বুথমুখী হওয়ার প্রবণতা একটু বেশি ছিল ঠিকই। তবে অতীতের সঙ্গে মিল কি পাওয়া গিয়েছে। রবিবারই সে হিসাব স্পষ্ট হবে।

৮২ নম্বর ওয়ার্ডে গত ভোটে তৃণমূল পেয়েছিল ৫৭ শতাংশ ভোট। ৩৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু এবার হিসাবটা কী হবে তা স্পষ্ট নয় শাসকদলের নেতা-কর্মীদের কাছেও। বুথের ফাঁকা ছবি কিছুটা পাল্টেছে বেলার দিকে। কিন্তু সব মিলিয়ে যা ট্রেন্ড তাতে তৃণমূল নেতাদের মার্জিনের হিসাব গুলিয়ে যাবে না তো, উঠছে সে প্রশ্ন।

যদিও ভোটের হার নিয়ে ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, “কিছু ভোটারকে খুঁজেই পাওয়া যায়নি। প্রত্যেক বুথে প্রায় ২০ শতাংশ এরকম ভোটার রয়েছেন, যাদের দেখা পাওয়া যায় না। হয়তো এখানে ছিল অনেকদিন আগে। চলে গিয়েছে। সে সব ধরে নিলে শতাংশের হারে ৬০ পার করে যাচ্ছে। উপনির্বাচনে ৬০ পার করে যাওয়াটা, খুব ভাল পোলিং।” তবে ভোট কম পড়ায় সকালেই তৃণমূল নেতারা টুইট করে ভোটারদের ভোট দিতে আবেদনও করেন। ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে ব্লক তৃণমূল কর্মীরা বাড়ি বাড়িও ঘোরেন। শেষবেলায় স্কুটি নিয়ে বের হন ফিরহাদ হাকিম।

এদিকে বিজেপি আবার এই উপনির্বাচনে জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, “আমরা জিতবই। আমরা আত্মবিশ্বাসী। একবার মুখ্যমন্ত্রীকে হারিয়েছি নন্দীগ্রামে। আমাদের আত্মবিশ্বাস থাকাটাই তো স্বাভাবিক। অতীতেও ভবানীপুরে আমরা লিড পেয়েছি। তবে বহু জায়গায় আমাদের ভোটাররা বাড়ি থেকে নামতে পারেননি। প্রশাসনকে দিয়ে তাঁদের ভীত, সন্ত্রস্ত করা হয়েছে।”

আরও পড়ুন: Jalpaiguri: চলতে পারছেন না গর্ভবতী মহিলা, তবু টাকা না দিলে লিফটে তুলবেন না ‘লিফট ম্যান’