AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Jalpaiguri: চলতে পারছেন না গর্ভবতী মহিলা, তবু টাকা না দিলে লিফটে তুলবেন না ‘লিফট ম্যান’

Patient: হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান জানান, গুরুতর এই অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Jalpaiguri: চলতে পারছেন না গর্ভবতী মহিলা, তবু টাকা না দিলে লিফটে তুলবেন না 'লিফট ম্যান'
এই ঘটনায় তুমুল হট্টগোল বাধে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে। ফাইল চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Oct 01, 2021 | 6:54 AM
Share

জলপাইগুড়ি: হাসপাতালের লিফট চালান ‘প্রক্সি ম্যান’। তাঁকে আবার অতিরিক্ত টাকা না দিলে গর্ভবতী মায়েরা লিফট ব্যবহার করতে পারেন না। জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের (Jalpaiguri Sadar Hospital)  মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবে লিফট ম্যান নিয়ে একের পর এক গুরুতর অভিযোগ উঠছে।

অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে টাকার বিনিময়ে অন্যের হয়ে প্রক্সি ডিউটি করে যাচ্ছেন ‘বুড়া’ নামে এক দালাল। তিনি নার্সিং হোমের হয়ে হাসপাতাল থেকে রোগী নিয়ে যাওয়া,আল্ট্রা সোনোগ্রাফি, ব্লাড টেস্ট-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রেই হস্তক্ষেপ করেন। পাশাপাশি টাকার বিনিময়ে রোগীদের লিফটে নিয়ে যান। হাসপাতালে এমনই অব্যবস্থা বলে এবার হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালেরই অপর এক লিফট ম্যান।

কী ভাবে প্রকাশ্যে এল ঘটনা…

বুধবার রাতে জলপাইগুড়ি মাদার চাইল্ড হাবে এক গর্ভবতী মহিলার সন্তান গর্ভেই মারা যায়। এরপর ওই মহিলাকে রেফার করে দেওয়া হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। অভিযোগ, এরপরই ওই মহিলার রেফার সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়ে নেন বুড়া নামে এক দালাল। অভিযোগ, অসহায় ওই মহিলার জন্য আসা অ্যাম্বুলেন্স ফিরিয়ে দিয়ে তাঁকে ৫০০০০ টাকার বিনিময়ে নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়ে গর্ভপাত করানোর জন্য চাপ দিতে থাকেন। ওই মহিলার পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতেই হাসপাতালে তুমুল হট্টগোল শুরু হয়।

এরপরই হাসপাতালে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করে। জানা যায়, হাসপাতালে থাকা লিফট ব্যবহার করতে গেলে লিফট ম্যানদের টাকা দিতে হয়। টাকা না দিলে কোনও গর্ভবতী মহিলাকে লিফট ব্যবহার পর্যন্ত করতে দেওয়া হয় না।

এ বিষয়ে জলপাইগুড়ি মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবে কর্মরত সমীর দত্ত নামে এক লিফট ম্যান বুধবার কার্যত এই সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, এখানে বুড়া নামে এক দালাল রয়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই হাসপাতালের একাংশ স্টাফদের হয়ে প্রক্সি ডিউটি করেন। একইসঙ্গে হাসপাতালে বিভিন্ন বিষয়ে দালাল চক্র চালান। এদিকে বুধবার ওই মহিলার ঘটনাটি সামনে আসার পর পরিস্থিতি এতটাই ঘোরাল হয়ে ওঠে যে, পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

ঘটনায় এক্রামুল হক নামে এক রোগীর আত্মীয় অভিযোগ করেন, তাঁর মেয়ে সন্তানসম্ভবা। কিন্তু মেয়েকে লিফটে নিয়ে যাওয়ার জন্য ৪০০ টাকা দিয়েছেন। না হলে মুখে উপর বলে দিয়েছিল, নিয়ে যাবে না।

ঘটনায় রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান বিজয়চন্দ্র বর্মন বলেন, “মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে। এসব চলতে দেওয়া যাবে না। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে বুড়াকে সনাক্ত করার ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রয়োজনে বুড়া যার হয়ে ডিউটি করছিল তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এফআইআর করা হবে।” কিন্তু কে এই বুড়া? আসল নাম কী? কোথায়ই বা বাস? সে জবাব দিতে পারলেন না কেউই।

আরও পড়ুন: Asansol Flood: জলের তলায় জাতীয় সড়ক, বাড়ির মধ্যে ঢুকছে নর্দমার জল