School Chaos: দোতলা আছে, উপরে ওঠার সিঁড়ি নেই; এ কেমন স্কুল বিল্ডিং?

Chaos in North Dinajpur: গ্রামবাসীদের বক্তব্য, 'স্কুলের একতলার পিলার নেই। তার উপর দোতলা হয়ে গিয়েছে। গরিব মানুষের ছেলেমেয়েরা এখানে পড়ে। যদি বিল্ডিং পড়ে যায়, বাচ্চাগুলি কি বাঁচবে? তার উপর দোতলা করেছে, কিন্তু সিঁড়ি নেই।'

School Chaos: দোতলা আছে, উপরে ওঠার সিঁড়ি নেই; এ কেমন স্কুল বিল্ডিং?
উত্তর দিনাজপুরের এই স্কুল ঘিরেই সমস্যা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 30, 2023 | 8:20 PM

গোয়ালপোখর: স্কুলের বিল্ডিং (School Building) নির্মাণে ভুল। আর তা নিয়েই বিক্ষোভ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এমনকী শিক্ষকদের সঙ্গে বচসা-ধস্তাধস্তির পরিস্থিতিও তৈরি হয় এলাকায়। সোমবার এমনই এক ঘটনা ঘটল উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) গোয়ালপোখর ব্লকের কাশোর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। কী কারণে এই ধস্তাধস্তির পরিস্থিতি? এর আগে ওই স্কুলের দোতলা তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু সেই দোতলায় ওঠার জন্য কোনও সিঁড়ি নেই। আর এই নিয়েই বিক্ষোভ স্থানীয় বাসিন্দাদের। গ্রামবাসীরা স্কুলের প্রাঙ্গনে ঢুকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, ‘স্কুলের একতলার পিলার নেই। তার উপর দোতলা হয়ে গিয়েছে। গরিব মানুষের ছেলেমেয়েরা এখানে পড়ে। যদি বিল্ডিং পড়ে যায়, বাচ্চাগুলি কি বাঁচবে? তার উপর দোতলা করেছে, কিন্তু সিঁড়ি নেই। দুই বছর হয়ে গেল এভাবেই রয়েছে।’

শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি স্কুলের ব্যবস্থাপনার যথেষ্ট অভাব রয়েছে বলেও অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এমনকী পড়ুয়াদের বসার জন্য কোনওরকম বেঞ্চের ব্যবস্থাও নেই বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। চাটাই নিয়ে এসে বসতে হয় পড়ুয়াদের। স্কুলের এমন বেহাল অবস্থার কথা স্থানীয় প্রশাসনকে জানানোর পরেও কোনও সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ তাঁদের। এই নিয়েই এদিন কার্যত তুলকালাম কাণ্ড বেঁধে যায় স্কুলে চত্বরে। প্রকাশ্যেই উভয় পক্ষ স্কুল ক্যাম্পাসের মধ্যে হাতাহাতি ধ্বস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন। এমনকী প্রধান শিক্ষকের সঙ্গেও একপ্রস্থ বচসা হয় গ্রামবাসীদের। শিক্ষকরা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ তোলেন বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা

যদিও বিষয়টি নিয়ে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোসাব্বির আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি গ্রামবাসীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেন। প্রধান শিক্ষকের দাবি, কিছু লোক রাজনৈতিক চক্রান্ত করে বদনাম করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, ‘আমার স্কুলের সমস্যা হল জমি নেই। লকডাউনের সময়ে একটি সংস্থা কাজ করে দোতলার জন্য। লকডাউনের সময় আমরা শুধু চাল দেওয়ার জন্য আসতাম, সেটি দিয়ে চলে যেতাম। এদিকে ওই সময়ে ছাদ পর্যন্ত কাজ হয়ে যায়। কিন্তু জমি না থাকার কারণে ওরা সিড়িটি করতে পারেনি। কারণ, পাশ থেকে সিঁড়িটি করতে হবে, এছাড়া কোনও উপায় নেই। আমরা এই সমস্যার কথা এসআই অফিসকে জানিয়েছি।’