Crime News: পুলিশকর্মীর পরিবারের ওপর গুলি চালিয়ে মেঘালয়ে গা ঢাকা! ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সহ ৪
Arrest: ২৭ সেপ্টম্বর রায়গঞ্জ থানার দেবীনগর শিববাড়ি যাবার রাস্তাতেই সুজয় মজুমদার সহ একই পরিবারের তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। পেশায় পুলিশকর্মী সুজয়বাবু। তাঁর বোন দেবী সান্যালের ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। বাকি দু'জনের অবস্থা এখনও সংকটজনক।
উত্তর দিনাজপুর: রায়গঞ্জে (Raiganj) পুলিশ কর্মীকে গুলি করে খুন কাণ্ডে মেঘালয়ে (Meghalaya) গা ঢাকা দিয়ে থাকা মূল অভিযুক্তদের অবশেষে পাকড়াও করল পুলিশ (Police)। শীতল রায় ওরফে পাপন-সহ তার স্ত্রী ও শ্যালককে শনিবার গ্রেফতার করে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
ধৃতদের নাম হলেন শীতল রায় ওরফে পাপন, সিভিক ভলান্টিয়ার গোপাল কৃষ্ণ বিশ্বাস, যে পুলিশ কর্মী খুনে মূল অভিযুক্ত পাপনের শ্যালক এবং পাপনের স্ত্রী সুপর্ণা বিশ্বাস। এদিন সুদূর মেঘালয় থেকে তাদের গ্রেফতার করে রায়গঞ্জ আদালতে পেশ করে পুলিশ। ধৃত পাপন এবং তার শ্যালক গোপাল কৃষ্ণ বিশ্বাসকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পাপনের স্ত্রী সুপর্ণাকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ঠিক কী ঘটেছিল?
গত ২৭ সেপ্টম্বর রায়গঞ্জ থানার দেবীনগর শিববাড়ি যাবার রাস্তাতেই সুজয় মজুমদার সহ একই পরিবারের তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। পেশায় পুলিশকর্মী সুজয়বাবু। তাঁর বোন দেবী সান্যালের ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। বাকি দু’জনের অবস্থা এখনও সংকটজনক। একজনকে মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে সুজয়বাবুকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
পুলিশ তদন্তে নেমে বেশ কয়েকটি নাম পায়। তাদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত হিসাবে পাপন রায় ওরফে সুজনের নাম উঠে আসে পুলিশের খাতায়। এর পর পাপনের দিদি জয়শ্রী দাসকে আগেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। তবে মূল অভিযুক্তরা ছিল অধরা। অবশেষে তারাও গ্রেফতার হল। পুলিশ মূল অভিযুক্ত পাপন সহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করেছে এই মামলায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল পাপন রায়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে মেঘালয়ের শিলংয়ে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে সে বলে। এরপর সেখানে হানা দেয় রায়গঞ্জ পুলিশের একটি দল। গৌহাটি ও শিলংয়ের মাঝে রাস্তার ধারে একটি ধাবা থেকে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে শনিবার সকালে রায়গঞ্জে নিয়ে আসা হয়। এদিন ধৃতদের রায়গঞ্জ জেলা আদালতে তোলা হলে পাপন ও তার শ্যালক গোপালকে ১৪দিনের পুলিশি হেফাজত ও পাপনের স্ত্রীর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
কেন এই গুলি চালানোর ঘটনা?
জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ওই পুলিশ কর্মীর বাড়িতে ভাড়া থাকত অবিযুক্ত পাপন। পরে হঠাৎই অন্য জায়গায় সে বাড়িভাড়া নিয়ে চলে যায় স্ত্রীকে নিয়ে। এই গুলি কাণ্ডের তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, আক্রান্ত পুলিশ কর্মীর সঙ্গে তার স্ত্রীয়ের সম্পর্ক রয়েছে, এ সন্দেহেই ভাড়াবাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিল পাপন। কিন্তু তার পরেও প্রতিহিংসাবশতঃ এই গুলি চালানোর ঘটনা বলে সন্দেহ। তবে এর নেপথ্য়ে আরও কোনও কারণ আছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: TMC: আবাস যোজনার টাকা পেতে দিতে হবে কাটমানি, তৃণমূল নেতার হাত থেকে নিস্তার নেই পক্ষাঘাতের রোগীর!