Delhi Blast: দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে এবার NIA-এর জালে বাংলার ডাক্তারি পড়ুয়া!
Delhi Blast: যাহ নিশারের আদি বাড়ি লুধিয়ানায় হলেও তাঁর পৈতৃক বসতি উত্তর দিনাজপুর জেলার ডালখোলা থানার অধীনে কোনাল গ্রামে। তাঁর বাবা তৌহিদ আলম কর্মসূত্রে কয়েক দশক আগে লুধিয়ানায় গিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তবে পরিবারটির সঙ্গে কোনাল গ্রামের আত্মীয়দের যোগাযোগ আজও বজায় আছে।

উত্তর দিনাজপুর: দিল্লির লালকেল্লার বাইরে ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণকাণ্ডে বাংলা যোগ। উত্তর দিনাজপুরের সূর্যাপুর বাজার এলাকা থেকে এনআইএ-এর জালে এক ডাক্তারি পড়ুয়া। নাম যাহ নিশার আলম। তিনি হরিয়ানার আলফলাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিবিএসের ছাত্র। শুক্রবার ভোরে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)-র বিশেষ টিম সূর্যাপুর বাজার চত্বর থেকে তাঁকে আটক করে।
পরিবার এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যাহ নিশারের আদি বাড়ি লুধিয়ানায় হলেও তাঁর পৈতৃক বসতি উত্তর দিনাজপুর জেলার ডালখোলা থানার অধীনে কোনাল গ্রামে। তাঁর বাবা তৌহিদ আলম কর্মসূত্রে কয়েক দশক আগে লুধিয়ানায় গিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তবে পরিবারটির সঙ্গে কোনাল গ্রামের আত্মীয়দের যোগাযোগ আজও বজায় আছে। দুই দিন আগে এক আত্মীয়ের বিয়েতে যোগ দিতে যাহ নিশার তাঁর মা ও বোনকে নিয়ে কোনাল গ্রামে যান। ঠিক সেই সফরের মধ্যেই শুক্রবার সকালেই এনআইএ-এর জালে ধরা পড়েন তিনি।
এনআইএ-এর সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিস্ফোরণ মামলার তদন্তে তাঁদের প্রথম পদক্ষেপ ছিল লুধিয়ানায় তৌহিদ আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা। সেখান থেকেই জানা যায় যে যাহ নিশার বর্তমানে উত্তর দিনাজপুরে রয়েছে। এরপরই তদন্তকারী দল দ্রুত উত্তরবঙ্গে আসে এবং বৃহস্পতিবার গভীর রাতেই সূর্যাপুরের উদ্দেশে রওনা দেয়। শুক্রবার ভোরে এলাকায় নেমে তাঁরা অভিযান চালায়।
পুলিশ সূত্র বলছে, যাহ নিশারের মোবাইল ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে তাঁকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়। তাঁর মোবাইল সিগন্যাল সূর্যাপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় ছিল, সেখানে পৌঁছয় তদন্তকারীদের দল। তাঁকে আটক করে প্রথমে ইসলামপুরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরবর্তীতে আরও জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তাঁকে শিলিগুড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, এই ঘটনায় হতবাক ধৃতের পরিবার। যাহ নিশারের কাকা আবুল কাশেম বলেন, “ভাইপোকে আমরা খুবই শান্ত-স্বভাব ও ভদ্র ছেলে হিসেবে চিনি। সে পড়াশোনা ছাড়া অন্য কোনও বিষয়ে মাথা ঘামায় না।” গ্রামের বাসিন্দারাও জানাচ্ছেন, যাহ নিশার শান্ত, ভদ্র এবং শিক্ষিত পরিবারের ছেলে। এত বড় ঘটনার সঙ্গে তার নাম জড়ানোয় তাঁরাও অবাক।
