AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বাকিদের শো-কজ, ‘বেসুরো’ রাজীবকে সুরে ফেরানোর চেষ্টায় দিলীপ

দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন,"যারা দলে থেকেও বেসুরো তাদের অনেককেই শো-কজ করা হচ্ছে। যদিও রাজীব ব্যানার্জীকে শুধু বোঝানো হয়েছে।''

বাকিদের শো-কজ, 'বেসুরো' রাজীবকে সুরে ফেরানোর চেষ্টায় দিলীপ
রাজীবের যোগদানে মুখ খুললেন দিলীপ, ফাইল ছবি
| Updated on: Jun 20, 2021 | 5:32 PM
Share

রায়গঞ্জ: মুকুল রায়ের তৃণমূলে ‘ঘরওয়াপসি’র পর জেলায় জেলায় বিজেপির ভাঙন শুরু হয়েছে। ‘বেসুরো’ শুনিয়েছে সাংসদ সুনীল মণ্ডল থেকে প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে এই বেসুরো নেতাদের নিয়ে বিজেপি কঠিন অবস্থান নিচ্ছে বলে দাবি করলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। কিন্তু রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে এদিন দিলীপবাবু আলাদা করে মন্তব্য করেছেন। যা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

রবিবার দিলীপ ঘোষ বলেন,”যারা দলে থেকেও বেসুরো তাদের অনেককেই শো-কজ করা হচ্ছে। যদিও রাজীব ব্যানার্জীকে শুধু বোঝানো হয়েছে।” আর এখান থেকেই ডোমজুড়ের বিজেপি প্রার্থীকে নিয়ে ডালপালা মেলছে নতুন জল্পনা। তবে কি রাজীব ফের তৃণমূলমুখী তা ধরেই নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি? দিলীপ ঘোষের ‘ভাল ছেলে’ কি ফের ‘মাদার ফিগার’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলেই ফিরিছেন? এমনই সব প্রশ্ন উঠল দিলীপবাবুর প্রতিক্রিয়ায়।

একুশের ভোটের আগে শুভেন্দু-শীলভদ্রের পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। সে সময় রাজ্যের বন মন্ত্রীকে বিজেপিতে স্বাগত জানিয়ে দিলীপ বলেছিলেন, ‘রাজীবকে দলে স্বাগত। ভাল ছেলে। ভাল কাজ করেছিল। ও দলে আসতে চাইলে স্বাগত।’ তারপর রাজীব তৃণমূল ত্যাগ করে চাটার্ড ফ্লাইটে দিল্লি গিয়ে গেরুয়া পতাকা হাতে নিয়েছেন। আবার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে মমতার ছবি হাতে কেঁদে ফেলা রাজীব বলেছেন, মমতা তাঁর কাছে মাদার ফিগার হয়েই থাকবেন।

যদিও ভোট প্রচারের ময়দানে এক অন্যকে নিশানা করেছেন মমতা-রাজীব। সেই রাজীবই ফের তৃণমূলে ফিরতে পারেন বলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। শুরুটা তাঁ একটি ফেসবুক পোস্ট দিয়ে।

শুভেন্দু অধিকারী যখন ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের কথা বলেন তাঁর বিপরীতে গিয়ে রাজীব লেখেন, ‘সমালোচনা তো অনেক হল’৷ ওই পোস্টে তাঁর আরও বক্তব্য, তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ভোটে জিতেছে ৷ মানুষের আস্থা নিয়ে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেই সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে ‘কথায় কথায় দিল্লি আর ৩৫৬ ধারার জুজু’ দেখালে বাংলার মানুষ তা ভালভাবে মেনে নেবেন না ৷ তারপর রাজীব-কুণাল সাক্ষাৎ এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মাতৃবিয়োগে তাঁর বাড়িতে যাওয়া, এ সবের মধ্যে রাজীবের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে শুরু হয় জোর আলোচনা।

আরও পড়ুন: সাংসদের দাবি ‘বঙ্গভঙ্গ’, দল ছেড়ে তৃণমূলের পথে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা 

এই প্রেক্ষিতে রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে নিয়ে দিলীপ ঘোষের আলাদা করে মন্তব্য যথেষ্টই তারপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।