AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Hamidul Rahman: ফাঁড়িতে ঢুকে পুলিশকে বেঁধে রেখে শোধরানোর নিদান তৃণমূল বিধায়কের!

Uttar Dinajpur: স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় একটি চা বাগানের জমির মালিকানা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই সংঘর্ষ লেগেছিল।

Hamidul Rahman: ফাঁড়িতে ঢুকে পুলিশকে বেঁধে রেখে শোধরানোর নিদান তৃণমূল বিধায়কের!
তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান (নিজস্ব ছবি)
| Edited By: | Updated on: Apr 06, 2022 | 8:06 PM
Share

উত্তর দিনাজপুর: জনসভায় দাঁড়িয়ে পুলিশকে হুমকি বিধায়কের। ফাঁড়িতে ঢুকে পুলিশকে বেঁধে রেখে শোধরানোর নিদান উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের। সেখানকার একটি সভা থেকে হুমকি দেন বিধায়ক। শুধু জনসভার বক্তব্যতেই নয়, সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ক্যামেরার সামনেও বারংবার ইসলামপুর রামগঞ্জ থানার পুলিশ আধিকারিক পিন্টু বর্মণকে ঈদের পরে বেঁধে রেখে শোধারাবেন বলেও জানিয়েছেন বিধায়ক হামিদুল রহমান।

কী বললেন বিধায়ক?

‘আমরা পুলিশকে শ্রদ্ধা করি। পুলিশের সঙ্গে সহযোগীতাও করি। কিন্তু যদি কেউ দালালি করতে চায় তাহলে তাঁকে বেঁধে রেখে শোধরানো হবে।’ এখানেই শেষ নয়, পাশাপাশি এদিন দলীয় জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের বিরুদ্ধেও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেন। বলেন, ‘কানাইয়ালাল আগরওয়াল কানে তেল দিয়ে রাখেন, তাই তিনি কিছুই শোনেন না।’

চোপড়া বিধানসভার গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভদ্রকালী বাজার। বুধবার সেখানেই সভা হয় তৃণমূলের। এদিনের সেই সভা পুলিশ আধিকারিককে শিক্ষা দেওয়ার নিদানে হাততালিতে ভরে ওঠে। হামিদুল রহমান স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যদেরও ‘পুলিশের সঙ্গি’ বলে আক্রমণ করেন। তবে গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহাম্মদ রাইসুদ্দীন পালটা অভিযোগ করে জানান, চোপড়া থানা এলাকায় বিধায়ক নিজের অঙ্গুলি হিলনে সব কাজ সিদ্ধ করেন। কিন্তু হামিদুল বাবু তাঁর বিধানসভা এলাকার ইসলামপুর থানার অন্তর্ভুক্ত গোবিন্দপুর এলাকায় তেমন করতে পারছেন না বলেই বহিরাগতদের এনে সভা করে এভাবে কথা বলছেন। পাশাপাশি পুলিশকে বেঁধে রাখার নিদান প্রসঙ্গে প্রধান রাইসুদ্দীন বলেন, ‘পুলিশ এতদিন বিধায়কের চামচাগিরি করে এসেছে, দোষী ব্যক্তিদের গ্রেফতার করেনি। তাই পুলিশকে এইসব কথা শুনতে হল।’

তবে বুধবার ভদ্রকালী বাজারে ভরা জনসভায় এভাবে বিধায়ক হামিদুল রহমানের পুলিশকে হুমকি  এবং তার প্রেক্ষিতে তৃণমূলের আর এক নেতার বক্তব্য, শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলের বিষয়টি আরও বেশি করে সামনে নিয়ে এসেছে। এদিকে, তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। আর উর্ধ্বতন নেতৃত্বকে বিধায়ক জানাতেই পারেন যদি কোনও অভিযোগ থাকে। যদিও রাজ্য জুড়েই এই ধরনের হুমকি চলছে আর সবাই অনুব্র‍ত মণ্ডলের শিষ্য বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।

প্রসঙ্গত, স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় একটি চা বাগানের জমির মালিকানা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই সংঘর্ষ লেগেছিল। একপক্ষ বিধায়ক হামিদুল রহমানের গোষ্ঠী। অপরদিকে গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রাইসুদ্দীন এর গোষ্ঠী তথা তৃণমুল জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালার গোষ্ঠী। এই জমি বিবাদে পুলিশের ভূমিকা প্রধানের গোষ্ঠীর পক্ষে যাচ্ছিল বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ৷ আর সেই কারণেই আজকের জনসভায় পুলিশকে হুঁশিয়ারী দিয়েছেন বিধায়ক হামিদুল রহমান।

আরও পড়ুন: Gaighata Chaos: বান্ধবী নগ্ন, ‘কুকীর্তি’ দেখে ফেলায় নেশায় চুর ছেলে মাথা ফাটাল বাবার