Police Attack: গলির মধ্যে পাঁইপাঁই ছুট পুলিশকর্মীর, পিছনে দৌড়চ্ছেন মহিলারা, তারপর ঝাঁপিয়ে পড়েই…, কী করেছেন জানলে চমকে উঠবেন
West bengal Police: পুলিশ সুপার ও জেলা শাসকের বাংলো লাগোয়া এলাকাতেই এই পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে দাদাগিরির অভিযোগ। প্রতিবেশী বাড়ি করতে গেলে সার্ভিস রিভলবার উঁচিয়ে টাকা চাওয়ার অভিযোগ পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে।

রায়গঞ্জ: অন্ধকার গলির রাস্তা। নীল শার্ট আর জিন্সের প্য়ান্ট পরে দৌড়চ্ছেন এক ব্যক্তি। এলাকাবাসীর বক্তব্য তিনি পেশায় পুলিশ কর্মী। আর ওই ব্যক্তির পিছনে দৌড়চ্ছেন মহিলারা। কিছুদূর এগোতেই একটি বাইক চলে এল তাঁকে বাঁচাতে। কিন্তু তার আগেই ওই পুলিশ কর্মীকে ধরে ফেললেন তাঁরা। কেউ আবার পিছন থেকে চিৎকার করে বললেন, ‘এই দেখো সার্ভিল পিস্তল প্যান্টের ভিতর ঢোকাচ্ছে।’ সত্যিই তাই! দেখা যাচ্ছে ওই পুলিশ কর্মী একটি পিস্তল ঢুকিয়ে নিচ্ছেন পকেটে। এইসবের মধ্যেই গ্রামের মহিলারা ধরে ফেললেন তাঁকে। তারপরই মারধরের অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই একটি ভিডিয়ো ভাইরাল (সত্যতা যাচাই করেনি টিভি ৯ বাংলা) হয়েছে। কিন্তু কী ঘটেছে?
পুলিশ সুপার ও জেলা শাসকের বাংলো লাগোয়া এলাকাতেই এই পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে দাদাগিরির অভিযোগ। প্রতিবেশী বাড়ি করতে গেলে সার্ভিস রিভলবার উঁচিয়ে টাকা চাওয়ার অভিযোগ পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। যার জেরেই তৈরি হয় জনরোষ। আর সেই জনরোষের মুখে পড়ে দৌড়ে পালালেন অভিযুক্ত ওই পুলিশ কর্মী। যা সামাজিক মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ করতে গেলে আক্রান্তদেরই পুলিশ আটক করে বলে অভিযোগ। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ থানার অন্তর্গত কর্নজোড়ায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সানাউল্লা নামে ওই পুলিশ কর্মী এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করেছেন। এলাকায় নিজস্ব গুন্ডাবাহিনীও রয়েছে তাঁর। অভিযোগ, শুক্রবার তাঁর প্রতিবেশীর সঙ্গে জায়গা জমি নিয়ে বিবাদ বাধে। অভিযোগ, সেই সময় প্রতিবেশিকে মারধর করার পাশাপাশি সার্ভিস পিস্তল দেখিয়ে হুমকি দেয় ওই পুলিশ কর্মী সানাউল্লা।
এরপরই শুক্রবার রাতে দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র বচসা বাধে। অভিযোগ, সানাউল্লা নিজের সার্ভিস পিস্তল বের করে হুমকি দিতে থাকেন বলে অভিযোগ। এর জেরেই তৈরি হয় জনরোষ। এলাকাবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে তিনি ছুটতে শুরু করেন। কিন্তু স্থানীয়রাও তাঁকে তাড়া করে।
এখানেই শেষ নয়, এলাকার বাসিন্দাদের আরও দাবি, এই বিষয়টি কর্নজোড়া ফাঁড়িতে জানানো হলে, আক্রান্ত অভিযোগকারীদেরই পুলিশ আটক করে বলে অভিযোগ।
যদিও এই বিষয়ে অভিযুক্তের বা পুলিশের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। সুবরাত মহম্মদ নামে অভিযোগকারী বলেন, “সানাউলের পুলিশে চাকরি করেন। ওঁর বাড়ির পাশেই আমার বাড়ির জমি রয়েছে। আমি সেখানেই নিয়ম মেনেই বাড়ি তৈরি করছি। উনি বলছেন টাকা দিতে হবে। আমরা কিন্তু ২০ হাজার টাকা দিয়েছি। তারপরও টাকা দিতে হবে। কেন দেব বারেবারে টাকা বলুন তো? আমার জমি, আমি বাড়ি করব তাও ওকে টাকা দেব শুধু মাত্র সরকারি লোক বলে? এই নিয়েই ঝামেলা। নিজের সার্ভিস রাভালভার বের করে ভয় দেখাচ্ছিল।”
