Raiganj TMC: মুখ লুকোতে সানগ্লাস পরে বেরোতে হচ্ছে রাস্তায়, দলীয় পতাকা খামে ভরে পদত্যাগ তৃণমূল কর্মীদের
Raiganj TMC: "পাড়ায় পাড়ায় চায়ের দোকানে তাঁদের প্রতিনিয়ত চোর, চোর বলে সম্বোধন করছেন সাধারণ মানুষ। লোকের চোখ এড়াতে সানগ্লাস পরতে হচ্ছে।" তৃণমূলকে তোলাবাজদের দল বলেও তাঁরা কটাক্ষ করেন।
রায়গঞ্জ: দলীয় পতাকা খামে ভরে জেলা সভাপতিকে ডাকযোগে পোস্ট করে দলত্যাগ পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যদের! সোমবার দুপুরে এমনই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল রায়গঞ্জে মুখ্য ডাকঘরে। সোমবার সকালে রায়গঞ্জ ব্লকের বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েক জন পঞ্চায়েত সদস্য কার্যত দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তাঁদেরই একজন এদিন বলেন, “পাড়ায় পাড়ায় চায়ের দোকানে তাঁদের প্রতিনিয়ত চোর, চোর বলে সম্বোধন করছেন সাধারণ মানুষ। লোকের চোখ এড়াতে সানগ্লাস পরতে হচ্ছে।” তৃণমূলকে তোলাবাজদের দল বলেও তাঁরা কটাক্ষ করেন।
তবে তৃণমূল ছেড়ে তাঁরা কোন দলে যোগ দেবেন, সে বিষয়ে এখনও তাঁরা কোনও কিছু স্পষ্ট করেননি। তবে নির্বাচনের মনোনয়ন চলাকালীন শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্যদের এই অভিনব কায়দায় দলত্যাগ যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে।
বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য মনসুর আলি বলেন, ” তৃণমূল পতাকা বহন করছিলাম। দলের কাছে এই পতাকা সম্মানের, আদরের। তাই এই পতাকার যাতে অবমাননা না হয়, তাই খামে ভরে পতাকা ফেরত দিলাম।” তিনি আরও বলেন, “২০১৪ সালের পর থেকে দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। এখন দলে উৎশৃঙ্খল পরিস্থিতি, দলে স্বজনপোষণ চলছে। দ্বিমুখীভাবে চলছে দল। আমরা নির্বাচিত হওয়ার পরও বিভিন্ন বৈঠকে ডাকে না। দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রশ্রয় দিচ্ছে।”
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, “ওরা ওসব নাটক করেছে। মানুষ ওদের বরদাস্ত করবে না। খামে পতাকা ভরে পোস্ট অফিসে যা করছে, তারা খামেই আবদ্ধ থাকবে। মানুষের সঙ্গে ওদের সংযোগ নেই। সঙ্গে লোক নেই বলে পোস্ট অফিসে শুকনো খামে পদত্যাগ করছেন।”
তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র সন্দীপ বিশ্বাস বসেন, “যারা সৎ নিষ্ঠাবান নয়, পরিযায়ী পাখির মত তারা এভাবেই ছেড়ে যাবে। এতে দলে প্রভাব পড়বে না। যারা পোস্ট অফিসে যাচ্ছে তারা ওখানেই থাকবে, মানুষের সঙ্গে তারা থাকে না।”