Hotel Rules: হোটেলে ঢুকলেই এবার ‘স্মাইল প্লিজ’, বাংলার পর্যটকদের জন্য নিয়মে বড় বদল
Hotel Rules: এই নিয়ম নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। এই প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি নিমাই কবিরাজ বলেন, "বিজেপি নেতাদের গতিবিধির উপর নজর রাখতেই এই ব্যবস্থা।"

:
রায়গঞ্জ: পশ্চিমবঙ্গের কোনও হোটেলে উঠতে গেলে এবার থেকে শুধু নথি জমা দিলেই চলবে না, বদলে গেল নিয়ম। এবার পর্যটকদের উপর পুলিশি নজরদারি হবে আরও কড়া। এতদিন পর্যন্ত আধার কার্ডের জেরক্স কপি জমা দিলেই চলত। আর পর্যটকের সব তথ্য একটি রেজিস্টারে লিখে তা নিয়ে যেতে হয় থানায়। এবার বদলে গেল সেই নিয়ম।
চাইলে এখন আর শুধু আধার কার্ডের জেরক্স আর রেজিস্টারে সই করলেই চলবে না। ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে ছবিও তুলতে হবে। কারণ, চালু হয়েছে নতুন ডিজিটাল পুলিশি সিস্টেম। এখন থেকে হোটেলের রেজিস্টার নয়, অতিথিদের ছবি ও পূর্ণ বিবরণ অনলাইনে পুলিশের পোর্টালে আপলোড করতেই হবে। কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় চালু করা হয়েছে এই নতুন নিয়ম।
হোটেলের মালিকরা এই পদ্ধতিতে অনেকটাই স্বস্তিতে। রোজ রোজ থানায় রেজিস্টার হাতে ঘুরে বেড়াতে হবে না আর। আর সেই ঝামেলা নেই। মোবাইলে ছবি তুলে, নাম-ঠিকানা দিয়ে কয়েক ক্লিকে সব সেরে ফেলা যাচ্ছে এবার। কেউ কেউ তো বলেই ফেলেছেন, ‘এতদিনে সভ্য যুগে ঢুকলাম!’
এই নিয়ম নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। এই প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি নিমাই কবিরাজ বলেন, “বিজেপি নেতাদের গতিবিধির উপর নজর রাখতেই এই ব্যবস্থা।” অন্যদিকে কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক তুষার গুহ কটাক্ষ করে বলেন, “আসলে তৃণমূল নিজের দলের নেতারা বিজেপির কোনও নেতার সঙ্গে বৈঠক করছে কি না, সেটা বোঝার জন্যই এই নজরদারি। সোজা কথায় নিজেদের দলের উপরই নজর রাখছে তৃণমূল।”
তবে, রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যানী বলছেন, “বিরোধীরা সবকিছুর মধ্যে নেতিবাচক দিক খুঁজে বেড়ান। এই পদক্ষেপ সাধারণ মানুষের সুরক্ষার জন্য। ওদের মঙ্গলবোধ জাগুক, সেই কামনা করি!”
