Awas Yojana: অন্যের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি, ৬০+৬০ হাজার হাতাতে যে ফন্দি আঁটলেন মহিলা
Raiganj: অভিযোগ, রায়গঞ্জ ব্লকের মাড়াইকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিহার সীমান্ত লাগোয়া কাটিহার গ্রাম। সেখানে অলেদা দেওয়া ও লালবানু খাতুনদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আবাস যোজনার দুই কিস্তির সব টাকাই ঢুকে গিয়েছে।

রায়গঞ্জ: বাড়ি বানানোর জন্য টাকা দিয়েছিল রাজ্য সরকার। ষাট হাজার করে দুটি কিস্তির টাকা পেয়েছিলেন। সেই দুই কিস্তির টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকলেও বাড়ি না বানানোর অভিযোগ দুই পরিবারের বিরুদ্ধে। ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ ব্লকের কাটিহার গ্রামে। এই ঘটনায় প্রশাসনের দ্বারস্থ গ্রামবাসী।
অভিযোগ, রায়গঞ্জ ব্লকের মাড়াইকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিহার সীমান্ত লাগোয়া কাটিহার গ্রাম। সেখানে অলেদা দেওয়া ও লালবানু খাতুনদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আবাস যোজনার দুই কিস্তির সব টাকাই ঢুকে গিয়েছে। অভিযোগ, অথচ তাঁদের কেউই সরকারি ঘর বানায়নি। ওই গ্রামের এমনই দু’জনের বিরুদ্ধে ঘর না করেই টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলে রায়গঞ্জের বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন গ্রামের অন্যান্য ক্ষুব্ধ সাধারণ বাসিন্দারা।
তাঁদের দাবি, গরিব মানুষ ঘরের টাকা পেয়েছেন তাতে কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু ঘর তো তৈরি করতে হবে। কিন্তু ঘর কেন একটা ইট না কিনেও অন্যের বাড়ির সামনে ছবি তুলে সরকারি টাকা কীভাবে পেয়ে যাচ্ছে? সার্ভে যাঁরা করল তারাই এই অবৈধ কাজ করেছে বলে অভিযোগ। যাঁর বাড়ির সামনে সেলফি তোলা হয়েছে সেই সইফুর রহমান বলেন, “আমি নিজের টাকায় বাড়ি বানিয়েছি। আর ওরা আমার বাড়ি সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে সরকারি টাকা নিচ্ছে।”
অন্যদিকে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযো সেই লালবানু বলেন, “আমি দুটো কিস্তির টাকা পেয়েছি। অন্য লোকের বাড়ির সামনেই ছবি তুলেছি। এখন করব আর কী…” পাশাপাশি এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা জানান, বিষয়টি তিনি জেনেছেন। দ্রুত প্রশাসনিকভাবে তারা পদক্ষেপ নেবেন। পঞ্চায়েত সদস্যা সাফেরা আখতার বলেন, “আমি জানতাম না। পুরো বিষয়টা জানলাম। তদন্ত হয়েছে। বিডিওকে জানাব বিষয়টা।”

