কলকাতা: রাজারহাটে কর্মী সম্মেলনে শাহ। সেখান থেকে বললেন, ‘আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আজ যদি আমার পা কেউ এখন ভেঙে দেয় তার একটা ছবি উঠবে তো! মুখ্যমন্ত্রীর পা ভেঙে দিল আর একটাও ছবি উঠল না! এটা কি সম্ভব! আমাদের ১৩০ জন কর্মী মারা গিয়েছে। কিন্তু অপরাধীর শাস্তি হয়নি। বিজেপি ক্ষমতায় এলে তৃণমূলের কোনও কর্মী মারা যাবে না এটা কথা দিলাম। আর যদি খুন হয় তবে হত্যাকারীকে পাতাল থেকে হলেও তুলে আনা হবে। আমাদের দলে শৃঙ্খলাই শেষ তো কথা। ‘
দেখুন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের সব লাইভ আপডেট…
রাজারহাটে কর্মী সম্মেলনে শাহ।
আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আজ যদি আমার পা কেউ এখন ভেঙে দেয় তার একটা ছবি উঠবে তো! মুখ্যমন্ত্রীর পা ভেঙে দিল আর একটাও ছবি উঠল না! এটা কি সম্ভব! আমাদের ১৩০ জন কর্মী মারা গিয়েছে। কিন্তু অপরাধীর শাস্তি হয়নি। বিজেপি ক্ষমতায় এলে তৃণমূলের কোনও কর্মী মারা যাবে না এটা কথা দিলাম। আর যদি খুন হয় তবে হত্যাকারীকে পাতাল থেকে হলেও তুলে আনা হবে। আমাদের দলে শৃঙ্খলাই শেষ তো কথা। ১৯৭১ থেকে বাংলার দিকে কারুর তাকানোর সময় নেই। প্রথমে কমিউনিস্ট তারপর মা-মাটি-মানুষের সরকার, বাংলার অবস্থা শেষ করে দিয়েছে। দিদি নিজের ভাইপো ছাড়া চিন্তা করেন না। দেশের জিডিপিতে ৩০ শতাংশ দান ছিল বাংলার। আজ সেই বাংলা ৩.৩-এ চলে গিয়েছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে এখানে সিএএ চালু হবে। সকল শরণার্থী নাগরিকত্ব পাবেন। কেন এত হিংসা বাংলায়! কেন এত অরাজকতা! হিংসার রাজনীতি আমরা করি না। তাই বিজেপিকে পদ্মে ছাপ দিয়ে জয়যুক্ত করুন। : অমিত
টিভি নাইন বাংলায় অকপট অমিত শাহ।
‘মমতা দিদি শীতলকুচিতেই সভা করে সেখানকার মানুষদের উস্কানি দিয়েছিলেন। বাহিনীকে ঘেরাও করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। উনি ইনসিকিউরিটি কমপ্লেক্সে ভুগছেন। মমতাদিদি ওই ৪ জনের জন্য অনেক কেঁদেছেন। কিন্তু, আরও একজন যে রাজবংশী নেতা মারা গেল তার কোনও উল্লেখ করেননি মমতা। চল্লিশ বছরের রাজনীতিতে আমি দেখেছি, যারা হেরে যাওয়ার ভয় পায়, তারা এইধরনের কাজ করে। বাংলায় সিএএ হবেই। পিকের সমীকরণ নিয়ে আমি চিন্তিত নই। উনি যা বলার বলে দিয়েছেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করবেন বাংলার জন্য প্রথম কোন তিনটি পদক্ষেপ করা হবে। নকশালরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে না, সিআরপিএফরাই বরং তাদের মেরে তাড়িয়েছে।’
পানিহাটির রোড-শো-এর অনতিপরেই কামারহাটিতে কর্মী সম্মলনে গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ। উপস্থিত কামারহাটির বিজেপি প্রার্থী অনিন্দ্য ওরফে রাজু ব্যানার্জি। সরাসরি মুখ্য়মন্ত্রীকে তোপ দেগে বললেন, ‘দিদি তো আমায় বহিরাগত বলেন। তবে বহিরাগত হলে এমন তো নয়, যে আমি কথা বলতে পারব না। প্রথম ক্যাবিনেটেই আয়ুষ্মান ভারতকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। মোদীজির কাছে এত পয়সা নেই। এই সবটাই সরকারের পয়সা। বাংলার মানুষের অধিকারে বাধা দিচ্ছেন দিদি। মমতা দিদি ঘাবড়ে গিয়েছেন। শীতলকুচিতে বাহিনীর অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার নিদান দিয়েছিলেন মমতা। বাহিনীকে ঘেরাও করতে বলেন। এত বাঙালি বাঙালি করছেন, গুজরাটে গেলেও কি আমায় বলবে বহিরাগত! দিদি বুঝতে পেরেছেন তাঁর আসন টলোমলো। তাই এসব বলছেন। লোকতন্ত্র বলে কিছুই নেই নাকি! বারবার বলা হয় , বিজেপির কোনও মুখ নেই। আমি আবারও বলছি, বাংলার ভূমিপুত্রই হবে মুখ্যমন্ত্রী। আমার ইস্তফার দাবি করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। আরে প্রয়োজনে আমি পায়ে হেঁটে ইস্তফা দিতে যাব।’
“শীতলকুচির মতো ঘটনা বাকি চার দফায় প্রয়োজনে আরও ১৬ টা ঘটবে। ভোট লুঠে এসেছিলেন, তাই গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।” ধূপগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠকে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu)।
বিস্তারিত পড়ুন: বাকি চার দফায় ১৬ টি শীতলকুচি ঘটবে: সায়ন্তন বসু
বঙ্গে জমজমাট রবিবাসরীয় প্রচার। বসিরহাট দক্ষিণে বিশাল জনসভার পর পানিহাটিতে রোড শো সারলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উপস্থিত ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিজেপির একাধিক হেভিওয়েট নেতৃত্বরা। সন্ময় ভট্টাচার্যের সমর্থনে এই রোড শো করেন শাহ। এ দিন গেরুয়া বেলুন ও পতাকায় ভরে ওঠে পানিহাটি।
শীতলকুচির ঘটনায় উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। বিভিন্ন জনসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ইস্তফা চেয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার, দক্ষিণ বর্ধমানে এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন মুখ্য়মন্ত্রী। পাশাপাশি সারেন প্রচারও। প্রসঙ্গত, গতকালই গোটা রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো।
শীতলকুচি কাণ্ডে এ বার মিঠুনের নিশানায় মমতা। রবিবার দত্তপুকুরে দলের হয়ে প্রচার করতে নেমে নাম না করে তৃণমূল সুপ্রিমোকে বিঁধলেন বিজেপির তারকা প্রচারক মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘চারটে মায়ের কোল ফাঁকা হয়ে গেল। কেন এমন হল? কেন এই উস্কানিতে মানুষ পা দিচ্ছেন আমি বুঝতে পারছি না।’
বিস্তারিত পড়ুন: ‘উস্কানিতে পা দিচ্ছেন মানুষ,’ শীতলকুচি কাণ্ডে মমতাকে নিশানা মিঠুনের
বসিরহাট দক্ষিণে বিশাল জনসভায় বক্তব্য রাখছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা। ১৪ এপ্রিল বাংলার নর্ববর্ষ। ওইদিন, নতুন বছর শুরু হবে বাংলায় আর ২মে-এর পর বাংলায় সোনার বাংলা তৈরি হবে। দিদির প্ররোচনাতেই ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে শীতলকুচিতে। দিদি সিরআরপিএফকে ঘেরাওয়ের কথা বলেছিলেন। সেইজন্যেই বুথে হামলা হয়েছে। আমার ইস্তফা চাইছেন মমতা। দিদিকে ২মে-এর পর পুরোপুরি ইস্তফা দিতে হবে। দিদির বিদায় ধুমধাম করে করতে হবে। ১৯৯ টা আসন তো পাবই। বসিরহাট দক্ষিণও আমাদের হবে। চতুর্থ দফার নির্বাচনের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। দিদির প্ররোচনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বন্দুক ছিনিয়ে নিতে গিয়েছিল ওই যুবকরা। কিছুদিন আগে শীতলকুচিতে জনসভা করে বাহিনীকে ঘেরাও করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা। ওইদিনই, শীতলকুচিতে দিনদুপুরে বিজেপি কর্মীকে গুলি করে খুন করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। আনন্দ বর্মণের জন্য দিদির কান্না কোথায়? রাজবংশী সমাজের একজন মারা গেল, তার জন্য় চোখের জল ফেললেন না আপনি দিদি! কিছুদিন আগে, তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেত্রী বলেন, দলিত সমাজের মানুষদের ভিক্ষা করার প্রবণতা আছে। আপনি এ কী কথা বলছেন দিদি! আপনি ওদের ভোটব্যাঙ্কে ব্যবহার করবেন আর ভিক্ষুক বলবেন। বিজেপি এলেই সিএএ হবে। রাজবংশী, মতুয়ারা যাঁরা শরণার্থী তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে প্রত্যেক মেয়ের জন্য কেজি থেকে পিজি পর্যন্ত বিনাপয়সায় পড়াশোনা। বাসে-ট্রেনে আর টিকিট লাগবে না। কৃষক ও গরিবদের জন্য চালু হওয়া প্রধানমন্ত্রীর সমস্ত যোজনা চালু করা হবে বাংলায়। দিদির বাংলায় তিনটি আইন আছে। একটি দিদির ভাইপোর জন্য, দ্বিতীয়টি তোলাবাজ ও তুষ্টিকরণের জন্য, তৃতীয়টি সাধারণ মানুষের জন্য যাঁরা সব শাস্তির ভাগিদার। আমফানের, বুলবুলের টাকা খাওয়া এই দলটিকে গদিচ্যুত করতে হবে। তারপর ওদের কারেন্ট লাগবে। মোদীজির জন্য় বাংলার কল্যাণ হবে। দিদির মনে কেবল ভাইপোর কল্যাণচিন্তা। দিদিকে গদিচ্যুত করতে হবে। মমতা দিদি খালি ভাবেন তাঁর ভাইপো মুখ্যমন্ত্রী হবেন। দিদির এই ধারণা ভেঙে দিতে হবে। কী করবেন আপনারা? আপনাদের কাছে ফোন আছে। সেই ফোন থেকে নিজের পরিচিত ৫০ জনকে ফোন করুন। ফোন করে বলুন দিদিকে ভাগান। কমলে ছাপ দিন। মৃ্ত্য়ু নিয়ে রাজনীতি করছেন মমতা। ওঁকে গদিচ্য়ুত করুন। গুলিকাণ্ডে ক্ষমা চাইতে হবে মমতাকে।: অমিত শাহ
বরানগরে বিজেপির তারকা প্রার্থী পার্নো মিত্রের সমর্থনে প্রচারে গিয়ে হুমকি দিলেন বিজেপির রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষ। জনসভা থেকে এ দিন দিলীপ বলেন, ‘দুষ্টু ছেলেরা গুলি খেয়েছে। বেশি বাড়াবাড়ি যেন না করা হয়। প্রয়োজনে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।’ প্রসঙ্গত, চতুর্থ দফার ভোটে, শীতলকুচিতে জওয়ানের গুলিতে চার ব্যক্তির মৃত্যু হয়। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার প্রচারে বেরিয়ে এমন মন্তব্য করেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘দুষ্টু ছেলেরা শীতলকুচিতে গুলি খেয়েছে, বুঝেছে গুলির গরম, সবে শুরু’, বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ
All must unitedly condemn and abjure violence that has no place in democracy.
Pained and anguished at violence in Coochbehar leading to loss of lives.
People in authority must show statesmanship & ensure respect for constitutional institutions & CAPF engaged in public duty.
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) April 11, 2021
শীতলকুচির ঘটনায় উত্তাপ ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তিনদিনের জন্য অনুপ্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে কোচবিহারে। শীতলকুচির মর্মান্তিক ঘটনায় এ বার সরব রাজ্য়পাল জগদীপ ধনখড়। টুইট করে লিখলেন, ‘গণতন্ত্রে হিংসার স্থান নেই। কোচবিহারের ঘটনায় আমি দুঃখিত। পদে থাকা নেতা-নেত্রীদের সংবিধান মেনে চলতে হবে ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সম্মান করতে হবে।’
বিস্তারিত পড়ুন: ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রতি সম্মান দেখান,’ শীতলকুচির ঘটনায় টুইট রাজ্যপালের
দমদম বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে রোড শো করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানে তিনি বলেন, “হুইলচেয়ারে সরকার আর নেই দরকার।”
কেন্দ্রীয়মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নকভির নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। সেখান থেকে বেরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ‘হিংসার রাজনীতি’ করার অভিযোগ করলেন নকভি।
বিস্তারিত পড়ুন: মমতা হিংসার রাজনীতি করছেন, দিল্লিতে কমিশনের দ্বারস্থ নকভিরা
চতুর্থ দফার ভোটে ‘এপিসেন্টার’ হয়ে উঠেছিল শীতলকুচি (Shitalkuchi)। দফায় দফায় সংঘর্ষ, পরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ‘আত্মরক্ষার জন্য’ গুলি। মোট মৃত্যু ৫ জনের। শীতলকুচি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতরও চরমে গিয়েছে। পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা সেখানে কোনও রাজনীতিবিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যেই ফের চাঞ্চল্য শীতলকুচিতে। ভোটপর্ব মিটতে না মিটতেই মাথাভাঙ্গার বৈরাগীহাটের রাস্তায় বোমা পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।
বিস্তারিত পড়ুন: ভোটপর্ব মিটতে না মিটতেই শীতলকুচিতে ফের বোমা
কলকাতা: রাজারহাটে কর্মী সম্মেলনে শাহ। সেখান থেকে বললেন, ‘আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আজ যদি আমার পা কেউ এখন ভেঙে দেয় তার একটা ছবি উঠবে তো! মুখ্যমন্ত্রীর পা ভেঙে দিল আর একটাও ছবি উঠল না! এটা কি সম্ভব! আমাদের ১৩০ জন কর্মী মারা গিয়েছে। কিন্তু অপরাধীর শাস্তি হয়নি। বিজেপি ক্ষমতায় এলে তৃণমূলের কোনও কর্মী মারা যাবে না এটা কথা দিলাম। আর যদি খুন হয় তবে হত্যাকারীকে পাতাল থেকে হলেও তুলে আনা হবে। আমাদের দলে শৃঙ্খলাই শেষ তো কথা। ‘
দেখুন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের সব লাইভ আপডেট…
রাজারহাটে কর্মী সম্মেলনে শাহ।
আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আজ যদি আমার পা কেউ এখন ভেঙে দেয় তার একটা ছবি উঠবে তো! মুখ্যমন্ত্রীর পা ভেঙে দিল আর একটাও ছবি উঠল না! এটা কি সম্ভব! আমাদের ১৩০ জন কর্মী মারা গিয়েছে। কিন্তু অপরাধীর শাস্তি হয়নি। বিজেপি ক্ষমতায় এলে তৃণমূলের কোনও কর্মী মারা যাবে না এটা কথা দিলাম। আর যদি খুন হয় তবে হত্যাকারীকে পাতাল থেকে হলেও তুলে আনা হবে। আমাদের দলে শৃঙ্খলাই শেষ তো কথা। ১৯৭১ থেকে বাংলার দিকে কারুর তাকানোর সময় নেই। প্রথমে কমিউনিস্ট তারপর মা-মাটি-মানুষের সরকার, বাংলার অবস্থা শেষ করে দিয়েছে। দিদি নিজের ভাইপো ছাড়া চিন্তা করেন না। দেশের জিডিপিতে ৩০ শতাংশ দান ছিল বাংলার। আজ সেই বাংলা ৩.৩-এ চলে গিয়েছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে এখানে সিএএ চালু হবে। সকল শরণার্থী নাগরিকত্ব পাবেন। কেন এত হিংসা বাংলায়! কেন এত অরাজকতা! হিংসার রাজনীতি আমরা করি না। তাই বিজেপিকে পদ্মে ছাপ দিয়ে জয়যুক্ত করুন। : অমিত
টিভি নাইন বাংলায় অকপট অমিত শাহ।
‘মমতা দিদি শীতলকুচিতেই সভা করে সেখানকার মানুষদের উস্কানি দিয়েছিলেন। বাহিনীকে ঘেরাও করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। উনি ইনসিকিউরিটি কমপ্লেক্সে ভুগছেন। মমতাদিদি ওই ৪ জনের জন্য অনেক কেঁদেছেন। কিন্তু, আরও একজন যে রাজবংশী নেতা মারা গেল তার কোনও উল্লেখ করেননি মমতা। চল্লিশ বছরের রাজনীতিতে আমি দেখেছি, যারা হেরে যাওয়ার ভয় পায়, তারা এইধরনের কাজ করে। বাংলায় সিএএ হবেই। পিকের সমীকরণ নিয়ে আমি চিন্তিত নই। উনি যা বলার বলে দিয়েছেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করবেন বাংলার জন্য প্রথম কোন তিনটি পদক্ষেপ করা হবে। নকশালরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে না, সিআরপিএফরাই বরং তাদের মেরে তাড়িয়েছে।’
পানিহাটির রোড-শো-এর অনতিপরেই কামারহাটিতে কর্মী সম্মলনে গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ। উপস্থিত কামারহাটির বিজেপি প্রার্থী অনিন্দ্য ওরফে রাজু ব্যানার্জি। সরাসরি মুখ্য়মন্ত্রীকে তোপ দেগে বললেন, ‘দিদি তো আমায় বহিরাগত বলেন। তবে বহিরাগত হলে এমন তো নয়, যে আমি কথা বলতে পারব না। প্রথম ক্যাবিনেটেই আয়ুষ্মান ভারতকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। মোদীজির কাছে এত পয়সা নেই। এই সবটাই সরকারের পয়সা। বাংলার মানুষের অধিকারে বাধা দিচ্ছেন দিদি। মমতা দিদি ঘাবড়ে গিয়েছেন। শীতলকুচিতে বাহিনীর অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার নিদান দিয়েছিলেন মমতা। বাহিনীকে ঘেরাও করতে বলেন। এত বাঙালি বাঙালি করছেন, গুজরাটে গেলেও কি আমায় বলবে বহিরাগত! দিদি বুঝতে পেরেছেন তাঁর আসন টলোমলো। তাই এসব বলছেন। লোকতন্ত্র বলে কিছুই নেই নাকি! বারবার বলা হয় , বিজেপির কোনও মুখ নেই। আমি আবারও বলছি, বাংলার ভূমিপুত্রই হবে মুখ্যমন্ত্রী। আমার ইস্তফার দাবি করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। আরে প্রয়োজনে আমি পায়ে হেঁটে ইস্তফা দিতে যাব।’
“শীতলকুচির মতো ঘটনা বাকি চার দফায় প্রয়োজনে আরও ১৬ টা ঘটবে। ভোট লুঠে এসেছিলেন, তাই গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।” ধূপগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠকে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu)।
বিস্তারিত পড়ুন: বাকি চার দফায় ১৬ টি শীতলকুচি ঘটবে: সায়ন্তন বসু
বঙ্গে জমজমাট রবিবাসরীয় প্রচার। বসিরহাট দক্ষিণে বিশাল জনসভার পর পানিহাটিতে রোড শো সারলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উপস্থিত ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিজেপির একাধিক হেভিওয়েট নেতৃত্বরা। সন্ময় ভট্টাচার্যের সমর্থনে এই রোড শো করেন শাহ। এ দিন গেরুয়া বেলুন ও পতাকায় ভরে ওঠে পানিহাটি।
শীতলকুচির ঘটনায় উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। বিভিন্ন জনসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ইস্তফা চেয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার, দক্ষিণ বর্ধমানে এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন মুখ্য়মন্ত্রী। পাশাপাশি সারেন প্রচারও। প্রসঙ্গত, গতকালই গোটা রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো।
শীতলকুচি কাণ্ডে এ বার মিঠুনের নিশানায় মমতা। রবিবার দত্তপুকুরে দলের হয়ে প্রচার করতে নেমে নাম না করে তৃণমূল সুপ্রিমোকে বিঁধলেন বিজেপির তারকা প্রচারক মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘চারটে মায়ের কোল ফাঁকা হয়ে গেল। কেন এমন হল? কেন এই উস্কানিতে মানুষ পা দিচ্ছেন আমি বুঝতে পারছি না।’
বিস্তারিত পড়ুন: ‘উস্কানিতে পা দিচ্ছেন মানুষ,’ শীতলকুচি কাণ্ডে মমতাকে নিশানা মিঠুনের
বসিরহাট দক্ষিণে বিশাল জনসভায় বক্তব্য রাখছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা। ১৪ এপ্রিল বাংলার নর্ববর্ষ। ওইদিন, নতুন বছর শুরু হবে বাংলায় আর ২মে-এর পর বাংলায় সোনার বাংলা তৈরি হবে। দিদির প্ররোচনাতেই ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে শীতলকুচিতে। দিদি সিরআরপিএফকে ঘেরাওয়ের কথা বলেছিলেন। সেইজন্যেই বুথে হামলা হয়েছে। আমার ইস্তফা চাইছেন মমতা। দিদিকে ২মে-এর পর পুরোপুরি ইস্তফা দিতে হবে। দিদির বিদায় ধুমধাম করে করতে হবে। ১৯৯ টা আসন তো পাবই। বসিরহাট দক্ষিণও আমাদের হবে। চতুর্থ দফার নির্বাচনের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। দিদির প্ররোচনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বন্দুক ছিনিয়ে নিতে গিয়েছিল ওই যুবকরা। কিছুদিন আগে শীতলকুচিতে জনসভা করে বাহিনীকে ঘেরাও করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা। ওইদিনই, শীতলকুচিতে দিনদুপুরে বিজেপি কর্মীকে গুলি করে খুন করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। আনন্দ বর্মণের জন্য দিদির কান্না কোথায়? রাজবংশী সমাজের একজন মারা গেল, তার জন্য় চোখের জল ফেললেন না আপনি দিদি! কিছুদিন আগে, তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেত্রী বলেন, দলিত সমাজের মানুষদের ভিক্ষা করার প্রবণতা আছে। আপনি এ কী কথা বলছেন দিদি! আপনি ওদের ভোটব্যাঙ্কে ব্যবহার করবেন আর ভিক্ষুক বলবেন। বিজেপি এলেই সিএএ হবে। রাজবংশী, মতুয়ারা যাঁরা শরণার্থী তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে প্রত্যেক মেয়ের জন্য কেজি থেকে পিজি পর্যন্ত বিনাপয়সায় পড়াশোনা। বাসে-ট্রেনে আর টিকিট লাগবে না। কৃষক ও গরিবদের জন্য চালু হওয়া প্রধানমন্ত্রীর সমস্ত যোজনা চালু করা হবে বাংলায়। দিদির বাংলায় তিনটি আইন আছে। একটি দিদির ভাইপোর জন্য, দ্বিতীয়টি তোলাবাজ ও তুষ্টিকরণের জন্য, তৃতীয়টি সাধারণ মানুষের জন্য যাঁরা সব শাস্তির ভাগিদার। আমফানের, বুলবুলের টাকা খাওয়া এই দলটিকে গদিচ্যুত করতে হবে। তারপর ওদের কারেন্ট লাগবে। মোদীজির জন্য় বাংলার কল্যাণ হবে। দিদির মনে কেবল ভাইপোর কল্যাণচিন্তা। দিদিকে গদিচ্যুত করতে হবে। মমতা দিদি খালি ভাবেন তাঁর ভাইপো মুখ্যমন্ত্রী হবেন। দিদির এই ধারণা ভেঙে দিতে হবে। কী করবেন আপনারা? আপনাদের কাছে ফোন আছে। সেই ফোন থেকে নিজের পরিচিত ৫০ জনকে ফোন করুন। ফোন করে বলুন দিদিকে ভাগান। কমলে ছাপ দিন। মৃ্ত্য়ু নিয়ে রাজনীতি করছেন মমতা। ওঁকে গদিচ্য়ুত করুন। গুলিকাণ্ডে ক্ষমা চাইতে হবে মমতাকে।: অমিত শাহ
বরানগরে বিজেপির তারকা প্রার্থী পার্নো মিত্রের সমর্থনে প্রচারে গিয়ে হুমকি দিলেন বিজেপির রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষ। জনসভা থেকে এ দিন দিলীপ বলেন, ‘দুষ্টু ছেলেরা গুলি খেয়েছে। বেশি বাড়াবাড়ি যেন না করা হয়। প্রয়োজনে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।’ প্রসঙ্গত, চতুর্থ দফার ভোটে, শীতলকুচিতে জওয়ানের গুলিতে চার ব্যক্তির মৃত্যু হয়। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার প্রচারে বেরিয়ে এমন মন্তব্য করেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘দুষ্টু ছেলেরা শীতলকুচিতে গুলি খেয়েছে, বুঝেছে গুলির গরম, সবে শুরু’, বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ
All must unitedly condemn and abjure violence that has no place in democracy.
Pained and anguished at violence in Coochbehar leading to loss of lives.
People in authority must show statesmanship & ensure respect for constitutional institutions & CAPF engaged in public duty.
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) April 11, 2021
শীতলকুচির ঘটনায় উত্তাপ ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তিনদিনের জন্য অনুপ্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে কোচবিহারে। শীতলকুচির মর্মান্তিক ঘটনায় এ বার সরব রাজ্য়পাল জগদীপ ধনখড়। টুইট করে লিখলেন, ‘গণতন্ত্রে হিংসার স্থান নেই। কোচবিহারের ঘটনায় আমি দুঃখিত। পদে থাকা নেতা-নেত্রীদের সংবিধান মেনে চলতে হবে ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সম্মান করতে হবে।’
বিস্তারিত পড়ুন: ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রতি সম্মান দেখান,’ শীতলকুচির ঘটনায় টুইট রাজ্যপালের
দমদম বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে রোড শো করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানে তিনি বলেন, “হুইলচেয়ারে সরকার আর নেই দরকার।”
কেন্দ্রীয়মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নকভির নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। সেখান থেকে বেরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ‘হিংসার রাজনীতি’ করার অভিযোগ করলেন নকভি।
বিস্তারিত পড়ুন: মমতা হিংসার রাজনীতি করছেন, দিল্লিতে কমিশনের দ্বারস্থ নকভিরা
চতুর্থ দফার ভোটে ‘এপিসেন্টার’ হয়ে উঠেছিল শীতলকুচি (Shitalkuchi)। দফায় দফায় সংঘর্ষ, পরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ‘আত্মরক্ষার জন্য’ গুলি। মোট মৃত্যু ৫ জনের। শীতলকুচি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতরও চরমে গিয়েছে। পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা সেখানে কোনও রাজনীতিবিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যেই ফের চাঞ্চল্য শীতলকুচিতে। ভোটপর্ব মিটতে না মিটতেই মাথাভাঙ্গার বৈরাগীহাটের রাস্তায় বোমা পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।
বিস্তারিত পড়ুন: ভোটপর্ব মিটতে না মিটতেই শীতলকুচিতে ফের বোমা