জলপাইগুড়ি : ভূমিকম্পের (Earthquake) বিপদকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যেখানে সেখানে উঠছে বহুতল। নগরায়ণের নয়া নীতিতে বড়সড় বিপদ দেখছে বঙ্গীয় ভূগোল মঞ্চ। শিওরে শমনকে কীভাবে সামাল দেওয়া যায়, তা নিয়ে মক ড্রিলের উদ্যোগ নিল জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন।
জলপাইগুড়ি-সহ উত্তরবঙ্গ ভূমিকম্প (Earthquake) প্রবণ সিসমিক জো়ন ৪ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। ভূমিকম্প হলে ঠিক কী ভাবে উদ্ধারকাজ করা হয়, কীভাবেই বা বিপর্যয় মোকাবিলা করা যায় তা নিয়েই চলল মক ড্রিলের আয়োজন। জেলা প্রশাসনের এমন অভিনব উদ্যোগকে স্বাগত জানালেন শহরের প্রবীণেরা।
আরও পড়ুন : হলদিয়ায় মোদীর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়ে কী বললেন দেব?
বঙ্গীয় ভূগোল মঞ্চের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মূলত, প্লেট টেকটনিক বা পাত সঞ্চালনের জন্যই উত্তরবঙ্গের এই এলাকা গুলি ভূমিকম্পপ্রবণ (Earthquake)। এই এলাকা সিসমিক জো়ন ৪-এর অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ফলে যে কোনও সময়ে রিখটার স্কেলে এই মাত্রা ৬ থেকে ৭ মাত্রাও হতে পারে। যা মূলত, প্রাণঘাতীও। যত্র তত্র একাধিক নির্মীয়মান বহুতল এই ভূমিকম্পের বিপদকে ত্বরান্বিত করে আনতে পারেই বলে দাবি বঙ্গীয় ভূগোল মঞ্চের।
আরও পড়ুন : সকাল থেকে অবরোধ, কৃষ্ণনগর-শিয়ালদহ ট্রেন চলাচল বন্ধ
জেলা প্রশাসনের তরফে আয়োজিত মক ড্রিলকে সাধুবাদ জানিয়েছে বঙ্গীয় ভূগোল মঞ্চ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই থাকতে হয়। প্রশাসনের এই মক ড্রিল আয়োজন তাঁদের খানিক ভরসা জুগিয়েছে।
ভূবিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, শিলিগুড়ি, দার্জিলিং বা জলপাইগুড়ি এলাকায় অনেক বহুতল ভূমিকম্প প্রতিরোধমূলক প্রযুক্তি ছাড়াই তৈরি হচ্ছে। ৫ তলার বেশি উচ্চ এই বহুতলগুলির জন্য ধসে পড়তে পারে গোটা এলাকা। পুরো প্ল্যান খতিয়ে দেখে তবেই তৈরি হোক বহুতল এমনটাই দাবি করেছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন : বন দফতরের নিয়োগে কারসাজির অভিযোগ তুলে মমতা বললেন, ‘তদন্ত হবে’
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, কীভাবে অনুমতি ছাড়াই এই বহুতল তৈরি হয়ে চলেছে তা তদন্ত করে দেখা হবে। প্রয়োজনে কড়া পদক্ষেপ করবে প্রশাসন।